এই পথের শেষে একটা নদী; সেখানে সমতল ভূমির পাশ দিয়ে
জলভূমি হরিৎ হরিয়ালের খেলা।নান্দনিক শিল্পকলা আঁকা আছে
অথচ ভয়ের শিহরণ চোখ জুড়ে মন জুড়ে
দিগন্ত থেকে যেন ভেসে আসে হৃদয় স্তব্ধ করে দেয়া পিশাচ ধ্বনী।
স্যুররিয়ালিস্টিক পরাবাস্ত, ক্যামোফ্লাজ হয়ে যায়-
নাভী এবং চোখের আকৃতি মিলে, বদ্বীপ বা নিতম্বের ভাজ ত্রিভঙ্গ জলতরঙ্গ
শুন্য অনুভবের অস্তিত্বহীন কথার সুর লহর তোলে।
এক পা দুপা হলুদ পা শালিক হাঁটে উঠোন জুড়ে।
কৃষকের ঘরে নিদারুন খরা।
বলসেভিক কাফকা বোদলেয়ার আকাশ এবং মাটির গানের মতন
অথবা রেনেসা সময়; মৃতমাছের চোখে তাকিয়ে থাকে।
অগুনতি অপুষ্টি নিরাভরণ শিশু, ক্ষত বিক্ষত চেহারা মানুষ,
ভাঙ্গা হাড়, কাঠামো।
এমন কিছু ঢেউ জাগে না, খাদ্য ভাণ্ডার বা তন্তু শিল্পে।
কেবল নির্বোধ কিছু মানুষ ভাইরাল করে ফেলে; এই সব মুখের ছবি বা
সমতল ভুমির আদিবাসীর গৃহ পুড়ানোর ছবি।
উচ্ছেদ হওয়া গৃহহীন নির্যাতিত মানবতা।
গলিত সভ্যতার উৎকৃষ্ট উদাহরণ বছর জুড়ে।
চমৎকার! চলুক না এমন কিছু গোপন অভিলাসের খেলা।
সরিসৃপ চলার পথ বা চিন্তার এমন কিছু ব্যাতিক্রম হবে না।
আরো একটি সূর্য বৎসর শুরু হলে।
পৃথিবীর আনাচে কানাচে লোলুপ জিহ্বা ছোবল হানবে ক্ষমতার তাণ্ডবে।
কিছু গৃহহীন মানুষ আবাসের আশায়; অপেক্ষা করবে খোলা আকাশের নীচে।
অথচ ছিল সব কিছু, সাজানো গৃহ এবং ভালোবাসা, হাসি।
খুঁজবে অচেনা পথ আবার জীবন ঘর সাজাতে।
নতুনকে বরণের আয়োজনে ক্ষমতালোভী, করবে কি অঙ্গিকার।
শান্তির কামনা বিশ্ব জুড়ে,
হৃদয় পুড়ানো মানুষকে বরণ করবে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে।
আমার ভালোবাসা প্রার্থনা, আগামী সময় জুড়ে পৃথিবীময় শান্তি জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:২০