আজ ঈশ্বর এসেছিলেন আমাদের অন্ধকার আচ্ছন্ন দরিদ্র ঘরে।
সুখ উপুড় করে ঢেলে দিয়ে গেলেন।
সুখ গুলো নিয়ে আমরা হুটুপুটি লুটপুটি খেলছি
অনেক দিন অনাহারে থাকা জীবন
ক্লিষ্ট দারিদ্রতায় জর্জরিত।
নেই নেই শুনে সারাদিন কাটে।
পথের চামড়া উঠা নেড়ি কুকুরের মতন,
চারপাশ থেকে দূর দূর খেই খেই শব্দ বাজত আমাদের দিকেই,
টানাটানি কাড়াকাড়ি করে ভাগ বসাতাম।
নাড়ি কামড়ানো ক্ষুধা, সারাক্ষণ লেগে থাকে যেমন শরীরে, তেমন মনে
ঝগড়া লেগে যেত ভাগের হিস্যা নিয়ে- সকাল সন্ধ্যা বিকাল রাতের পার্থক্য না করে।
সুস্থির হয়ে বসার সুযোগ ছিলা না।
সব সময় অভাবের তাড়না তাড়িয়ে নিয়ে যেত।
স্বপ্ন নামের রাজকন্যা মেঘের দেশ থেকে হাসত, উপেক্ষার হাসি
তবু তার দিকে নির্লজ্জের মতন চেয়ে থাকি
বেসামাল টালমাটাল হয়ে যাই নেশায় চুরচুর
চোখ ফিরাতে পারি না। লোলুপ আকাঙ্খায় পেতে চাই আলিঙ্গনের ভিতর।
হঠাৎ পাওয়া সুখ আমাদের উন্মাদ করে দিল
আমরা যেমন ছিলাম অভাবী
টানা-হ্যাঁচড়া স্বভাব।
আমাদের হুটুপুটি আনন্দ এক সময় কাড়াকাড়িতে পরিণত হলো।
আমাদের হাসি মিলিয়ে গেল
হিংস্র চাহনি নিয়ে একে অন্যের গায়ে আঁচড় দিতে লাগলাম।
চুল উঠে গেল হাতের মুঠিতে,গালের মাংস নখের ভিতর
হাত পায়ের প্রচণ্ড জোড় দিয়ে, আঘাত চলতে লাগল অন্যের শরীরে
কখনো দাঁত বসে গেল কাঁচা মাংসে, নরখাদকের চেহারা নিয়ে
ভয়ঙ্কর আমরা মুখ ভর্তি রক্তের লিপিষ্টিক ঘষে নিলাম।
একসময় ভাঙ্গা বেড়ার ফাঁক দিয়ে ঈশ্বরের দেয়া সুখগুলো, উড়ে গেল আমাদের ছেড়ে।
আমাদের তখন আর দাঁড়াবার শক্তি নাই
প্রচণ্ড ব্যাথায় কুঁকড়ে যেতে থাকল শরীর,
স্তিমিত অষাড় দেহগুলো
পরে রইল- বেওয়ারিশ লাশ হয়ে
সুখ ভাগবণ্টনের কাড়াকাড়িতে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১০