somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রোকসানা লেইস
স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

পাশাপাশি পথ চলা

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জসিম মল্লিক আট জুলাই আঠার বিকালে টরন্টোতে অনুষ্ঠিত জমাট বইমেলার কথোপকথন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছিল। কথায় কথায় বলল, জেসমিন এসেছে জেসমিনকে দেখে মনে পরছে ও বলেছিল, অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে ভাত খেয়ে যেও। খাওয়া হয়নি এখন বিকাল হয়ে গেছে সকালের সেই সিরিয়াল খাওয়ার পর আর কিছু খাওয়া হয়নি।
এমন একজন সঙ্গী যখন পাশে থাকে তখন খাওয়া না হলেও মন ভরে থাকে। ঘরে ফিরলে খাবার বেড়ে দেয়ার মানুষ থাকে। একজন পুরুষ লেখক, এই দিকে খুব সৌভাগ্যবান। তাদের আট ঘন্টা জীবিকা অর্জনের কাজের পর আর কাজ করতে হয় না। মন দিয়ে পড়া বা লেখা করতে পারেন। আড্ডা অনুষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত যোগ দিতে পারেন। দায়দায়িত্ব অনেক কিছু আদরে ভালোবাসায় স্ত্রীরা সামলে নেন। আমি দেখেছি এবং উপভোগ করেছি, লুৎফুর রহমান রিটনের স্ত্রী শার্লির আন্তরিকতা। সংসার নামের গৃহটিকে ঝকঝকে মায়াময় করে রাখার জন্য নিরলস ভালোলাগায় তার কাজ করে যাওয়া। অটোয়ায় ওদের বাড়িতে যখন গেলাম। রিটনকে আমার সাথে শহর ঘুরতে পাঠিয়ে, আন্তরিকতায় অপ্যায়নের জন্য রান্নায় ব্যস্ত থেকেছে একা বাড়িতে। শুধু আমি নই রিটনের বাড়িতে সব সময়ই মানুষের আনাগোনা চলতে থাকে। আমি যখন পৌঁছালাম তখনও কয়েকজন মিলে আড্ডা চলছিল।
শার্লি আপ্যায়নের ব্যবস্থা করছে আর রিটন রসিক কথায় হাসির হুল্লোরে ঘর আনন্দময় করছে। দু'দিনের সময় কাটিয়ে ছিলাম ওদের সংসারে। বিকালে অনেক জোড় করে শার্লিকে নিয়েছিলাম সাথে ঘুরতে। লেকের জলে পা ডুবিযে সূর্যাস্ত সেও অনেক উপভোগ করেছিল আমাদের সাথে।

বিদেশে আছেন এমন বেশ কজন পুরুষ লেখককে আমি জিজ্ঞেসা করেছিলাম ঘরে ফিরে আপনি সংসারের আর কি কাজ করেন? রান্না , কুটা বাছা, বাসন মাজা ঘর ঝাড়া বাচ্চা দেখা শোনা, বাচ্চাদের পড়ানো। বাজার করা এমন অসংখ্য কাজ যা একজন নারীকে আট ঘন্টা জীবিকা অর্জনের কাজের পর প্রতিদিন করতে হয়। এর কোন কিছুই তেমন পুরুষ সঙ্গীটি করেন না। নিরিবিচ্ছিন্ন ভাবনার জগতে ডুবে নিজেকে প্রকাশ করে যান। বাঙালি সমাজে এই সুযোগ অনেক বেশী। বিয়ের পরদিন থেকে নেচে গেয়ে হেসে খেলে বেড়ানো মেয়েটি সব সামলে গৃহিনী হয়ে উঠবে এই প্রত্যাশা থাকে অলিখিত ভাবে সবার। মন যুগিয়ে সুখি করবে প্রতিটি অপরিচিত নতুন বাড়ির মানুষকে কিন্তু সে কত সুখি, তার মনের হিসাব ক'জনা রাখে এমন কি পতিদেবও কি জানেন স্ত্রী সঙ্গীনির, কখনো হাত জড়িয়ে আকাশের তারা দেখতে ইচ্ছে করে কি না।
কিছু পতি আছেন যারা হয় তো হাতে গায়ে কাজগুলো করেন না কিন্তু স্ত্রীকে মানসিক ভাবে সাপোর্টে রাখেন। তাই তাদের বোঝাপড়ায় স্ত্রীরা জানেন এই লোকগুলো ঘরের কাজ করতে গেল কাজ হওয়ার চেয়ে অকাজ হয়ে যাবে। নিজেই তাদের দূরে রাখেন সংসার সামলানোর থেকে। কিন্তু কিছু নারী আছেন যাদের প্রতিদিন রান্না সংসার করতে ইচ্ছে হয় না তারা কাজটা সমান ভাবে ভাগ করতে চান স্বামীর সাথে। তাদের সংসারে হয়ে যায় সমস্যা।
আমরা যখন সমরেশ মজুমদারের সাতকাহন পড়ি। দিপাবলীর নিজের পছন্দের বিয়ের পর এক ছুটির সকালে স্বামীকে বলে, আজ তুমি সকালের নাস্তা তৈরি করো। আমি পত্রিকা পড়ি। এমন কথায় যে হুমড়ি খেয়ে পরে অতি আধুনিক স্বামীটি একবারও ভাবে না প্রতিদিন সে যে কাজগুলো করে স্ত্রীও সমপরিমান কাজ করছে অফিসে তবু তার কাছে প্রত্যাশা থেকে যায়, খাবার তৈরি করে খাওয়ানোর। ঘর পরিচ্ছন্ন করে রাখার। সবার সুখ দুঃখের খবর রাখার। যে কাজটি নিজে করতে পারেন না তার দায়িত্ব নির্দ্বিধায়, স্ত্রীর উপর অর্পন করতে এত্তটুকু মনোবেদনা হয় না। কারণ এটাই নিয়ম। এ ভাবেই চলবে। সমাজের বেঁধে দেয়া নিয়মগুলো এমনই মানুষকে বেঁধে রাখে।
আমি যখন পড়ালেখা করছি বিশ্ববিদ্যালয়ে মায়ের বন্ধু সালেহা খালার বাসায় যেতাম আজিমপুরের কোয়াটারে। খালা এবং উনার স্বামী খালু দুজনেই তখন বড় অফিসার সচিবালয়ে কাজ করেন । বাড়ি ফিরে খালু ইজি চেয়ারে গা ছেড়ে আরাম করেন পত্রিকা পড়েন। আর খালা বিকালের নাস্তা বানিয়ে, রাতের খাবার এবং পরদিনের রান্নার ব্যবস্থা করতেন। ফিরার পথে বাজার করে ফিরতেন।
খালা বলতেন মেয়ে, পড়ালেখা করছো করো, কখনো চাকরি করতে যেও না।
ঐ দেখ তোমার খালু কত আরামে শুয়ে আছে আর আমি রান্না করছি। দুজনেই কিন্তু এক অফিস থেকে কাজ করে এলাম। দেশে তবু কাজের সহযোগী রাখার সুযোগ আছে। বিদেশে এই সুযোগ থাকলেও সবার পক্ষে সেই সুযোগ গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। বিদেশিরা অভ্যাসের কারণে অনেকে পছন্দও করেন না, বাড়িতে কাজের লোক রাখা, নিজের কাজ নিজে করেন। বাঙালিরা করেন অর্থ সাশ্রয়ের চিন্তায়।
নারী যদি হন সৃষ্টিশীল। ঘর বাইরের সব কাজ সামলেই তাকে প্রকাশ করতে হয় তার মনের ভাব। বেশীর ভাগ সময় হয় তো ক্লান্তি দখল করে নেয় ভাবনা দিন শেষে। জসিম মল্লিকের কথা শুনে আমারও মনে পরল, সকালের নাস্তা খাওয়ার পরে আমারও কিছু খাওয়া হয়নি। যদিও খাবার সবার জন্য তৈরি করে রেখে এসেছি। ঘরে ফিরে নিজের খাবার নিজেকেই বেড়ে নিতে হবে। তবে আমি চাইলে বাড়ির অন্য সদস্যরা বেড়ে দিবে, আমিই সেটা করে ওদের বদার করতে চাই না।
তবে অনেক সময় মনোযোগ দিয়ে লেখার সময় এমন হয়েছে, লেখার ভাবনা মাথায় রেখে উঠে যেতে হয়েছে অনেক জরুরী কাজের জন্য। সন্তানকে স্কুলে পৌঁছে দেয়া বা নিয়ে আসা বা খাবার বেড়ে দেয়া, খাওয়ার তৈরি করা। জীবিকা অর্জনের কাজের পাশাপাশি ক্রমাগত করে যেতে হয়েছে। তারপর ভাবনার খেয়ালে ভাসা।
সুনিল গঙ্গোপাধ্যায়, শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক, রফিক আজদ এমন অনেক লেখকের সংসার তাদের স্ত্রীদের সুন্দর ভাবে সামলে নিতে দেখেছি। সৈয়দ শামসুল হকের স্ত্রী সৈয়দা অনোয়ারা হক পেশায় ডাক্তার এবং লেখক হওয়ার পরও দেখেছি আমাদের আড্ডার দিনগুলোতে তিনি অতিথি আপ্যায়নের দিকটাও সামলাচ্ছেন হাসি মুখে গল্পের মাঝে। তেমনি দিলারা হাফিজ অধ্যাপক এবং লেখক কিন্তু রফিক আজাদ যখন গল্পে মত্ত উনার বাড়ির অথিতিদের সাথে, দিলারা হাফিজ অনেক যত্নে সবার তদারকিও করে গেছেন। সে অতিথি এক দুজন নয় জনা পঞ্চাশ ষাটজন বা তারও বেশী। এক বার নয় প্রায়ই এমন কবি লেখক সমাবেশের আয়োজন করেছেন হাসি মুখে। আমার সৌভাগ্য হয়েছে কাছে থেকে তাদের সাথে সময় কাটানোর। আমিও হাসি মুখে সামলেছি এমন আসর প্রায়ই। কবিতার বইয়ের যখন আভরণ উন্মোচন হচ্ছে, আমার মন পরে আছে বইমেলায় অথচ আমি তখন রেঁধেছি মনোযোগে কবি, লেখকরা এসে খাবেন বলে। মঞ্জুস দাশ, দেবী রায়, জয় দেব বসু, সৌমিত্রমিত্র মিত্র, তৃপ্তি মিত্র, চিত্রা লাহেড়ি, খালেদা এদিব চৌধুরি, রুবি রহমান, কাজী রোজি কত নাম। তারিক সুজাত, অরুন চৌধুরি, মুহাম্মদ সামাদরা তো প্রায় প্রতিদিনের সদস্য ছিল আমার বাড়ির এক সময়। কাজল চক্রবর্তি রেস্ট হাউস ছেড়ে আমার বাড়িতেই উঠে এলেন, সাথে আরো দুজন সঙ্গীসহ। প্রেগনেন্ট অবস্থায়ও তাদের আপ্যায়ন করেছি সঠিক ভাবে। আমিও তাদের বাড়িতে পেয়েছি মহাসমাদর।
সেলিনা হোসেন একজন অসামান্য মেধাবী মানুষ আমাদের । মন্ত্র মুগ্ধের মতন শুনছিলাম তার কথা সেদিন বই মেলায় বসে। গভীর সরোবরের চারপাশে সবুজ পাহাড়ের হাতছানীতে হারিয়ে যাচ্ছিলাম কখনো প্রাচ্য কখনো পাশ্চাত্য সাহিত্যের গল্পে, কখনো উনার নিজের স্মৃতিচারণ। কি ভাবে পেরিয়ে এলেন এতটা পথ। তার অর্জনের সাক্ষী হয়ে আছে ঘর ভর্তি পুরুস্কার দেখছি স্বচক্ষে। উনার সঙ্গী মানুষটি কত আন্তরিকতায় সহযোগীতা করেছেন তাকে তাও দেখলাম। ঘরের সাধারন কাজের চেয়ে অসামান্য কিছু কাজ করার সুযোগ তিনি পেয়েছেন বাংলা সাহিত্যের জন্য। যদি লেখায় নিবেদিত না থাকতেন কিভাবে আমরা পেতাম বাংলা সাহিত্যের অসাধারন সব লেখা যা তিনি প্রতিটি মূহুর্ত ব্যয় করে লিখেছেন আপন মনে।
অনেক পুরুষ তার ভাবনার সমান্তরাল ভাবতে পারেন না।
অথচ অনেকে তার সম্পর্কে মন্তব্য করতে শুনেছি, তিনি নাকি কখনো, রান্না ঘরে ঢুকেন না।
কি প্রয়োজন তার রান্না ঘরে ঢুকার? সংসার তিনি করছেন, আপনার এত খবরে কাজ কি। তিনি আয় করছেন, সমাজসেবা করছেন নানারকম জনহিতকর কাজের সাথে যুক্ত আছেন।সংসারটা সুন্দর ভাবে সামলে নিয়েছেন তারপর লিখছেন। একটা লেখা লিখতে অনেক সময় লাগে। সে সময়টা বার করেন নিজের হাজারো কাজের ভিতর থেকে। তিনি যে লেখাগুলো আমাদের দিচ্ছেন সে রকম কিছু লিখে দেখান তো সমালোচনা করার আগে।
পিনপতন নিরবতায় হল ভর্তি মানুষকে সমৃদ্ধ করছেন তার জানা জ্ঞান ভান্ডারের কথা বলে, তেমন ভাবে দুটো কথা বলতে পারবেন কি কখনো! গান নয়, নাচ নয়, কথার ভাণ্ডার শুনছে মানুষ মুহিত হয়ে। থেমে যাওয়ার পরও মনে হচ্ছে আরো বলুন। সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে অথচ সময়টা মনে হয়েছে একটু খানী।
আমি যখন লিখতে বসি বারবার বাঁধা প্রাপ্ত হই নানা জাগতিক প্রয়োজনীয় কাজের জন্য। অনেক সময় একটা আধা লেখার গতি থেমে গেলে সেটা আর অনেক দিন হাত দেয়া হয় না। ভাবনাটা কেটে যাওয়ার জন্য বা সময় অভাবে। এইসব চারপাশের বাঁধার পাহাড় ঠেলে ভাবনাগুলোকে লেখার রূপ দিতে হয় যা খুব সহজ নয়।
একবার কবি আসাদ চৌধুরিকে বাড়িতে আসতে বললাম। কিন্তু তাদের আসার আগ মূহুর্তে বাচ্চাকে কাজে পৌঁছানোর জন্য ছুটতে হলো আমাকে ড্রাইভার হয়ে। বন্ধুকে রেখে গেলাম বাড়িতে উনাকে অভ্যর্থনা করার জন্য। খাবার দাবার সেরে যখন আমরা কবিতার আড্ডায় জমেছি তখন আবার ছুটতে হলো আমাকে তাদের বাড়িতে রেখে বাচ্চাকে নিয়ে আসার জন্য। এমন হয়েছে হায়াৎ মামুদকে বাসায় এসেছিলেন সে সময়ও। উনাদের সাথে করে চলে গেলাম বাচ্চার কাজের জায়গায় নিয়ে আসার জন্য।
বিদেশের সব কাজ নিজে একা সমলে তারপরও লেখালেখি, নানা অনুষ্ঠান, গান, নাচ সংস্কৃতি চর্চা দেশের ঐতিহ্যকে ধারন করে থাকেন দেশের বাইরে অবস্থান করা বাংলা ভাষার মানুষ। তাদের সত্বা ধারন করে থাকে দেশ, ঐতিহ্য, বেড়ে উঠার আনন্দ, সুখ, দুঃখ স্মৃতি, প্রিয় মুখ। তারা পৃথিবীর যে জায়গাই থাকুন।
পথচলাটা কঠিন কিন্তু সহজ হয়ে যায় নেশার ভালোলাগায়।
একটা বিষয় আমি উপলব্ধি করি। বিদেশে পরিশ্রম অনেক কিন্তু সব করতে শেখার আনন্দ নিজেকে করে তুলে আরো বেশী সৃজনশীল আত্মনির্ভর এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ।
দেশে আমার কয়েক জন কাজের লোক থাকার পরও যে কাজ সহজে শেষ হতো না। বিদেশে আমি একা তার অনেক বেশী কাজ করে নিজের লেখা এবং সৃজনশীল কাজের জন্য সময় পেয়ে যাই। এবং সৌভাগ্য আমার, লেখার কাজে পরিবারের মানুষের নিরন্তর সাপোর্ট আমি পেয়েছি। যা অনেকটা সমৃদ্ধি করেছে বাঁধা না হয়ে।
নারীদের জন্য বিষয়টা কঠিন হয় যদি সংসারের মানুষ সহযোগীতা না করেন।
আমাদের বাঙালি মানসিকতায় এখনও অনেক পরিবর্তন দরকার প্রতিটি মানুষের, পুরুষ, নারী বিভেদ না করে, নিজস্ব স্বকিয়তায় বিকাশ হওয়ার এবং তাকে গ্রহন করার মানসিকতায়।সংসারে সব কাজ সমান ভাবে ভাগ করা।
বিদেশিদের এই মানসিক সমস্যা নেই। তারা নিজের জীবনে নিজের মতনই কাজ করেন। স্বামী সাপোর্ট দিল না বলে অভিমানে গাল ফুলিয়ে না থেকে। পুরুষরাও ঘরের কাজগুলো বা বাচ্চা দেখাশোনার কাজ হাত লাগিয়ে করে ফেলেন স্ত্রীর পানে চেয়ে না থেকে।
বিদেশের সমাজও আগে নারীকে অনেক দাবিয়ে রেখেছে। কিন্তু এখন কেউ কারো মুখাপেক্ষী হয়ে বসে থাকে না এক সাথে সংসার করলেও। নিজের মতন স্বয়ংসম্পূর্ণ যে যার জায়গায়। এই বিষয়টা আমার বেশ ভালোলাগে।
যে কোন অবস্থানে সৃজনশীল মানুষ সহযোগীতা পাবেন পাশের মানুষের থেকে এই প্রত্যাশা করি। পৃথিবীতে শেষ পর্যন্ত মানুষের কাজগুলোই থেকে যাবে। জটিলতার ভিতরে না গিয়ে তারা যেন আনন্দ সহঅবস্থানে কাজ করার সুযোগ পান। আপনার পাশের মানুষটি নারী বা পুরুষ হন, লিখেন, অাঁকেন, গান, নৃত্য বা বাগান করেন। তার কাজটিকে মর্যাদা দিয়ে সহযোগীতা করা যথার্থ সঙ্গীর কর্তব্য মনে করি। পারস্পরিক সমঝোতায় পারিবারিক সম্পর্ক ঋদ্ধ হবে আরো সহযোগীতার ভালোবাসায়।

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:৪৯
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×