এক দুই তিন না আরো বেশী কত দিন কত বছর কেটেছে
অযুত ভালোবাসার সময় পেরিয়ে গেছে দূরে--
আজকাল খুব মনে পরে, আনন্দগুলো কেমন পায়রার মতন মুখ লুকিয়ে বুকের ভিতর ছিল।
শরতের মেঘ ভাঙ্গা দিন, নরম শিশির দিন, কাঁচের চুড়ি রিনিঝিনি বাজত বুকে
আয়ত চোখের পল্লব, টানটান পেশীর বাঁধন
ছূঁয়ে দিলে মেঘবৃত্ত মায়ায় জড়িয়ে, উড়ত পাখির পালক।
আকাশ হয়ে যেতাম যার কোন দিগন্ত নেই, কাঁটা তারের বাঁধন নেই- নেই সমাজের শাসন।
কদম অনুভূতি, ঝেঁটিয়ে বিদেয় করল পাষন্ড নিয়ম।
তারপর ....তারপর রোদ উঠল বৃষ্টি ভেঙ্গে..রামধনুর চোখে চোখ রেখে
আমরা, সরে গেলাম জাগতিক সংসারে।
হাসি মুখ ঘিরে গড়ে উঠল প্রাসাদ ; বাইরে চাকচিক্য ভিতরে অশ্রুধারা।
মনে মনে সেতু ভাবনার পথ, পেরুতে থাকল তুষার হিমবাহের মতন।
জমাট আগ্নেয়গিরি। স্ফূরন হলে ধ্বংস হবে।
পুরানো ঠিকানায় নীল চিঠি ইচ্ছে হলেই দেয়া যেত
সংখ্যাগুলো আঙ্গুলের ডগায় ; কানেকশন টিপে দিলেই পাওয়া যেত কণ্ঠ
ইচ্ছে পাখিরা দূরে সরে গেছে অবিরাম অভিমানে
সমাজ, শাসন জলের উজান ঠেলে।
শুনতে পেলাম হারিয়েছে চির চেনা অনেকেই। স্বাভাবিক এবং অস্বাভাবিক ভাবে।
একদিন আমাদের সময় এলে আমরাও চলে যাবো মায়া ফেলে দূরে।
আরেকবার দেখা পাওয়ার প্রত্যাশা না করে।
ইতিহাস কথা বলবে। ভাবনার জ্বলেস্বরী আপন মনে শুয়ে থাকবে মনে।
বাঁকা চাঁদ তখন আকাশে, পাইনের বনে ঝিলিক লাগেনি তখনও
গোলাপী সূর্যাস্ত আকাশ মনের ভুবন জুড়ে, শীত বাতাসে চমকে উঠার মতন জেগে উঠলাম একি তুমি
কেমন করে এলে, এই রাইনের বনে।
অদ্ভুত ভুঁতুড়ে বাতাস চিরদিনই ঘিরে থাকল রহস্যময়তায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৯