somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রোকসানা লেইস
স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

বৈধ গাঁজার দেশ

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মারিজুয়ানা লিগ্যাল হওয়ায় অনেকের খারাপ লাগছে। অনেকের ভালোলাগছে।
অনেকের কিছুই লাগছে না। চুরি করে লুকিয়ে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে যে কাজটি হতো, সেটা সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে জনসম্মুখে কেনা যাবে। কোথায় কখন খাওয়া যাবে বা যাবে না। সে ব্যাপারে কতৃপক্ষ নিজস্ব নিয়ম দিয়ে দিবে ব্যবস্থা নিবে। সিগারেট যেমন অনেকে খায় কিন্তু সব জায়গায় খেতে পারে না। মদের উপরও তেমন বিধি আছে। বৈধ মানেই বেহিসাবি উড়াল মনে হয় নয়।
ইউরোপিয়ান আমেরিকানদের বাড়িতে মদ পান গ্রহন যোগ্য। বড়রা আনন্দ উৎসবে মদ্য পান করার সময় ছোটদেরও অল্প একটু দিয়ে সামিল করেন। অনেক রকম মদ পরিমান মতন খাওয়া শরীরে ওষুধের মতন কাজ করে। অনেক ওষুধে এ্যালকোহল থাকে।
বাঙালিদের মধ্যে হিন্দুদের মদপান নিষিদ্ধ না কিন্তু ছোটরা বড়দের লুকিয়ে শুরু করেন পান করা। ইউরোপিয়ান, আমেরিকনেদেরর মতন এক টেবিলে বসে মা বাবার সাথে পান করা হয় তো দু একটা আধুনিক পরিবারে পাওয়া যাবে।
মুসলিম দেশ গুলোতে মদ পান নিষিদ্ধ ধর্মীয় কারনে।
অনেক মুসলিম গলা ডুবিয়ে মদ পান করেন। অথচ কখনো স্বীকার করবেন না। নিষিদ্ধ বলেই আরো বেশী আকর্ষন হয় এই সব বস্তুর প্রতি।
আমার বাড়ির সামনে লোকটার রমরমা ব্যবসা ছিল লুকিয়ে গাঁজা বিক্রির। সিটি সিসি ক্যামেরা লাগিয়েও থামাতে পারেনি। কত মানুষের আনাগোনা শুধু পুড়িয়া নেয়ার জন্য। সকালে দেখলাম লোকটা গালে হাত দিয়ে বাইরে বসে আছে। মনোপলি ব্যবসা মাইর খাইছে। খদ্দেররা এখন লুকিয়ে চড়া দামে কিনতে দূরদূরান্ত থেকে আসবে না। পাড়ার দোকান থেকে পেয়ে যাবে।
গাঁজা খেয়ে কেউ ধ্যান মগ্ন হয়ে পড়ে। কেউ হয়ে যায় বাতাসে উড়া ডানা মেলা মানুষ। নির্ভর করে তার ভাবনার উপর, মানুষটির প্রকৃতির উপর।
যা কিছু নিষিদ্ধ তার উপর আলাদা টান থাকে মানুষের। এটা মানুষের স্বভাব।
এই আদেশ নিষেধ যত বেশী তত সমস্যা হয়, চাপ পরে যারা এটা মানতে চায় না তাদের উপর। কিন্তু নিষেধ না থাকলে সে বিষয়ের প্রতি হয় তো কোন আকর্ষনই কখনো হতো না ওই একই মানুষের।
হোস্টেলে থাকতে দেখতাম একটি মেয়ে ব্যথায় অস্থির হোত এবং মরফিন ইঞ্জেকশন নিত। এক সময় সেটা তার অভ্যাসে পরিনত হলো। আমার একবার ভয়ানক একটা ব্যাথা হয়ে ছিল পায়ে। অদ্ভুত ব্যাথায় সারারাত ঘুমাতে পারি না। শুতে বসতে যন্ত্রনা। ব্যাথাটা সার্প আবার কামড়ানোর মতন, বিদ্যুত প্রবাহের মতন নানা রকম ভাবে যন্ত্রনা করে আমার জীবন অতিষ্ট করে তুলেছিল প্রায় মাস ধরে। কোন রকম ব্যথানাশক ঔষধে কাজ হচ্ছিল না। দিনের পর দিন আমি ঘুমাতে পারতাম না। ডাক্তার এ ব্যাথার কোন সুত্র পাচ্ছিলেন না। ভাড়ি কিছু দিয়ে পা চাপ দিয়ে রাখলে আরাম পেতাম কিছু সময়ের জন্য। আর গরম পানি ঢাললে ব্যাথাটা কম হতো। এটা আমার নিজস্ব আবিস্কার ব্যাথা উপষমের। গরম পানি সে সময় বাংলাদেশে টেপে পাওয়া যেত না। চুলায় গরম করে বোতলে ঢেলে প্রস্তত করার সময়টুকু অনেক সময় ব্যাথার যন্ত্রনা সহ্য করতে পারতাম না। সারাক্ষন গরম পানি ঢালাও সম্ভব ছিল না।
অবশেষে একজন ডাক্তার মরফিন ইঞ্জেকশন দিলেন এবং আমি মনে হয় এক মাস পরে গভীর ঘুম ঘুমালাম। কয়েক দিন পর আবার ব্যাথাটা শুরু হলে আবারও আরেকটা ইঞ্জেকশন নিলাম। এবং তারপর আর কখনো ব্যাথাটি ফিরে আসেনি। মরফিনের প্রতি এডিকেটেড হওয়া আমার হলো না ভালোবাসা থেকেও। অথচ সাধারন ফেসসিডিলের জন্য বেফানা অবস্থা হয়ে যায় মানুষ। সবটাই নির্ভর করে কতটা মানসিক শক্তির মানুষ, কেমন তার চিন্তা চেতনা তার উপর। প্রতিটি ব্যাক্তি স্বতন্ত্র।
অনেক মানুষ ব্যাথার জন্য গাঁজা সেবন করেন। বিষন্নতা থেকে মনকে চাঙ্গা রাখতে সেবন করেন। অনেকে সে দিকে তাকিয়েও দেখেন না।
সিয়াটলে একটি বেকারি, আছে যেখানে মারিজুয়ানা মিশিয়ে খাবার তৈরি হয়। ব্রেড থেকে, বিস্কিট, কুকি, কেক। যাদের ব্যাথা ছাড়ানোর জন্য মারিজুয়ানা প্রয়োজন এই বেকারি তাদের জন্য আর্শিবাদ। অথচ আমেরিকার কিছু প্রদেশে যেখানে বৈধ গাঁজা বিক্রি সে এলাকায় আবার মানুষদের এই লুকিয়ে খোঁজার কষ্ট করতে হয় না।
সিগারেট খাওয়া স্বাস্থের জন্য খারাপ অথচ সিগারেট উৎপাদন এবং পান কমছে না। সিগারেটের চেয়ে গাঁজা কম ক্ষতিকারক। অথচ সিগারেট খাওয়ায় জন্য তেমন আপত্তি নেই। আসলে বিষয়টা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে।
লোকালুকি চোরাচুরি করে পাওয়ার এবং খাওয়ার চেয়ে বরঞ্চ আইনগত ভাবে বৈধ থাকলে খারাপ না। আগ্রহ থাকবে না পরের প্রজন্মের। সরকারের মূল লক্ষ অর্থনৈতিক আয় বাড়ানো এবং চিকিৎসার জন্য ব্যবহার। চিকিৎসায় ব্যবহৃত মারিজুয়ানাতে কোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই। ক্যান্সার, মৃগী, পারকিনসন, গ্লোকমা, আলঝেইমারসহ বেশ কিছু রোগের উপকারী ঔষধ হিসেবে কাজ করে মারিজুয়ানা।
মাত্রা রেখে পান করতে দেখেছি অনেককে প্রয়োজনের জন্য। আবার অকারণ কৌতুহলে যারা সেবন করে তারাই সমস্যা গ্রস্ত হয়। কোন কিছুই বেশী ব্যবহার ভালো ফল দেয় না।

সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:২৪
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×