পাঁচ বছরে ছাত্রীকে ১৭৫ বার ধর্ষণ করেছে এক শিক্ষক।
মা বাবার পর যাকে সবচেয়ে বেশী সম্মান করি আমরা তিনি হলেন আমাদের শিক্ষক।
যে শিক্ষক আমাদের জীবন যুদ্ধে লড়াই করার সাহস,কলাকৌশল শিখিয়ে সুন্দরভাবে বাঁচার রাস্তা দেখিয়ে দেন।সেই শিক্ষকই যদি এরকম কান্ড ঘটায় তাহলে কি বলবেন?
বাংলাদেশ হোক আর পৃথিবীর অন্য কোথাও এইরকম শিক্ষকরা যতদিন সমাজে আছে এরা কি করে একটি নতুন প্রজন্মকে আলোর পথ দেখাবে।
মনে পরে গেলো মান্না দের গাওয়া একটি গানের দুটি লাইন...
“সেই সাতজন নেই আজ টেবিলটা তবু আছে সাতটা পেয়ালা আজো খালি নেই
একই সে বাগানে আজ এসেছে নতুন কুঁড়ি শুধু সেই সেদিনের মালি নেই”
কোথা থেকে আসবে সেই মালি।সেই মালিই যে এখন কুঁড়ি গুলোকে তার বাসনার শিকার বানাচ্ছে।
কেন করে মানুষ ?
কি জন্য?
শুধুমাত্র কামনার তাড়নায়?
কি হতে পারে এর কারণ?
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে ছোট পোশাক ধর্ষণের একটি কারণ...
ধর্ষণের মামলা খুবই কম আদালতে আসে,কারণ ধর্ষিতা বা তার পরিবার চায় না যে আদালতে কথার জালে তাকে আবার ধর্ষণ করা হোক।
কিভাবে হয়েছে,কোথায় হাত দিয়েছে,তখন পায়ের পজিশন কি ছিল,ধর্ষক বাদিক থেকে ধরেছে না ডান দিক দিয়ে,ধর্ষকের পোশাক ছিল নাকি নগ্ন ছিল আরও কত উল্টা পাল্টা প্রশ্নে জর্জরিত হতে হয় ধর্ষিতা মেয়েটিকে।
যাই হোক যা ও কিছু মামলা আদালতে আসে,তখন প্রথম প্রশ্নটি শুরু হয় ধর্ষিতার পড়নের কাপড় কি
রকম ছিল। ছোট মিনি স্কারট নাকি অন্য কিছু?
*শরীর প্রদর্শন মানেই কি ধর্ষণের কারণ?
বেশিরভাগ ধর্ষণ মামলায় জানা যায় যে ধর্ষণের সময় ধর্ষিতা সালোয়ার কামিজ বা শাড়ী পরা ছিল যাকে বলা যায় মার্জিত পোশাক।
তারমানে এই দাড়ায় যে শরীর প্রদর্শন বা তথাকথিত ছোট পোশাক না পরেও নারীরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন।
*আইন কঠিন না হওয়া...
অনেক জরিপেই দেখা যায় যে এশিয়ার দেশগুলুতে বেশীরভাগ বাংলাদেশ,ভারত,পাকিস্তান এই সকল দেশে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন পুরুষ জীবনে একবার কোন নারীকে ধর্ষণ করেছে।
যারজন্য সেই পুরুষকে কোন আইনি ঝামেলা পোহাতে হয়নি।
এই আইনের ভয় নেই দেখেই এই পশুগুলোর সাহস দিন দিন বেড়েই চলেছে।
বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে যে ১০০জন ধর্ষিত নারীর মধ্যে ৯৮ জন নারী ধর্ষিত হয়েছেন তারই পরিচিত মানুষ দ্বারা।
আদালতে যেসব মামলা আসে বা গনমাধ্যমে যে খবর আসে সেগুলো বাইরের মানুষ দ্বারা ধর্ষিত ঘটনাগুলোর।যার ফলস্বরূপ পরিচিত জনের মাধ্যমে যে ঘটনাগুলো ঘটে তা চাপা পরে যায়।