অদেখা কোন বোমারু বিমান উড়ছিল,-নিঃশব্দে,পেটভর্তি ছিল তার মৃত্যুর পরোয়ানা।ঠিক সে সময় মরুর
বুকে কোন এক নাম না জানা পিতা হেঁটে চলেছিল সন্তানের হাতে হাত রেখে।ধবংসস্তুপ নীরবে কেঁদে বলেছিল
-আমরা যুদ্ধ বুঝিনা।জানিনা ইরাকের হাতে কি কি অস্ত্রের ভান্ডার আছে।তবে আমেরিকা তার দোকান “শান্তি”
নামক পণ্যের পসরা দিয়ে সাজিয়েছে।আমেরিকা!স্বপ্নের আমেরিকা!-“শান্তি নেবেন গো? শান্তি।হরেক রকম শান্তি
আমার ডালায়”।হ্যাঁ অক্ষম পৃথিবী তাকিয়ে দেখছে, কিভাবে শান্তি কিনছে মরুর তপ্ত বালি।
“আমরা পৃথিবীর বুকে শান্তি বিক্রয় করি”।–যুদ্ধাস্ত্র,ধ্বংস ও মৃত্যু!
“আমরা পৃথিবীর বুকে গণতন্ত্র বিক্রয় করি”।-যুদ্ধাস্ত্র,ধ্বংস ও মৃত্যু!
“আমরা পৃথিবীর বুকে ধর্ম বিক্রয় করি”।–যুদ্ধাস্ত্র,ধ্বংস ও মৃত্যু!
হাবিয়া দোযখের প্রেতাত্মা, লুকিয়ে রয় পশ্চিমা পত্রিকায়, দালালি করা যাদের পেশা,মাঠে নামে।সুশীলবেশ্যা,লবিষ্ট
এরাও নামে মাঠে।তারা যে দূত, আমেরিকার “শান্তি”,“গণতন্ত্র” নামক পণ্যের। “কত পেলেন দাদা”? আচমকা
দমকা হাওয়ায় ভেসে চলে বিবাগী প্রশ্ন।
তুমি দালাল দেখবে? কেন খুঁজতে যাও চিড়িয়াখানায়।পশ্চিমা গণমাধ্যম পড়।দেখো তাদের গণমাধ্যম।তাদের
অর্থে লালিত পালিত সুশীল সমাজ দেখো।
শান্তি কিনে নাও-ধ্বংসের বিনিময়ে।মৃতদেহের বিনিময়ে।বিনিময় কর সম্পদ।তেল।সব, সবকিছু বিনিময় কর।
বিনিময় কর তোমার প্রেমিকার সম্ভ্রম।শিশুর রক্তাক্ত মুখ মন্ডল।তবুও শান্তি কেনো।
আমি চাইনা শান্তি কিনতে
আমি চাইনা গণতন্ত্র কিনতে
আমি চাইনা ধর্ম কিনতে।
একমুঠো শান্তি কিনতে চেয়েছিল অশান্ত পৃথিবী।মুঠো খুলে বেরিয়ে আসে হিরোশিমা আর নাগাসাকি।
২৭/০৩/২০১৮
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:২২