নাগরিক সমাজে ওজন একটা মারাত্মক সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে । এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকই জিমে যান,ঘাম ঝরিয়ে শরীরের ওজন কিছুটা কমানও,কিন্তু জিম ছাড়লে আবার একই সমস্যা,অনেকেই ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন কোম্পানির বেল্ট ব্যবহার করছেন,যা শরীরের উপর বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে ,অনেকেই খাদ্যভ্যাস পরিবর্তন করতে করতে ক্লান্ত, তাই এই সমস্যা যেহেতু প্রাকৃতিক ,সেহেতু প্রাকৃতিকভাবে এই সমস্যাকে মোকাবেলা করতে হবে ।।ওজন কমাতে দুটি প্রাকৃতিক উপাদান লেবু ও মধুর পানীয় অত্যন্ত কার্যকরী বলে প্রমানিত । মধুর রয়েছে হাজারও গুন ,সেই মহাঔষুধটি ব্যবহার করুন ওজন কমাতে। তাই আসুন জেনে নিই কিভাবে এটি আমাদের শরীরের উপর কাজ করে ঃ
কেন ওজন কমায়
মধুতে যদিও চিনি থাকে, কিন্তু এতে ভিটামিন ও মিনারেল থাকার কারণে এটি সাধারণ চিনির মতো ওজন না বাড়িয়ে কমায়। কারণ সাধারণ চিনি হজম করতে আমাদের শরীর নিজের থেকে ভিটামিন ও মিনারেল খরচ করে, ফলে এসব পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হয়। এসব উপাদান ফ্যাট ও কোলেস্টেরল কমাতে বা ভাঙতে সাহায্য করে। ফলে যখন আমরা বেশি চিনি খাই, তখন অধিক ক্যালরি শরীরে জমা ছাড়াও এসব পুষ্টি উপাদানের চিনি হজম করতে অতিরিক্ত খরচ হওয়ায় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হয়। তাই ওজন বাড়াতে পারে। কিন্তু মধুতে এসব উপাদান থাকার ফলে এগুলো হজমে সহায়ক এবং ফ্যাট ও কোলেস্টেরল কমায়। তাই এই পানীয় ওজন কমায়। তাছাড়া সকালে উঠেই শরীর যদি পানি জাতীয় কিছু পায়, তবে তা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে একই রকম শারীরিক পরিশ্রম করেও আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধির কারণে ওজন কমতে পারে।
লেবু-মধু পানীয় বানানোর প্রণালী
এক গ্লাস হালকা বা কুসুম গরম পানি, আধা চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধু। গরম পানিতে লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করুন লেবু-মধু পানীয়। আপনি চাইলে এর সঙ্গে সবুজ চা মেশাতে পারেন।
যা লক্ষ্য রাখবেন
—আগে পানি হালকা গরম করে তারপর লেবু ও মধু মেশাবেন। মধু
কখনোই গরম করতে যাবেন না।
—যদি ঠাণ্ডা পানিতে এটি পান করেন, তবে বিপরীত ফল হবে, মানে
আপনার ওজন বাড়বে।
লেবু-মধু পানীয়ের উপকারিতা
— এই পানীয় শরীর থেকে টক্সিন বের করে। শরীরের ভেতরের
নালীগুলোর সব ময়লা বের করে দেয়।
— মেটাবলিজম/হজম শক্তি বাড়ায়, ফলে ওজন কমে। ঠাণ্ডা লাগলে এই
পানীয় কফ বের করতে সাহায্য করে এবং ঠাণ্ডা লাগলে গলাব্যথা
করলেও এটি উপকারী ।
— এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
— শরীরে শক্তি বাড়ায়, অলসতা কমায়।
— কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
কখন খাবেন
সাধারণত সকালে উঠেই প্রথম পানীয় হিসেবে খালি পেটে এটি খাওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পরে সকালের নাস্তা খেতে পারেন।
সাবধানতা
যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তারা অবশ্যই এটি খালি পেটে খাবেন না। কারণ লেবু এসিডিক। তাই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে এটি খাবেন।
তাছাড়া লেবুর এসিড দাঁতের এনামেলের জন্য ক্ষতিকর, তাই এই পানীয় খাবার সঙ্গে সঙ্গে কুলি করবেন, অথবা পানি খাবেন
http://www.statenewsbd.com/?p=6660