ছবিঃ ইন্টারনেট
সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা। আশা করি সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে সবাই ভাল আছেন। আজকের শিরোনাম দেখে অনেকেই আমাকে নেগেটিভ দৃষ্টি তে দেখতে পারেন। কিন্তু আসলে আমি পজিটিভলি কিছু কথা শেয়ার করছি।
#আমাদের দেশে শুক্রবারে বেশ কিছু সিজনাল নামাজী দেখা যায়। বিশেষ করে রমজান মাসে এর পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। আমার এই বিষয়ে কোন আপিল নাই। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্যে একটা প্রশ্ন থেকে যায়- নামাজ কি সিজনাল নাকি দৈনিক?? আবার রমজান মাসে অনেকেই তারাবী নামাজ পড়ে; কিন্তু অন্যান্য ফরজ নামাজ পড়ে না। এমনটা কেন? তারাবী নামাজ সুন্নাত আর দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আছে ফরজ এটা নিয়ে নিশ্চয়ই কারও মত-পার্থক্য নেই।
#তারপর আরেকটা বিষয় লক্ষণীয়- জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে আসেন ভাল কথা। কিন্তু মসজিদের নির্দিষ্ট জায়নামাজের উপ্রে আপনার ৩ফিট * ৪ফিট=১২sft. জায়নামাজ বিছায়ে দুইজনের জায়গা একাই দখল করেন এই হাদিস কই পাইছেন? জায়নামাজ নিয়ে গেলে আপনি মসজিদের যে জায়গায় ফাকা থাকে সেখানে বিছান, নো প্রবলেম! এছাড়া এতে আপনি আপনার অজান্তে নামাজিদের মাঝে একটা বৈষম্য সৃষ্টি করছেন।
#ইদানিং আবার দেখি অনেকেই ৫ লিটার একটা পানির ট্যাংকি নিয়ে যায়! আহা রে। তারাবী নামাজ পড়তে যায়। মনে হয় যেন ইমামের চেয়ে তিনিই বেশি সূরা পড়ে! এত সুখ কেন? নামাজে গেসেন কেন? মনে রাখবেন বেশি আরামে নামাজ পড়া ঠিক না।
#মসজিদে আবার কিছু চেয়ারম্যান আছে! তারা আবার চেয়ার নিয়ে কাতারের মাঝে বসে। মনের সুখে চেয়ারম্যানদের সাথে মিটিং করে। আরে ভাই চেয়ারে বসে কারা? যাদের শরীর চলে না। আর আপনি চেয়ার নিয়ে কাতারের মাঝখানে বসে গল্প করবেন এই হাদিস কই পাইছেন??
আসুন আমরা সবাই পরিপূর্ণ আদবের সাথে মাহে রমজানে ইবাদাত করি এবং এই মাহে রমজানের শিক্ষা বহমান রাখি বছর জুড়ে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৯