"দেখুন মাছের গায়ে আল্লাহ লিখা কেও আমিন না লিখে যাবেন না!"
"ছবিটি দেখার পর কেও আল্লাহ না লিখে যাবেন না!"
"আমি ***(আপনারা জানেন এখানে কি আছে,আমি কাওকে *** করাতে চাই না,তাই * দিয়েছি) করছি মেসেজ টা দেখার পর ৭ জনকে কলেমা টি পাঠাবো!"
"লা ইলাহা ইলাল্লাহ-মেসেজ টি আপনার ৭ জন বন্ধুকে পাঠালে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ভালো একটা খবর পাবেন,না পাঠালে ৭ বছরেও কোনো ভালো খবর পাবেন না!"
.
ফেসবুক চালান কিন্তু এরকম পোষ্ট এবং মেসেজ দেখেন নি,তা বললে বিশ্বাস করবো না,এগুলো করা ভালো না খারাপ সেটা আজকে বলবো! আগেই বলে রাখি ইসলাম সম্পর্কে আমার জ্ঞান অনেক না, বাট যা জানি তা দিয়ে ব্যাখ্যা করবো আজকে,কোথাও ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন! পোষ্টটা খুবই সেনসিটিভ জিনিস নিয়ে,লিখতে চাই নি বাট না লিখে পারলাম না,কেও আবার আমাকে নাস্তিক টাস্তিক উপাধী দিয়ে দিয়েন না!
.
প্রথমে আসি আমিন না লিখে যাবেন না এই টাইপ পোষ্টের দিকে! মূলত এই টাইপের পোষ্টগুলো দেখা যায় এভারগ্রীন,বাংলাদেশি গ্রুপে, রেডিওমুন্না টাইপের পেজে এবং আইডিতে ! আর দেখা যায় পোষ্ট গুলোর কমেন্টে ধর্মপ্রান মানুষ গুলো অজস্র আমিন লিখেই যাচ্ছে! ঐসব গ্রুপ, পেজে দুই টাইপের পোষ্ট হয়! প্রথমত হচ্ছে সত্যিকার ছবি,যেমন মহানবী(সাঃ) এর ব্যবহার্য জিনিস ও ভিবিন্ন নবী রাসুলের ব্যবহার্য জিনিস এবং ভিবিন্ন সুন্দর মসজিদ! এসমম্ত ছবি দেখলে আমিন বলা খুবই খুবই ভালো,চাইলে কমেন্টও করতে পারেন! দ্বিতীয়ত হচ্ছে ফটোশপের কারবারিজনিত পোষ্ট,যেমন মাছ,গোসত,গাছ,পাথরের গায়ে আল্লাহ লেখা ছবি বানিয়ে সেটা ছেড়ে দেয়, আর আমাদের ধর্মপ্রাণ ভাইয়েরা সেখানে আমিনেন জোয়ার বসিয়ে দেয়! কিন্তু তারা জানে না যে গ্রুপ বা পেজে বা আইডি গুলো ফেমাস হওয়ার জন্য মানুষের মন নিয়ে খেলে! এখন প্রশ্ন হচ্ছে এখানে আমিন বলা কি ঠিক? আমার মতে না,ঠিক না! এগুলো কুফরি বা শিরকী কাজ কারবার! কারন একজন ধর্মপ্রান মানুষ জিনিসটাকে বিশ্বাস করেই আমিন বলছে! কিন্তু ছবি গুলা ফেক! সুতরাং এটা পাপের জিনিস! এটা নিতান্তই আমার নিজস্ব মতামত! কেও সিরিয়াস্লি নিবেন না,আমি জাস্ট আমার মতামত দিলাম।
.
দ্বিতীয়ত আসি সাত জনকে পাঠান,দশ জনকে পাঠান এই টাইপের মেসেজের দিকে! ফেসবুকে অনেকে অনেক সময় এই টাইপের মেসেজ পেয়ে থাকেন! এখানেও প্রায় দুই টাইপের মেসেজ পাওয়া যায়! প্রথমত, কালিমা দিয়ে ১০ জনকে পাঠান,তা হলে ৭ দিনের মধ্যে সু সংবাদ পাবেন এই টাইপের মেসেজ! আমাকে কেও এই টাইপের মেসেজ করলে ডিরেক্ট ব্লক মেরে দেই! এখন প্রশ্ন,এই টাইপের মেসেজ পেয়ে অন্যকে দেয়া কি ঠিক? না মোটেও ঠিক নয়,আপনি কিভাবে জানবেন যে ৭ দিনের মধ্যে ভালো খবর পাবেন কি পাবেন না? ভবিষ্যৎ শুধু মাত্র আল্লাহ জানে,আর কেও না! দ্বিতীয়ত, *** দিয়ে কালিমা ৭ জনকে পাঠানোর মেসেজ! কালিমা পড়া নিঃসন্দেহে ভালো, কারন কালিমা ইসলামের ৫ টি ভিত্তির মধ্যে অন্যতম। তাই কালিমা পড়াই যাবে! বাট *** দেয়ার মানে কি? কসম তো ইসলামে হারাম। কালিমা কাওকে পড়াতে চাইলে নরমাল মেসেজেই পড়াতে পারেন, *** দেন কেন! এখানেও নিতান্ত আমার মতামত দিয়েছি!ভুল থাকলে মাফ করবেন!
বিঃদ্রঃ পোষ্টটাতে শুধু আমার মতামত দিয়েছি,ভুলভাল থাকতেই পারে,ঐ যে বললাম না ধর্ম সম্পর্কে আমি অধিক জ্ঞানি বলবো না! আর পারলে জিনিস গুলো ত্যাগ করবেন,ধন্যবাদ!
ফেসবুক এ আমি
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০০