"মা আজও খেতে পারি নি ঠিকমতো, খাবারে একটা টিকটিকির বাচ্চা পাইছি। মা, মিস করি তোমার হাতের খাবার, অনেক কষ্ট হয় এখানে থাকতে। তারপরও তোমাকে সবসময় বলি ভালো আছি। মিথ্যা বলার জন্য সরি মা।" - কোনো এক হোস্টেলে থাকা ছেলে বা মেয়ের দৈনিক পুঞ্জিকা থেকে সংগ্রহীত !
.
হোস্টেল বা মেসে থাকা ছেলে মেয়েদের কষ্ট যারা আমার মতো, আম্মা এক গ্লাস পানি দাও, টি শার্ট টা ধুয়ে দেও টাইপের ছেলে মেয়ে গুলো কখোনো বুঝবে না। কষ্ট বললে ভুল হবে অনেক বেশি কষ্ট তে থাকতে হয়। তারা ই বুঝে জীবন টা কতো কঠিন। তারা চাইলেও করতে পারে না অনেক কিছু। তাদের নিজের কাজ নিজেই করতে হয়। ঘর গুছানো থেকে শুরু করে কাপড় চোপড় ধুয়া সব কাজই করতে হয় তাদের নিজেদের। মায়ের আদর, বাবার শাসন, ভাই বোনদের স্নেহ মারামারি সবকিছু মিস করে তারা। খাওয়া দাওয়া র কষ্ট, গোসলের কষ্ট, কোন কষ্ট বাকি থাকে তাদের? কোনো কষ্ট ই বাকি থাকে না। যেই ছেলে মেয়ে কখোনো বাসি পচাঁ খাবার খেতে পারে না, সে ও খাওয়া শিখে যায়। অপছন্দনীয় খাবার খাওয়া শিখে যায়। তারা বুজে কিভাবে অল্প টাকায় চলতে হয়। কিভাবে হিসাব করতে হয়। তারা বুঝে এখন রাত ৯ টা বাজে নেট কিনলে একদিন কম মেয়াদ পাবো। তারা বুঝে কিভাবে রান্না করতে হয়। তারা অনেক কিছুই বুঝে যা আমরা যারা ফেমিলির সাথে থাকি তারা কখোনোই বুঝবো না।
.
মেস লাইফে যে শুধু কষ্ট আর কষ্ট তা নয় কিন্তু। এখানে আছে হ্যাপিনেসের অনেক কিছু। মেসে থাকলে স্ট্রাগল শিখতে পারবেন। বাপ মা র কমতি টা বুঝতে পারবেন। ভালো বন্ধু পাবেন কিছু। জীবন টাকে অন্যভাবে দেখতে পারবেন। জগৎ টাকে চিনতে পারবেন। কিভাবে একত্রে অনেক মানুষ থাকতে হয় শিখতে পারবেন। স্বাধীন ভাবে থাকতে পারবেন।
আমি যতো যা ই বলি মেস লাইফ অভিশাপ না আর্শিবাদ তা যারা মেস বা হোস্টেলে থাকে তারাই ভালো বুঝবে। আমরা যারা পরিবারের ছাতার নিচে থাকি তারা কখোনো বুঝবো না।
"মেসে বা হোস্টেলে থাকা ছেলে মেয়েগুলো ভালো থাকুক,যেখানে থাকুক!"
-ধন্যবাদ