somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাইয়িদ রফিকুল হক
আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

পশ্চিমবঙ্গের ডাইনীবুড়ি মমতাহীন-মমতার দৌরাত্ম্য!

২৭ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পশ্চিমবঙ্গের ডাইনীবুড়ি মমতাহীন-মমতার দৌরাত্ম্য!
সাইয়িদ রফিকুল হক

পশ্চিমবঙ্গে অতিসম্প্রতি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে মমতাহীন-মমতা ব্যানার্জী। তাকে দেখলে কোনো নেতা বা নেত্রী মনে হয় না। আর দেখে মনে হয় কী সাংঘাতিক চুপচাপ আর মমতাময়ী! আর তার একটা অভিনয় খুব ভালো জানা আছে—বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বা সমমর্যাদার কাউকে কাছে পেলে তার চোখে প্রায় জল এসে যায়। এক্ষেত্রে যেকোনো নাট্যাভিনেত্রী তার কাছে হার মানবে। কিন্তু মমতাহীন-মমতা বিনা গ্লিসারিনে কী সুন্দর চোখ ভিজিয়ে ফেলে বুঝিতে দিতে চায়, “আমি তোমাদের কত ভালোবাসি!” আসলে, এসবই তার ছলনা। আর রাজনৈতিক অপকৌশল মাত্র।

এশিয়ার অন্যতম আর ভারতবর্ষের একমাত্র জঙ্গীনেত্রী এই মমতাহীন-মমতা। একমাত্র পাকিস্তান ব্যতীত এশিয়ার কোনো দেশে নিজামী-কাদের মোল্লাগংদের রক্ষা করার জন্য কোথাও কোনো আন্দোলন হয়নি। মিছিল-মিটিং হয়নি। কিন্তু ভারতের অন্যতম একটি প্রদেশ-পশ্চিমবঙ্গে মমতার সমর্থনেই এগুলো হয়েছে। কাদের মোল্লার ফাঁসির পরে পশ্চিমবঙ্গে বিরাট প্রতিবাদসভা হয়েছে। আর মমতাহীন-মমতা ফাঁসিতে মৃত্যুবরণকারী তার বাবাতো ভাই কাদের মোল্লার জন্য তিস্তানদীর সমান চোখের জল ফেলেছে! সম্প্রতি নিজামীর ফাঁসির প্রতিবাদেও সেখানে বড়সড় প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এতে মমতা নিজে যোগদান করার সাহস না পেলেও তার চেলা-চামুণ্ডারা ঠিকই সেখানে সমবেদনা জানিয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের এই ডাইনীবুড়ি মনে হয় বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়েনি। আর একাত্তরের পাকিস্তানীহায়েনাদের নৃশংসতা মনে হয় তার জানাও হয়নি। ইদানীং তার রাজ্যে ও তার দলের ভিতরে অনেকের সঙ্গে জঙ্গীসম্পৃক্ততা বাড়ছে। শোনা যায়: মমতাহীন-মমতার পশ্চিমবঙ্গ নাকি বাংলাদেশবিরোধী-জঙ্গীদের ঘাঁটি। তারা মমতার আশ্রয়েপ্রশ্রয়ে থেকে মমতার সেবা করছে। আর বাংলাদেশের সর্বনাশ করার জন্য সেখানে বসে-বসে নিয়মিত ছক কষছে। আর তাই দেখে মনের সুখে ফুর্তিতে আঙ্গুল চুষছে একজন মমতাহীন-মমতা।

মমতাহীন-মমতাকে আগে বলা হতো তৃণমূল-কংগ্রেস-নেত্রী। আর এখন অভিজ্ঞজনেরা তাকে বলছেন জঙ্গীবান্ধব-নেত্রী। মমতাহীন-মমতা এখন আর নেত্রী নেই। তার বর্তমান পরিচয় একজন গডফাদারের আদলে গডমাদার মাত্র। আর মাঝে-মাঝে তার লোকদেখানো কিছু ভালোমানুষির নমুনা হলো তার ভবিষ্যৎশয়তানী-পরিকল্পনা-বাস্তবায়নের কৌশল মাত্র। মমতার সখ্যতা বাড়ছে ভারতীয় ও বাংলাদেশী জঙ্গীদের সঙ্গে। এইরকম কিছু জঙ্গীকে তার দলেও ভেড়ানো হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য তার এখন জঙ্গী প্রয়োজন।
আরও অনেক বিশিষ্টজনেরা বলছেন, শেখ হাসিনাকে হত্যা ও তাঁর সরকারকে উৎখাত করার জন্য যে-সব স্বাধীনতাবিরোধীঅপশক্তি দীর্ঘদিন যাবৎপ্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে—তারা এখনও একজন মমতাহীন-মমতার আশ্রয়েপ্রশ্রয়ে পশ্চিমবঙ্গেই বসে আছে।

অতিসম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে মমতাহীন-মমতা বড় ব্যবধানে জয়লাভ করায় আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশাল-বিশাল ইলিশমাছসহ তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু তাতেও এই ডাইনীবুড়ির মন গলবে না। প্রয়োজনে সে কুম্ভীরাশ্রু ঝরাবে। আর তার মায়াকান্নাদেখানো চোখের জলে বাংলাদেশের মাটি ভিজিয়ে দিবে, তবুও সে আমাদের ন্যায্য-হিসসা তিস্তার পানি দিবে না। আর সে তিস্তাচুক্তিতেও সম্মতি দিবে না।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সবসময় আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বসুলভ আচরণপ্রকাশ করে চলেছে—আর তারা তিস্তাচুক্তিসম্পাদন করে তিস্তার পানি দিতে একপায়ে খাড়া। কিন্তু আমাদের ন্যায্য-হিসসা-আদায়ে আজ সবচেয়ে বড় বাধা একজন মমতাহীন-মমতা।

তাই ভাবছি: পশ্চিমবঙ্গের ডাইনীবুড়ি মমতাহীন-মমতার দৌরাত্ম্য কমবে কবে?

সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
২৭/০৫/২০১৬
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০
৮টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×