স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ আজকে তাঁর ভেরিফাই ফেসবুক পেজে লিখেছেন ইদানিং কালে আমরা অনেকেই স্বৈরাচারী শাসন কি তা হয়তো ভুলে গিয়েছি I নতুন প্রজন্মের জন্য ছোট্ট করে নিম্নে কিছু নমুনা দিলাম যাতে করে আমরা ভবিষ্যতে স্বৈরাচার কি চিহ্নিত করতে পারি I
আসেন এখন তাঁর নমুনার সাথে আমারা বর্তমান সময় কে মিলিয়ে নেইঃ
১. যখন সাধারণ মানুষ তার মুক্ত চিন্তা ব্যাক্ত করতে ভয় পায় I
মিল খুঁজে পাই- বর্তমান সময় বাংলাদেশে কোন মানুষের বাক স্বাধীনতা আছে কি? উত্তর নেই। কি ভাবে নেই সেটার ব্যাখ্যা কথা কোন দরকার আছে বলে আমার মনে হয় না, তাঁর পড়েও যদি কেউ ব্যাখ্যা করতে বলে করা যাবে।
২. যখন দেশের প্রচলিত নানা আইন এবং নতুন নতুন আইন সৃষ্টি/তৈরি করে তার অপব্যবহার করে রিমান্ডে নেয়া এবং নির্যাতন করা হয়
মিল খুঁজে পাই- কিছু দিন আগে বাংলাদেশে নতুন একটি আইন করা হয়েছে আইসিটি আইন (৫৭ ধারা করা হয়েছিল প্রথমে পড়ে সেটা এই নামে পাশ করা হয়) একটি নতুন আইন করা হয়ছে। এই আইনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষ কে নির্যাতন করা যেহেতু অফলাইনের আপনার বাক স্বাধীনতা নেই তাই আপনি অনলাইন এ আপনার কথা বলার মাধ্যম করে নিবেন আর সেটা কে আটকানর জন্য করা হয়েছে এই আইন। তাঁর মানে আমারা দেখতে পাচ্ছি আমাদের এখন অফলাইন এবং অনলাইন কোথাও বাক স্বাধীনতা নেই আর ইচ্ছা করলে আপনাকে আমাকে এই আইনে ধরে নিয়ে নির্যাতন করা যাবে আর কথা হচ্ছে, যেমন এখন করা হচ্ছে শহিদুল আলম কে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
৩. বিনা বিচারে হত্যা ও গুম করে ফেলা হয় I
মিল খুঁজে পাই- হাহা ভাই এইটার সাথে মিল আছে কি নাই আপনারাই বলেন
৪. রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সমূহ কে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ব্যবহার করা হয়
মিল খুঁজে পাই- ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বর্তমানে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সব গুলা কে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমন কোন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নেই যেটা কে ব্যবহার করা হচ্ছে না। স্বৈরাচারী শাসন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ একি কাজ করেছিলেন (উনিও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সবাই জেনো তাঁর কথায় চলে তাই তাদের বেতন বাড়িয়েছিলেন)
৫. আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী পুলিশ সহ অন্যন্য সংস্থাকে পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হয়
মিল খুঁজে পাই- এই খানে কবি নীরব, এদের কথা বলতে গেলে দিন রাত হয়ে যাবে আবার রাত সকাল হয়ে যাবে কিন্তু কথা শেষ হবে না।
৬. যখন সাধারণ নাগরিক সহ সকলের কথা বার্তা, ফোন আলাপ, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট মনিটর ও রেকর্ড করা হয়
মিল খুঁজে পাই- অনেকে বলতে পারেন এই কাজ সব দেশে করে হা ভাই করে কিন্তু পড়ে বাকি ৫টা করে না। রাষ্ট্র আমাকে না জানিয়ে আমার ফোন আলাপ শুনতে পারে না, এইটা মানবাধিকার লঙ্ঘন।
৭. যখন এই সমস্ত বিষয় রিপোর্ট না করার জন্য সংবাদমাধ্যম, সাংবাদিকদের গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে হুমকি দেয়া হয়
মিল খুঁজে পাই- বর্তমান ছাত্র আন্দোলন নিয়ে ৭১ টিভি কে চিঠি দেওয়া হয়েছে, আন্দোলনে সাংবাদিক দের কে মারা হয়েছে ক্যামেরা ভাঙ্গা হয়েছে জেনো তারা কোন খবর প্রকাশ করতে না পারে। ধিরে ধিরে সংবাদমাধ্যম গুলোকে নজেদের হাতের ইশারাতে চলার সকল ব্যবস্থা করে ফেলেছে।
এখন সবাই মিলিয়েনেন সোহেল তাজের স্বৈরাচার চিহ্নিত করার ৭টা কারনের সাথে আমাদের দেশের চিত্র মিলে যাচ্ছে কি, নাই?
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২৭