মিরপুর -১১ তে দাড়িয়ে দুজন, দুপুর ২ টা বাজতে মাত্র ১৫ মিনিট বাকী, বারবার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে ছেলেটি, ঘড়ি যেন আজ একটু বেশিই দ্রুত চলছে। মেয়েটিকে যেতে হবে , মুখোমুখি দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে , মেয়েটি কাদঁছে না, ছেলেটিও না।
চোখে বর্ষন না হলেও হৃদপিন্ডের রক্তক্ষরনটা কোনভাবেই থামানো যাচ্ছিল না। কিন্তু দুজনেই ভাল অভিনেতা-অভিনেত্রী কাউকে দেখে রক্তক্ষরণ বুঝার কোন উপায় নেই।
.
চলে যেতে হবে মেয়েটিকে।
.
চলে যাচ্ছে মেয়েটি, সামনে গিয়ে
একবার ফিরে তাকালো, দুজনেরই হাসি মুখ।
ছেলেটি ফেরার পথ ধরল, মেয়েটিও তার গন্তব্যের যাচ্ছে । হঠাৎ ছেলেটিও কিছু দূর না যেতেই আবার মেয়েটির পেছনে যেতে লাগলো । ছেলেটি যখনই মেয়েটার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো, মেয়েটি চমত্কৃত হল ।
.
.
- মেয়েটি হেসে ছেলেটাকে বলল " তুমি না আসলেই একটা পাগল "।
-ছেলেটা মেয়েটাকে বলল " কি হল রিক্সায় না গিয়ে হেটে যাচ্ছে কেনো? "
-" কি করব খারাপ লাগছে খুব, তোমাকে যেতে দিতে ইচ্ছে করছে না " মেয়েটির উত্তর।
.
.
-তোমাকে ছেড়ে আমারো যেতে ইচ্ছে করছে না।
.
.
অতঃপর দুজনে কিছু দুর হেটে যায়, এরপর মেয়েটিকে রিক্সায় তুলে দিয়ে দাড়িয়ে তার চলে যাওয়া কে দেখতে লাগলো।
মেয়েটিও রিক্সার পেছন থেকে ছেলেটিকে দেখতে লাগলো। এরপর ছেলেটিও প্রস্থান করলো।
একটু পর ছেলেটা গায়ের শার্টটা খুলে হাতে নিল।
সারাদিনের অনেক ভালবাসার স্পর্শ লেগে আছে এতে। এই একটু আগেইতো রিক্সায় হাত ধরে কাঁধে মাথা রেখেছিল পরম ভালবাসায়।
এই স্পর্শের কাছে পৃথিবীর সব কিছুই নস্যি।
হাত তো কেঁটে তুলে রাখা যাবে না, তাই আগামী কিছু দিন এই শার্টটাই ভরসা।
.
মিরপুর -১১ স্বাক্ষী (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪