বাংলাদেশে রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে প্রায় প্রতিদিনই মানুষ মারা যাচ্ছে। বিষয়টিকে তুলে আনার কারণ মূলত, সাম্প্রতিক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা। রাজনীতিকে পেশা হিসেবে নিলেও রাজনীতিবিদরা পেশাদারিত্ব দেখাতে পারছে না। 'রাজনীতি' শব্দটির সাথে 'নৈরাজ্য' শব্দটি যুক্ত হয়ে প্রকৃত নিঃস্বার্থ ও মেধাবী মানুষদের কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছে। চামবাজ আর তোষামোদকারীরা হয়ে
উঠেছে রাজনীতির নিয়ন্ত্রকগোষ্ঠী। এমতাবস্থায়, প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিশেষ কোর্স হিসেবে ১ বছরের 'রাজনীতি' পড়ানো যেতে পারে।
ন্যূনতম যোগ্যতা হবে এসএসসি পাশ। দেশের নিবন্ধিত ৪১ টি দলের নীতি ও আদর্শ, সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়, নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক কলাকৌশল, পলিসি নির্ধারণ, বাগ্মীতা, পেশাগত দক্ষতা ইত্যাদি কারিকুলামে যোগ হবে। কোর্স শেষে প্রত্যেক ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট/ পছন্দের রাজনৈতিক দলে ৬ মাসের ইন্টার্নশিপ করবে। চূড়ান্ত
ফলাফলের ভিত্তিতে তাদেরকে বিভিন্ন রাজনৈতিক
দল দলে অন্তর্ভূক্ত করবে।
এক্ষেত্রে ভর্তি ও সেমিস্টার ফি মিলিয়ে সর্বমোট বাৎসরিক ১ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করা হোক। ভর্তি থেকে ফলাফল, ফলাফল থেকে দলভুক্তি সব ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা যেন থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। ডিগ্রি দেবে দেশের প্রথম সারির ১৫-২০ টি সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়।
মানুষের রাজনৈতিক অধিকার তার জন্মগত। একারণেই এ অধিকার যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠার জন্য এবং দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য দরকার ন্যূনতম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। নতুবা নোংরা হানাহানির রাজনীতি শেকড়-ডালপালা ছড়িয়ে বিশাল থেকে বিশালতম বৃক্ষে পরিণত হতেই থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮