somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এতদিনে আওয়ামীলীগের শ্বাপদ পোষার খায়েস মিটল।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


জামায়াত সদস্যদের একটি নীতি আছে তারা কখনোই আদর্শচ্যুত হয় না। তাদের আদর্শ নিয়ে আপনি সমালোচনা করতেই পারেন তবে তাদের কমিটমেন্ট সমালোচনার ঊর্ধ্বে। এটা আপনি মানতে বাধ্য। আর একমাত্র এ কারণেই দলটি জন্মলগ্ন কখনোই সহজে আওয়ামীলীগের সাথে গাঁটছড়া বাঁধেনি। বরং সর্বদাই আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করে এসেছে। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে যদিও তাদের আওয়ামীলীগকে আশ্রয় করে বেড়ে উঠার সুযোগ ছিল না, তারা কিন্তু সেটা করতে চেষ্টাও করে নি। তারা চাইলে আওয়ামীলীগে মিশে যেতে পারত। তারা সেটা করে নি বরং ক্ষেত্র প্রস্তুত করে নতুন বিষবৃক্ষ জন্ম দিয়েছে। আর সেই বৃক্ষকে আশ্রয় করে পুনরায় বেড়ে উঠেছে।
পরবর্তী পথ পরিক্রমায় যখন কোন কারণে জামায়াত বিপদে পড়েছে কেবল তখনই আওয়ামীলীগকে ব্যবহার করেছে নয়ত এই দলটিকে জামায়াত কখনো ব্যবহারও করতে চায় নি। কেবল এর বিনাশই চেয়েছে। আশ্চর্যজনক হলেও এটাই সত্য আওয়ামী লীগ ব্যবহৃত হয়েছে। শুধু তাই নয়, আওয়ামীলীগ যতবার জামায়াতকে কোলে তুলে নিতে পেরেছে ততবারই নিজেদের ধন্য মনে করেছে। কখনো প্রকাশ্যে কখনো গোপনে তারা বার বার চেয়েছে জামায়াতকে পোষ্য করতে। জামায়াত বুনো, সে পোষ মানে না, সেটা আওয়ামীলীগও জানে। তথাপিও তাদের শ্বাপদ বুকে করে ঘুমানোর বড় খায়েশ! আর সেই খায়েশ মিটাতে গিয়ে যে নিজেরাই বারবার তাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে সেটা তারা ভাবেন না। তারা ক্রমাগত চেষ্টা করে গেছে জামায়াতকে পোষ্য করে তোলার। আর জামায়াত চেষ্টা করে গেছে আওয়ামীলীগকে বিনাশ করতে। এখানেই আওয়ামীলীগের ভুল। আওয়ামীলীগ জামায়াতকে নিয়ে ভাবছে দলিয় স্বার্থানুযায়ী জাতিয় স্বার্থানুযায়ি নয়। একদিন এর মাশুল এ জাঁতীকেই গুনতে হবে। সেদিন আওয়ামীলীগের কি ত্রাহি অবস্থা হবে না?

যখন বিএনপি নামক বিষবৃক্ষটি এক এগারোর ঝরে মুখ থুবড়ে পড়ল তখনও জামায়াত শেষ চেষ্টা করেছিল তাকে তুলে দার করাতে, পারেনি। অবশেষে যখন জামায়াত বুঝতে পারল এই বিষ বৃক্ষ আর উঠে দাঁড়াবার ক্ষমতা রাখে না তখন তারা বেচে থাকতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা আপদ কালীন সমাধান মেনে সরাসরি "ডাকাতের ঘাটে নৌকা ভিড়িয়ে দিল"। অর্থাৎ আওয়ামীলীগেই অনুপ্রবেশ করতে শুরু করল। তারা জানে এই মুহূর্তে আত্মরক্ষার এটাই সর্বোত্তম উপায়।
এতদিনে আওয়ামীলীগের শ্বাপদ পোষার খায়েস মিটল। অতএব সোনায় সোহাগা!
যার প্রত্যক্ষ ফলাফল, আওয়ামী লীগের টিকিটে চেয়ারম্যান হয়েছেন জামায়াতের ১৭২ রোকন।(বাংলা ট্রিবিউন, জানুয়ারি ২১, ২০১৭) আগামীতে আমরা হয়ত সংখ্যাটা ১৭২ এর স্থলে ১০৭২ দেখব। এটাই স্বাভাবিক। জামায়াতের এই সদস্যরা কমি-টেড এরা অর্থ লোলুপ নয়। এরা দল কর্তৃক নির্দেশনার বাইরে এক চুলও নড়ে না। কাজেই এই সদস্যরা যেখানেই যোগদান করুন না কেন যে দলের পতাকা তলেই নিজেদের শামিল করুন না কেন এরা মূলত জামায়াতের লোক হয়েই থাকবেন। আর নিজেদের সদস্যদের এমন ঝুঁকিপূর্ণ খেলায় অংশ কেবল জামায়াতের মত দলগুলোই নেয়ার ক্ষমতা রাখে।
আমরা হয়ত অচিরেই দেখতে পাবে জামায়াত-আওয়ামীলীগ একাকার হয়ে গেছে। এক সময় হয়ত আওয়ামীলীগের চির চেনা অসাম্প্রদায়িক, দেশপ্রেমিক ভাবমূর্তিটাও পাল্টে যাবে। আওয়ামীলীগের নেতারা যদি মনে করেন জামায়াতের সদস্যরা সব আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে আওয়ামী আদর্শে উব্দুদ্ধ হয়ে উঠেছে তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন। তাদেরকে বলব একটু নিচের দিকে তাকিয়ে দেখুন আপনাদের নেতা কর্মীদের মধ্যে কতসংখ্যক এই নব্য আওয়ামী লীগারদের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে।
আওয়ামীলীগ নিজেদের যতই শক্তিশালী দল বলে মনে করুক না কেন। কার্যত তাদের নেতা কর্মীদের কাছে আদর্শের থেকে অর্থের গুরুত্ব অনেক বেশী। কাজেই তারা খুব সহজেই বিক্রি হয়ে যাবেন এই নতুনদের কাছে। ফলাফল এক সময়ে দলে শুধু স্থান করে নেয়া নয় নেতৃত্বেও চলে আসা। তারপর ............? সেটা তো সহজেই অনুমেয়।

[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৯
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×