৮০% নারী পারিবারিক নির্যাতনের স্বীকার! আমরা কি একটিবারও এর পেছনের কারণ খুঁজে দেখার চেষ্টা করি?
একসময় প্রধান সমস্যা ছিল যৌতুক। ছিল যৌথ পরিবারের রেষারেষি। যার কোনটাই এখন আর খুব একটা দেখা যায় না। অর্থাৎ এই দুই কারণে নারী নির্যাতনের মাত্রা অনেকটাই কমে গেছে।
এরসাথে যুক্ত করব কিছু পুরুষ স্বভাবগতভাবেই উগ্র এবং নৃশংস। শতাংশের হিসেবে তার পরিমাণটাও যে খুব বেশি নয় এটা নিশ্চয়ই মানবেন।
প্রশ্ন হল তাহলে কেন ৮০% নারী নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছেন? আমাদের সমাজ বিজ্ঞানীরা কি বিষয়টি তলিয়ে দেখেছেন?
নারী নির্যাতনের একটি বড় বা বলা উচিৎ সব থেকে বড় অংশের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা উচিৎ পারস্পরিক শ্রদ্ধা বোধ আর ভালবাসার অভাবকে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা বোধ এবং ভালবাসা গড়ে উঠতে পারে কেবল একে অপরের ভালোলাগাকে সম্মান করার মধ্য হতে, ছার দেয়ার মানসিকতা থেকে।
বউকে ভয় পাওয়া কিংবা স্বামীকে ভয় পাওয়া কোনটাই পরিবারের জন্য শুভ নয়। এমন কি গৃহকর্তা বা গৃহ কর্ত্রী দুটি শব্দই সমান তর দায়ী। পরিবার যতক্ষণ না স্বামী-স্ত্রী দুজনার মনের মত হয়ে গড়ে উঠবে। বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হবে ততক্ষণ পর্যন্ত পরিবারে ক্যাচাল লেগেই থাকবে। যেহেতু পুরুষ শারীরিকভাবে অধিক সামর্থ্য বান সেহেতু নারীরা পুরুষকে মানসিকভাবে আহত করতে থাকবে আর পুরুষ নারীদের শারীরিকভাবে আঘাত করতে থাকবে।
কাজেই নারী নির্যাতনের হার কমাতে হলে পারিবারিক শান্তির দিকটাতেই সবার আগে মনোযোগ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে যারা এ নিয়ে কাজ করছেন তাদের বিষয়টি নিয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০২