somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মগবাজার ফ্লাইওভারের নাম প্রস্তাব করছি, 'স্বেচ্ছাচার'।

১৫ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মগবাজার ফ্লাইওভারের মত স্বেচ্ছাচারের এমন জ্বলন্ত উদাহরণ সারা বিশ্বে আর একটিও মিলবে কিনা সন্দেহ। এর নকসার ভুল থেকে শুরু করে কাজের মন্থর গতি। জনস্বার্থকে সামান্যতম বিবেচনায় না নেয়া এ সবই আমার প্রস্তাব কৃত নামের স্বার্থকতা নির্দেশ করে। ফ্লাইওভারটির নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তমা কনষ্ট্রাকশনকে যাদের ফ্লাইওভার তৈরির পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই।
ফ্লাইওভারটি তৈরি হচ্ছে একটি ব্যস্ত সড়কে অথচ নেই ন্যুনতম নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এমনকি হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকার পরেও নেয়া হয়নি কোন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা।
মগবাজার থেকে মালিবাগ পর্যন্ত সড়কে ছোট খাট ডোবা থেকে শুরু করে অজস্র খানা খন্দে ভরপুর। পুরো এলাকা ঢাকা পরে আছে ধুলোর আস্তরণে। এত কিছুর পরেও ৭৭২ কোটি টাকার প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে আরও ৪৪২ কোটি টাকা। সময় বাড়ানো হয়েছে তিন বারে চার বছর।
প্রশ্ন হল কে এই তমা কনষ্ট্রাকশনের মালিক? তিনি কি ঢাকার একাংশের মালিক। আমরা কি তার নিজস্ব সম্পত্তিতে অবৈধ বসবাসকারী?
যদি তাই হয় তাহলে তার কর্ম যজ্ঞে সরকার কেন এত টাকা ঢালছে? নাকি তমা কনষ্ট্রাকশন এ দেশটাকেই কিনে নিয়েছে?
দেশটা কি তমার মালিকের তালুক?
তমা মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনাকে থোড়াই কেয়ার করছে। লক্ষ লক্ষ নারী-পুরুষ-শিশু রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে। বছর বছর মানুষ মারা পড়ছে। অথচ এদের কিছুই হচ্ছে না? একটু খেয়াল করুন দুর্ঘটনার পর একমাত্র দক্ষিণের মেয়র ছুটে গেলেন। কি লাভ সিটি কর্পোরেশন তো আর এর অথোরিটি নয়। তিনি কি করবেন? তিনি বড়জোর সাধারণ মানুষের দুঃখের ভাগীদার হবেন তাতে কি লাভ?

গতবছর একটি কনষ্ট্রাকশন কোম্পানির গাফলতিতে সাদ থেকে ইট পড়ে এক পথচারী নিহত হলে সেই কোম্পানিকে এর দায় নিতে হয়েছিল। কিন্তু জানামতে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে রড পড়ে যে মটর সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছিল সে জন্যে তমাকে কোন দায় নিতে হয়নি।
আমি জানি না তমা কনষ্ট্রাকশনের মালিক কে বা কারা। তবে তারা যে ভাসুর গোছের কেউ সেটা বেশ বুঝতে পারছি। গত দুদিন ধরে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় মগবাজার ফ্লাইওভার নিয়ে একের পর এক আলাপ চারিতা চলছে অথচ কেউ একটিবার ভাসুরদের নাম মুখে আনলেন না!
এ দেশে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, নেত্রীদের নামে উষ্মা প্রকাশ করা যায় কিন্তু কিছু জাতীয় ভাসুর আছেন তাদের নাম পর্যন্ত মুখে আনা যায় না। যে ৪৫% ক্ষেত্রে দুদক ব্যর্থ হয়েছে বলে স্বীকার করে তাও ঐ ভাসুরদের সম্পৃক্ততার কারণেই।
কথা হল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীসভা তথা সরকার সাধারণ মানুষের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কাদের স্বার্থ রক্ষা করছেন? কেন করছেন? না হলে কোন ক্ষমতাবলেই বা তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন?

এ দেশের মানুষ দিনের পর দিন পুড়ে মরলেও রাস্তায় বেড়িয়ে আসে না। এমন কি জানা থাকা স্বত্বেও আগুন দাতাদের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা যায় না। এদের তো পুড়ে মরাই উচিৎ।
২০১৩ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলে ২০১৭ জুন পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার চরম সীমা লঙ্ঘন করার পরেও। এমনকি স্থানীয় শিশু কিশোরদের মারাত্মক অসুস্থতা দেখা দেয়া স্বত্বেও যে এলাকার মানুষ এখন অব্ধি এর বিরুদ্ধে একটি মানব বন্ধন পর্যন্ত করেনি তাদের মরাই উচিৎ।

আজ অবধি ক্ষুদ্ধ মানুষকে রাস্তায় বেড়িয়ে আসতে দেখি নি। প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠতে দেখি নি কোন রাজনৈতিক বা সামাজিক সংগঠনকে। তাঁর মানে হয় আমরা নিরেট নির্বোধ নয়ত আমাদের সহ্য ক্ষমতা অসীম। অতএব ভাসুরগন আরও হত্যা, আরও স্বেচ্ছাচার চালাতেই পারেন।

একদিন হয়ত এই ভাসুরগণও টিভি টক শো'তে এসে প্রকাশ্যে পূর্বেকার স্বেচ্ছাচারের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলবেন সে তুলনায় আমরা ত কিছুই করলাম না!
এরা তুলনামূলক আলোচনা করে এই স্বেচ্ছাচারকেও জাষ্টিফাইয়ের চেষ্টা করবেন। আর আমরাও নতুন করে ভাবতে বসে যাব। কে কার থেকে বড় স্বেচ্ছাচার?
তবে এটা বলতে বাধ্য হচ্ছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও যেন কোন কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে একটু বেশিই প্রশ্রয় দিচ্ছেন। যে প্রশ্রয় তারা সমস্ত সাফল্যকে খুব সহজেই ম্লান করে দেয়। আওয়ামী সরকারকে দার করিয়ে দেয় অযাচিত প্রশ্নের মুখোমুখি।

[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২২
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×