somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুসলমান বাঙ্গালী যে ভাবে পোষাকে অবাঙ্গালী হয়ে উঠল (দ্বিতীয় পর্ব)

২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রাচীন ভারতে পোশাক পরিচ্ছদ বলতে যা ছিল তা মূলত এক ফালি সাদা সরল বস্ত্র। যে বস্ত্রখানি মহিলারা ব্যবহার করলে হয়ে উঠত শাড়ী আর পুরুষ ব্যবহার করলে ধুতি। এক কথায় এ অঞ্চলের মাতৃ বস্ত্র হল শাড়ী। ঐতিহাসিক নীহার রঞ্জন রায় তার ‘বাংলার ইতিহাস: আদি পর্ব’ গ্রন্থে লিখেছেন, প্রাচীনকালে পূর্ব-দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতে সেলাই করা কাপড় পরার চল ছিল না।


ঐতিহাসিকদের মতে সংস্কৃত ‘শাটী’ যার অর্থ ‘এক ফালি বস্ত্র’ থেকে ‘শাড়ি’ শব্দটির উৎপত্তি। সে হিসেবে শাড়ির শুরু তিন হাজার বছরেরও আগে। আমরা যার বিবর্তিত একটি রূপ দেখতে পাচ্ছি। মহাভারতের ধ্রুপদীর যে বস্ত্র হরণের উল্লেখ ছিল তা ছিল শাড়ী। গুপ্ত যুগের বিখ্যাত কবি কালিদাসের কুমারসম্ভব-এ শাড়ির উল্লেখ ছিল। গুপ্ত আমলের অজন্তা ইল্লা গুহার প্রাচীন চিত্রাবলীতেও ঐ এক ফালি বস্ত্র বা শাড়ীর অস্তিত্ব দেখতে পাওয়া যায়। যেখানে পুরুষ একভাবে তার ব্যবহার করত আর নারীরা অন্যভাবে।


তখন এই এক ফালি বস্ত্রই ছিল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এ অঞ্চলের নাড়ি-পুরুষের একমাত্র বস্ত্র। সেলাইবিহীন বস্ত্র ব্যবহারের রীতিতে পরিবর্তনের মূল ঢেউটি এসে লাগে সম্রাট অশোকের সময় যখন মৌর্য সাম্রাজ্য পারস্য, আফগানিস্তান পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে। পারস্য-আফগান সংস্কৃতির সংস্পর্শে এসে এখানকার স্থানীয় অভিজাত পুরুষদের মধ্যে এক ধরনের আত্তীকরণ দেখতে পাওয়া যায়। অর্থাৎ ইল্লা অঞ্চলের পুরুষদের মধ্যে তুর্কি-আফগান সংস্কৃতি বিশেষ প্রভাব ফেলতে শুরু করে। বিশেষ করে তাদের রঙিন পোশাক এবং আলখাল্লা। এর পূর্ব পর্যন্ত সাধারণ মানুষ কেবল সেলাই ছাড়া সাদা শাড়ী আর কালিদাসের বর্ণনানুযায়ী তাতে নীল পাড় এটুকুনই দেখে এসেছে। তবে গৃহ পুরবাসিনী নারী এবং নিন্মবিত্তদের মধ্যে পারস্যের খুব একটা প্রভাব লক্ষ করা যায় না। অর্থাৎ এতদ অঞ্চলে শাড়ীর আবেদনে কখনোই ভাটা পড়েনি। এমনকি সাধারণ পুরুষের ক্ষেত্রেও ধুতিই ছিল প্রধান বস্ত্র। যদিও অনেক সময় তারা দুই খণ্ড বস্ত্র ব্যবহার করতেন। একখণ্ড ধুতির মত করে নিন্মাংগ আচ্ছাদনে আরেক খণ্ড রোদের থেকে বাঁচতে ঊর্ধ্বাঙ্গে পেঁচিয়ে নিতেন। সম্ভবত সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক দুর্বলতাই ছিল তার প্রধান কারণ।


উচ্চবিত্তের পোশাকের যে পরিবর্তন সূচিত হয়েছিল সেখানে ধর্ম কোন উপলক্ষ ছিল না। সেটা ছিল নিতান্তই নতুনের প্রতি আকর্ষণ মাত্র। কেননা এই পরিবর্তনটা এসেছিল জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে। আলোচ্য চিত্রটি গুপ্ত সাম্রাজ্য তথা খৃষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর যা পরবর্তী প্রায় এক হাজার বছরেও খুব বেশী পাল্টায় নি। ইতিমধ্যে শাড়ীর বুনন উন্নত হয়েছে, মিহি সুতো এসেছে, শাড়ীতে রঙ এসেছে, পাড় এসেছে। নতুন নতুন ডিজাইনে ধুতি শাড়ী সমৃদ্ধ হয়েছে ঠিকই কিন্তু তার আবেদন কমেনি। এ অঞ্চলে আলাদা আলাদা ধর্ম বর্ণের অস্তিত্ব ছিল ঠিকই কিন্তু পোষাকে তার তেমন কোন প্রতিফলন ছিল না।

মৌর্য, গুপ্ত, চালুক্য, চোল, পল্লব-পাণ্ড্য রাজন্যবর্গের হাত ঘুরে ৭১২ খৃষ্টাব্দে আরব সেনানায়ক মুহাম্মদ বিন কাশিম কর্তৃক প্রথম এ অঞ্চলে মুসলমানদের কর্তৃত্ব শুরু হয়। পরবর্তী ১২০৬ থেকে ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দিল্লি সলতনৎ ১৫২৬ থেকে ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত মুঘল শাসন। তৎ পরবর্তী দুইশ বছর ইংরেজ শাসন।

সুদীর্ঘ এই সময়ে এ অঞ্চলের মানুষ পরিচিত হয়েছে নানান সংস্কৃতির সাথে। স্বাভাবিক ভাবেই পোশাকে, আচারে, ভাষায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। আবহমান বাংলার সংস্কৃতিতে যুক্ত হয়েছে নিত্য নতুন বিষয়। একই সাথে নিজস্ব সংস্কৃতি ক্রমশ উন্নত হয়েছে। আবহমান বাংলার সংস্কৃতিতে যুক্ত হয়েছে ভিন্ন সংস্কৃতির বিভিন্ন অনুষঙ্গও। কিন্তু নিজস্ব ঢঙে নিজস্ব সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরেই এগিয়েছে বাংলা ও বাঙ্গালী সংস্কৃতি। বাঙ্গালী ধর্মান্তরিত হয়েছে ঠিকই তবে তা মননে, পোষাকে নয়।


তারা একই পুকুরে স্নান সেরেছে, এক নদীতে মাছ ধরেছে, কৃষিকাজ করেছে, যাত্রাপালা দেখেছে তারা হাতে হাত রেখে প্রকৃতির রুঢ়তা বা মানব সৃষ্ট দুর্যোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে আবার যার যার প্রার্থনা গৃহে গিয়ে উপাসনাও সেরেছে। এ হচ্ছে একেবারেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা। তবে সে সময় তারা যে খুব সুখে ছিল তাও নয়। তবে জাতিগত বিভেদ ছিল না।

মুঘল আমলের শেষাংশে এসে এই চিত্রটা পাল্টাতে শুরু করে। তখন থেকেই মূলত হিন্দু-মুসলমানের অর্থনৈতিক পরিবর্তন সমাজ কাঠামোতে এক ধরনের ক্ষয়িষ্ণুতার জন্ম দেয়। এর সাথে ক্ষমতার পালাবদল সহ সমাজ-কাঠামোর উপকরণে ভিন্নতা সৃষ্টি ক্রমশ হিন্দু – মুসলিমের মধ্যে বিভেদের দেয়াল তুলতে শুরু করে। যার প্রথম ধাক্কাটা এসে পরে ১৭১৩ মতান্তরে ১৭১৪ সালে। হিন্দু-মুসলমানের মধ্যকার ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং সংঘর্ষ রূপ নেয় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায়। সেটাই ছিল ভারতবর্ষের প্রথম দাঙ্গা। এছাড়াও ভারতবর্ষে আর্য থেকে মুসলিম প্রবেশ পর্যন্ত জাতিতে জাতিতে, গোত্রে গোত্রে যেসব রক্তপাত হয় সে সব ঘটনা ছিল রাজনৈতিক ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। যার সাথে সাধারণের সম্পর্ক ছিল না।

আহমেদাবাদের সেই দাঙ্গাই মূলত প্রতিক্রিয়াশীলদের চোখ খুলে দেয়। পরবর্তীতে ইংরেজ শাসকরা সেখান থেকেই রাজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে এই কূট কৌশলটা গ্রহণ করে। তারা বুঝতে পারে ভারতবর্ষে ধর্মে ধর্মে সংঘাত লাগিয়ে দেয়াটাই হবে এ অঞ্চলে টিকে থাকার কার্যকর কৌশল। ইংরেজদের কূটকৌশল এবং অর্থনীতিতে ইঙ্গ-মার্কিন পূঁজির প্রভাবে দিনে দিনে এ অঞ্চলে দাঙ্গার চরিত্রে রাজনৈতিক রঙ লাগতে শুরু করে।

উপরোক্ত বিষয়টি আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করার কারণ হল বাংলার সংস্কৃতিতে এর প্রচ্ছন্ন প্রভাব। পূর্বেই উল্লেখ করেছি ইংরেজ শাসকগণ শুরুতেই চেয়েছিল ধর্মে ধর্মে সংঘাত লাগিয়ে দিতে কিন্তু বাঙ্গালী হিন্দু মুসলিম যদি একই পোশাক একই সংস্কৃতিকে লালন করতে থাকে তাহলে তো তাদের মধ্যে স্থায়ী সংঘাত সৃষ্টি সম্ভব নয়। কাজেই এদেরকে পোশাকে, ভাষায়, উৎসবে আলাদা করে ফেলতে হবে।
এ ক্ষেত্রে তারা ধর্মকে ব্যবহার করতে শুরু করল। তারা ধুতিকে হিন্দুয়ানী পোশাক, জলকে হিন্দুদের ভাষা, নবান্নকে হিন্দুদের উৎসব বলে চিত্রায়িত করল। আর এটা করতে তারা তৎকালীন মুসলিম নেতা এবং মৌলভীদের ব্যবহার করলেন।
তারা সূফীবাদের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত বাঙ্গালী মুসলমানদের পোশাকি মুসলিমে রূপান্তরিত করার চেষ্টা চালাতে লাগলেন। যেখানে যুক্ত হল পারস্পরিক বিদ্বেষ, হিংসা হানাহানি। মুসলমান বাঙ্গালীদের এই পোশাকি মুসলিম হয়ে ওঠাটা ছিল নিছক এক শঠতা। তারা মহানবী(সঃ) যে হাদিস সমূহকে কে এর পেছনে যুক্তি হিসেবে দেখাল তা হচ্ছে-
মহানবী (সঃ)হযরত আলি রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কে দুইটি হলুদ রঙয়ের কাপড় পরা অবস্থায় দেখলেন। তিনি তখন বলেন, এই রঙ কাফেরদের জন্য, এই রঙের কাপড় পরিধান করবেননা না।
– কিতাব মুসলিম শরীফ: হাদিস শরীফ নং ২০৭৭।
অন্য এক হাদিস শরীফে এসেছে , “এক লোক দুইটা লাল পোশাক পরা ছিল; আর সে হুযুর পাক (সঃ) কে সালাম দিলো। হুযুর পাক (সঃ) তার সালামের জবাব দিলেন না। কারণ লাল রঙ্গের পোশাক কাফেরদের জন্যে আর কাফেরদের সালাম দেওয়া নিষেধ। – আবু দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ।
তৃতীয় আরেকটি হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে সামঞ্জস্য রাখে সে তাদের দলভুক্ত।’ – সুনানে আবু দাউদ শরীফ ২/৫৫৯।
অন্য এক হাদিস পাওয়া যায় যেখানে বলা হয়েছে “কোন একজন সাহাবী কাফেরদের পোশাক পরলে রসুলুল্লাহ (সঃ)বলেন ‘নিশ্চয়ই এটি কাফেরদের পোশাক। তোমরা তা পরিধান করো না।’– সহীহ মুসলিম শরীফ: ৬/১৪৪।

উপরোক্ত হাদিস সমূহের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলা হল কাফেরদের পোশাক মানে বিধর্মীদের অনুকরণে পোশাক পরিধান করা নাজায়েয। যেমন ইহুদী-খৃষ্টান পুরোহিতদের পোশাক। হিন্দুদের ধুতি-লেংটি, মাজার পূজারীদের লালসালু এবং শিয়াদের অনুকরণে পূর্ণ কালো পোশাক ইত্যাদি।

উপরোক্ত আলোচনায় এটা নিশ্চয়ই পরিষ্কার হয়ে যায় যে ধুতি বিজাতিয় পোশাক কিনা তা ছাড়া পাঠক নিজেই বিচার করতে সক্ষম হবেন যে এখানে হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা প্রদান করা হল কিনা।

এভাবেই বাঙ্গালী মুসলমানদের আত্মপরিচয় বর্জনের ক্ষেত্রে দ্বিধান্বিত করে তোলা হল। দ্বিধান্বিত বলছি এ জন্য সবাই তাদের এই ধারনায় উদ্বুদ্ধ হলেন না। ফলে বাংলার মুসলমান গনও বিভক্ত হয়ে পড়ল। ভাল ভাবে লক্ষ করলে দেখা যাবে, আজকের বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের যে থাবা বিস্তার করেছে তার পেছনেও এই সুদীর্ঘকালের ষড়যন্ত্রের যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়। যা পরবর্তী পর্বে আলোচনা করা যাবে।
চলবে....
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৮
৮টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×