somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রসঙ্গ: কওমি শিক্ষা সনদ স্বীকৃতি

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সনদ যদি চাকুরী ক্ষেত্রই তৈরি না করতে পারে সে সনদের কি লাভ? এই স্বীকৃতির সাথে কি শর্ত যুক্ত করে দেয়া হয়েছে যে তাদের সিলেবাসেও সমমানের সাধারণ পাঠ্যসূচী সংযুক্ত করতে হবে? সম্ভবত নয়। তাহলে কি হল; কওমি মাদ্রাসা থেকে লেখাপড়া শেষে সেই সনদে দরখাস্ত করা যাবে কিন্তু সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতদের সাথে লড়াই করে হেরে যেতে হবে। অর্থাৎ চাকুরীর সোনার হরিণ অধরাই থেকে যাবে।
অনেকে হয়ত বলবেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তার কথা। সেক্ষেত্রে বলব, বর্তমানেও কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষক নেই?
আছেন, তারা কওমি থেকে আসেন নি। এসেছেন আলিয়া মাদ্রাসা থেকে। কওমির পাঠ্যসূচি যদি যুগোপযোগী না করা হয় তাহলে আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথেই তো কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা হেরে যাবেন।
কাজেই আমি বলব কওমি শিক্ষার্থীদের সাথে এটা স্রেফ একটা প্রতারণা করা হল। তাদেরকে এই সনদ স্বীকৃতি প্রদান করে সরকার যেমন প্রতারণা করল একইভাবে তাদের শিক্ষা গুরুরাও তাদের সামনে একটি মুলা ঝুলিয়ে দিল।
বর্তমান কওমি মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ এক পর্যায়ে কওমি মাদ্রাসা ছেঁড়ে দিয়ে আলিয়া মাদ্রাসা এমনকি সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষা অর্জনের চেষ্টা করে যার প্রধান কারণ হল চাকুরীর বাজারে নিজেদের যোগ্য করে তোলা। এখন কওমির শিক্ষক গন ঐ সব ছাত্রদের এই বলে আটকে দেবে যে, কওমি পড়ালেখা করেও তোমরা সমান শিক্ষা সনদ পাবে অতএব কওমিতেই শিক্ষা জীবন শেষ কর। অনেকেই সেটা করবেনও ফলশ্রুতিতে তারা যখন চাকুরীর বাজারে প্রবেশ করবেন তখন দেখবেন তাদের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না। অথচ তখন তাদের আর কিছুই করার থাকবে না।
প্রশ্ন হল সরকার কি এভাবে একটি প্রজন্মকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিতে পারে?
ইসলাম তো সাধারণ শিক্ষাকে নিরুৎসাহিত করে না তাহলে কওমি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারীরা কেন কুরান-হাদিস এর পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার প্রতিও সমান জোর দিয়ে একজন শিক্ষার্থীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলছন না?
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৮
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×