somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দায়িত্বপ্রাপ্ত গন দায়িত্বশীল আচরণ করছেন না।

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


যেখানে দৃশ্যত এ দেশের মন্ত্রী মহোদয় গন পর্যন্ত তাদের এখতিয়ার ভুক্ত বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণে অপারগ হন, উপরের দিকে তাকিয়ে থাকেন। সেখানে সাধারণ পুলিশ নিজের ইচ্ছাতেই অনর্থক মারমুখী হয়ে উঠবে? তাঁরা অনর্থক এতটাই মারমুখী হয়ে উঠল যাতে আন্দোলন রত একজন ছাত্রের দু চোখের আলো পর্যন্ত নিভে যাওয়ার উপক্রম হল?

স্বাভাবিক ভাবেই এ প্রশ্নটা ওঠার কথা, হয়ত উঠবেও। তবে বাস্তবতা এটাই যে, এ দেশে ক্ষমতা প্রয়োগ প্রধানমন্ত্রী ব্যতিরেকে কেবল মাত্র প্রশাসনের নিন্মস্তরের কর্মচারী আর রাজনৈতিক কর্মী নামের স্থানীয় বা নিম্ন শ্রেণীর মানুষগুলোই করে থাকেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করেন দেশ ও জনগণের স্বার্থে আর নিম্ন স্তরের মানুষ গুলো ক্ষমতা প্রয়োগ করেন সম্পূর্ণরূপে ব্যক্তি স্বার্থে যার পুরোটাই হয়ে যায় জনস্বার্থ পরিপন্থি।

আমরা দেখতে পাই ব্যাঙ্কের একজন ম্যানেজারের থেকে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী সিবিএ নেতা যেমন অনেক বেশি ক্ষমতাবান তেমনি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের থেকে রাজনীতি সংশ্লিষ্ট সাধারণ কর্মচারীর দাপট অনেক বেশী।
কখনো কখনো তাঁরা এই ক্ষমতার দাপট দেখাতে গিয়ে আবার কখনো বা মূর্খ আনুগত্য দেখাতে গিয়ে এমন সব কর্মকাণ্ড করে বসেন যার তুলনা চলে, প্রভুর নাকের উপড়ে বসা মাছি মারতে গিয়ে তলোয়ারের ঘায়ে প্রভুকেই নিঃশেষ করতে উদ্যত হওয়ার গল্পের সাথে। আওয়ামীলীগের আকাশে এখন বড় বেশী সুখের পায়রারা ওরাওরি করছে। তাদের চেঁচামেচিতে একদিকে যেমন কান ঝালা পালা অবস্থা অন্যদিকে তাদের পরিত্যক্ত বিষ্ঠায় আওয়ামীলীগের ভূতলও ভয়ঙ্কর রকম নোংরা হয়ে পড়ছে।
কথাগুলো অনেকের কাছেই হয়ত ভাল লাগবে না। কারো কার কাছে হয়ত বিশ্বাসযোগ্য বলেও মনে হবে না, তবে এটাই চরম সত্য। একটু লক্ষ করে দেখুন তো চাঁদাবাজি, ঘুস, দুর্নীতি, বলপ্রয়োগ এ কাজগুলো কারা করছে? তার কোন শ্রেণীর মানুষ? সাধারণ মানুষের প্রাণ করা ক্রমশ ওষ্ঠাগত করে তুলছে? ব্যক্তিগতভাবে সমাজে তাদের অবস্থানই বা কোথায়?

রাস্তার পাশে ঝুরিতে পেয়ারা নিয়ে বসেছে একজন। একটু পড়েই একজন এসে টাকা চাইল, বেচারা দশ টাকা বের করে দিল। আর একটু পরে আরেক জন এসে পঞ্চাশ টাকা চাইল, তিনি তাও দিলেন। কারণ না দিয়ে তাঁর উপায় নেই। বেচারা কেঁদেই ফেলল টাকাটা দিয়ে। আমায় বলল, বিশ্বাস করুন স্যার আজ আমার একশ টাকাও লাভ হবে না। এমনিতেই বৃষ্টি, কাষ্টমার নাই তারপরে ওদের টাকা দিতেই হবে নইলে বসতে দিবে না। ঘটনাটা দুদিন আগে আমার সামনেই ঘটল টঙ্গি বাজারের সামনের মূল রাস্তায়।
পাঠক, একটু লক্ষ করে দেখুন আপনার বাসার সামনে যে ফেরিওয়ালা তরকারী বিক্রি করে তার কাছ থেকে কারা নিয়মিত চাঁদা আদায় করে। যে লেগুনায় আপনি যাতায়াত করেন তার চালকের কাছ থেকে কারা নিয়মিত চাঁদা আদায় করে। কারা এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়? পুলিশ প্রশাসনের এসব অজানা নয় জনশ্রুতি আছে পুলিশের লোকজন এদের কাছ থেকে মাসোয়ারা পান আর সেটা পান বলেই এদেরকে থামানর চেষ্টা করেন না উল্টো সহযোগিতা করেন। আপনিও তাদের চেনেন। সমাজের তৃতীয় শ্রেণীর কিছু মানুষকে ব্যবহার করে উপর তলার কিছু দুর্বৃত্ত। এই চাঁদাবাজরা এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকরা দুর্বীনিত-অপ্রতিরোধ্য। কেন?
তাঁর পেছনের প্রধান কারণগুলো হল; তাঁরা রাজনৈতিক পৃষ্ট পোষকতা পায়, প্রশাসনের সহযোগিতা পায়। দেশে আইনের শাসন নেই সর্বোপরি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা গন নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করেন না। কেন করেন না তার পেছনেও আছে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন।
তৃতীয় শ্রেণীর(অবস্থান গত ভাবে) মানুষজন স্বভাবগত ভাবেই বেপরোয়া, লোভী এবং উচ্চাভিলাষী এবং নির্মম প্রকৃতির হয়। তাদের লাগাম টেনে ধরার জন্য দ্বিতীয় এবং প্রথম শ্রেণীর (অবস্থান গত ভাবে) মানুষকে প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হয়। তাঁরা যখন সেই কাজটি করেন না বা করতে ব্যর্থ হন তখন সর্বত্রই অরাজকতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী হন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।
আমি এটা বলছি না যে প্রথম ও দ্বিতীয় (অবস্থান গত ভাবে) শ্রেণীর মানুষগুলো দুধে ধোঁয়া তুলসী পাতা। তাদের মধ্যেও যে সব দুর্বৃত্ত আছে তাদেরকে সামলানোর দায়িত্বটাও বাদ বাঁকি আদর্শ মানুষগুলোর। আমাদের দেশে আসল শূন্যতাটা ওখানেই। আমরা সেই দায়িত্ববান মানুষগুলোকেই পাচ্ছি না।

[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×