somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোন অবস্থাতেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন নয়!

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কোন অবস্থাতেই ডাকসু নির্বাচন দেবেন না। মনে রাখবেন আজ ডাকসু নির্বাচন দিলেই কাল রাকসু। তার পরদিন সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। আর এক বার যদি সেটা হয়ে যায় তাহলে আজ যারা দেশে রাজ করছেন কাল তাদের টিকিটিও খুঁজে পাওয়া যাবে না। যেচে বিপদ কেন ডেকে আনবেন?

যে দেশের রাজনীতি একজন রিকশাচালকের ছেলেকে মাত্র দুই-তিন বছরে রাতারাতি কোটিপতি বানিয়ে দেয়। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, দখলবাজি ও জুয়ার আসর বসানোর সুযোগ করে দিয়ে। স্বনামে বাহিনী গড়ে তুলতে সাহায্য করে। সে দেশের রাজনৈতিক নেতাদের চরিত্র বুঝতে খুব বেশী বিদ্বান হতে হয় না।
তবে রহস্য একটা থেকেই যায় আর তা হল, এই সব রাজনীতিবিদদের হাতে এমন কি যাদুর কাঠি আছে যার ছোয়াতেঁ দেশের কোটি কোটি মানূষ তাদের পালিত ভেড়া বনে থেকেন যুগের পর যুগ ধরে!

রহস্যটি রহস্য হয়েই থাক। আবার যদি তেমন কোন ক্যারিশমাটিক নেতৃত্ব ছাত্র নেতৃত্বের পাইপলাইন থেকে বেড়িয়ে আসে তাহলেই তো বিপদ! যদি তাঁর স্পর্শে এই যাদুর কাঠিটি ভেঙ্গে টুকরো হয়ে যায়, তখন কি হবে?

আমরা তো দেখেছি নব্বইয়ের গন আন্দোলন এই ছাত্রদের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল এমনকি সফলতার মুলেও ছিল সেদিনের ছাত্র নেতারা। কাজেই এ দেশে আর যেন কোন দিন কোন ছাত্র নেতা তৈরি হতে না পারে সেদিকে আপনাদেরই যত্নবান হতে হবে। ছলে,বলে কৌশলে যে করেই হোক ডাকসু নির্বাচন ঠেকিয়ে রাখতেই হবে।

এরশাদ ক্ষমতায় থাকতে যদি একটিও ভুল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন সেটি ছিল এই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে অসংখ্য ছাত্র নেতা তৈরি হতে দেয়া। এরশাদকে বধীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেদিন যারা বেড়ে উঠছিল শেষ পর্যন্ত এরশাদের পতন তাদের দ্বারাই সম্ভব হয়েছিল। আপনারা সেই ভুলটি কস্মিন কালেও করবেন না যেন।
নিশ্চয়ই আপনাদের মনে আছে রেশাদের শাসনামলের দীর্ঘ ৯ বছর ধরে মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই এরশাদ বিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা রেখেছিল যার ফলশ্রুতিতে শেষপর্যন্ত নব্বইয়ের গন অভ্যুত্থান সংঘটিত হতে পেরেছিল।
আপনারাও নিশ্চয়ই নিজেদের জন্য এমন দিন দেখতে রাজি নন! অতএব কোন অবস্থাতেই এ দেশে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হতে দেয়া যাবে না। আর সে কারণেই কোন ছাত্র সংসদ নির্বাচন নয়।

এরশাদের পতনের পর আওয়ামীলীগ-বিএনপি উভয়েরই যথার্থ উপলব্ধি হয়েছিল যে এই ছাত্র নেতারাই ক্ষমতার পালা বদলের প্রধান নিয়ামক শক্তি। অতএব যথেষ্ট হয়েছে আর নয়। তারপর থেকে গত ২৭ বছর ধরে দল দুটি তাদের সব থেকে সফল কর্ম সূচি হিসেবে ডাকসু নির্বাচন ঠেকিয়ে রেখেছে।

আজ যারা ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পক্ষ কথা বলছেন তাঁরা হতে পারেন দেশ প্রেমিক কিন্তু আওয়ামী লিগ বা বিএনপি কোন দলেরই যে শুভাকাঙ্ক্ষী নন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অতএব নিজ নিজ দলের স্বার্থকে প্রাধান্য দিন। দলীয় লুট পাট কারী নেতাদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রাখুন একই সাথে যে নেতৃত্ব আপনারা রেখে যাচ্ছেন তারা যে কতটা গ্রহণযোগ্য তা তো আপনারা ভালোই জানেন তাদের ভবিষ্যৎ পথ মসৃণ করেও তো রেখে যেতে হবে, তাই না? দেশে অনেক নেতা আছে তাদের সামলানোই দায় নতুন করে আর কেন উপদ্রব তৈরি করা। এ সব নেতারা তো আবার যা বলবেন তাই গলাধঃকরন করবেন না। তাঁরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবেন। তাঁরা দুর্নিতিমুক্ত সমাজ চাইবেন তাঁরা গণতান্ত্রিক পরিবেশ চাইবেন আরো কত কি?
কোন দরকার নেই এদের সুযোগ করে দেয়ার তাঁর থেকে বরং যা করছেন সেটাই করুন। যেভাবে অশিক্ষিত, বর্বর, তোষামোদকারী, দুর্নীতিপরায়ন তরুনেরা রাজনীতিতে আসছে তারাই আসতে থাকুক। আর যাই তাঁরা কোনোদিনই নেতার কর্মকান্ড নিয়ে মাথা ঘামাতে আসবে না। কোনদিনই নেতাকে চ্যালেঞ্জ করে বসবে না। অতএব ভাল আছেন ভাল থাকুন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×