লুটপাট হয়ে গেছে সব
ধানের গোলা, চাষের বলদ।
মেছমার হয়ে গেছে চাষের ক্ষেত।
কিশোরী মেয়েটা ধর্ষিতা
বাড়ীর উঠোনে পরে আছে তাঁর রক্তাক্ত লাশ।
একমাত্র ছেলেটাকে হাচরে পাছড়ে নিয়ে গেছে শকুনের দল।
মাথা গোজার ঠাইটুকুও জ্বলে জ্বলে নিঃশেষ।
অপরাধ কি ছেনুয়ারার পরিবারের?
জন্ম ভিটা আঁকড়ে পরে থাকাই ছিল তাদের একমাত্র পাপ।
মুহুমুহু গুলির শব্দ চারদিকের হাহাকার
বাচার আকুতিতে ভাঁড়ি বাতাস জানান দিচ্ছে,
অধিকার নেই তোমাদের।
এতটুকু অধিকার নেই এখানে আবাস গড়ার।
বিশাল পৃথিবীতে তাঁদের আশ্রয় মিলবে কোথায়?
জন্মভিটায় নেই অধিকার, জ্বলছে গ্রামকে গ্রাম।
লক্ষ লক্ষ মানুষ উদবাস্ত সেথা।
ছেনুয়ারাদের চোখের জল শুকিয়ে গেছে
আগুনও জ্বলে না আর এখন সে চোখে।
নিঃস্পৃহ চোখ তাঁর শূন্যে ধাবমান
বুঝি স্রষ্টারে খোজে প্রাণপণ।
এ ধরায় নেই মানুষ, বাড়ছে কেবল হিংস্র হায়েনার ভিড়।
এখানে মৃত্যু সহজ, অসম্ভব বেঁচে থাকা।
কেননা তাঁর পরিচয় সে রোহিঙ্গা।
=====================
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪