আমার ঊনসত্তর থেকে পঁচাত্তর লেখার সময় রাগীমনের সাথে একটা বিতন্ডায় প্রায় জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছিলাম।
শুধু মাত্র পারষ্পারিক সম্মান আর শ্রদ্ধাবোধের কারনে সে্টা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছিল।
---------------------------------------------------
বংগবন্ধু কক্ষোণোই স্বাধীনতা চান নি, চেয়েছিলেন স্বাধীকার, তিনি ভারতের স্বার্থ দেখছিলেন না তখন, দেখছিলেন বাংগালি জাতির সম্মানবোধ।
আমি শুধুমাত্র বংগবন্ধুর প্রজ্ঞার ওপর জোর দিয়ে বলতে চাই যে ত্রিশ লাখ মানুষের আত্মবলী, দু'লাখ নারীর সম্ভ্রম আর ষাট হাজার যুদ্ধ শিশুর জন্মের দায় তা'লে তিনি কিভাবে এড়াতেন?
------------------------------------------------------
আজ থেকে ঠিক একচল্লিশ বছর আগের এই দিনের একটি স্মৃতি আপনাদের সাথে সহভাগ করছি। আর এই সহভাগের সম্পূর্ন কৃতিত্ব ব্লগার নুরুজ্জামান মানিকের।
আজ যে সাতই মার্চ, ভারত তোষনের এই অতন্ত্য লজ্জাজনক সময়ে আমি তা সম্পূর্নই বিস্মৃত হয়েছিলাম।
এক্ষণে আমি মনে করতে চাই যে বংগবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কক্ষণো ভারত তোষণ করেন নি বরং বাংলাদেশের মাটিতে যাতে ভারতীয় সৈন্য দীর্ঘদিন তাদের উপস্থিতির জানান না দেয় সে জন্যে অত্যন্ত কার্যকরী ব্যাবস্থা নিয়েছিলেন।
হায়রে আম গাছেও আমড়া ফলে।
এইদিনে আমি একচল্লিশ বছর আগেঃ
"এক ব্যাক্তি এক ভোটের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হিসেবে আত্ম প্রকাশ করে। নির্বাচনোত্তর দিন গুলোতে আমরা ঢাকার দিকে তাকিয়ে থাকতাম। অধিবেশন পিছিয়ে দেয়া, ক্ষমতা হস্তান্তরে গরিমসি এসব চলতে থাকে। সে সময়টায় আবার বন্দী জীবনে ফিরে যাই। ৭ই মার্চ, ১৯৭১। আমাদের অধ্যক্ষ লে: কর্নেল ফজল ই হক এবং এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপটেন জুবেরীকে( দু জনেই অবাংগালী) অনেক বলে কয়ে জ্যেষ্ঠরা রাজী করালেন বংগবন্ধুর ভাষন শোনাবার ব্যবস্থা করতে। আমরা ৩০০ ছাত্র অধীর আগ্রহে বসে আছি কান খাড়া করে। কিন্তু প্রতীক্ষাই সার। কিছুই শুনতে পেলাম না।
কদিন পরই ঢাকার প্রশাসন যখন পুরোপুরি বংগবন্ধুর হাতে চলে গেল আমাদের কলেজ অনির্দিষ্ট কালের জন্যে বন্ধ হয়ে গেল।"
-"ঊনসত্তর থেকে পঁচাত্তর" পৃষ্ঠা-৩৪, প্রকাশক শব্দ শৈলী, ৩৮/৪, বাংলা বাজার, ঢাকা-১১০০।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:০৩