somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আই ডোন্ট কেয়ার | আড়াই ঘন্টার অত্যাচার | মুভি রিভিউ

৩১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[স্পয়লার এলার্ট]

মুক্তির আগে থেকেই ববির অর্ধনগ্ন একটা পোস্টারের জন্য "আই ডোন্ট কেয়ার" সিনেমাটি আলোচনায় ছিল। ববির দাবী পরিচালক ফটোশপ করে এই পোস্টার বানিয়েছেন। সিনেমায় অবশ্য পোস্টারের দৃশ্যটি পাওয়া যায়নি। হলে গিয়েও পোস্টার দেখে কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ নিয়ে ঢুকে গেলাম সিনেমা দেখতে। ভীড়ের ভিতর অনেক কষ্টে একটা টিকিট জোগাড় করলাম। এই প্রথম দেখলাম শুধু পরিচালক এবং সিনেমার নাম দিয়ে সিনেমা শুরু হল। অন্য কোনো কলাকুশলীর নাম নেই। সিনেমার মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছে বাপ্পী, ববি, নিপুন, নূতন, প্রবীর মিত্র, মিশা সওদাগর।

শুরুতেই দেখা গেল বাপ্পীকে ফাঁসির রায় দেয়া হল। রায়ের পর পুলিশ অনেকগুলো "প্রাইভেট কার(!)" এবং একটি "ঘোড়া(!)" দিয়ে বাপ্পী কে নিয়ে যাচ্ছে। সম্ভবত পুলিশ রা এখন আপডেট হয়ে আসামী নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন কালার ও মডেলের প্রাইভেট কার ব্যবহার শুরু করেছে। কিন্তু সামনে একটা ঘোড়ায় পুলিশ কে দেখে মনে হলো অলিম্পিকের কোনো একটা রেস হচ্ছে যেখানে প্রতিযোগী ঘোড়া ও প্রাইভেট কার। কিন্তু যেই রাস্তা আর যেই এলাকা দিয়ে বাপ্পী কে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল প্রত্যেক সিনেমায় সেই একই জায়গা দেখে চোখ পঁচে যাচ্ছে। কুঁয়োর ব্যাঙও তো এসব দেখে লজ্জা পাবে। এই পর্যায়ে বাপ্পী পুলিশ কে মেরে দৌড় শুরু করলো। তার পেছন থেকে প্রাইভেট কার গুলো হাওয়া হয়ে মোটর সাইকেলের আগমন ঘটলো। কিন্তু বাপ্পীকে ধরতে মোটর সাইকেল গুলোর বেশ বেগ পেতে হলো। এইবার দেখা গেল বাপ্পী যেই উড়ে উড়ে মোটর সাইকেল চালক কে লাথি মারছে তার ঠিক আগেই চলন্ত মোটর সাইকেল গুলো একেবারে স্থির হয়ে আছে। সবশেষে বাপ্পী ঘোড়ার সামনে দিয়ে অদৃশ্য তারে ঝুলে ঝুলে গিয়ে ঘোড় সওয়ার পুলিশ কে লাথি মারলো, লাথি খেয়ে পুলিশ কই গেল জানিনা কিন্তু বাপ্পী একেবারে ঘোড়ার ড্রাইভিং সিটে বসে গেল। কি তেলেসমাতি কারবার! ঘোড়ার সামনে দিয়ে উড়ে এসে উড়ন্ত অবস্থাতেই দিক পরিবর্তন করে ঘোড়ার উপর বসলে সুপার ম্যানও মাইন্ড খাবে।

বাপ্পী এর পর আলীরাজের কাছে তার কাহিনী বর্ণনা শুরু করলো। ফ্ল্যাশব্যাকে বাপ্পীর এন্ট্রি দেখে প্রথমে ভাবছিলাম সে কোনো মাফিয়া টাফিয়া হবে। মনে হয় ডিরেক্টর সাব এক শটের জন্য ভুলেই গিয়েছিল বাপ্পী মাফিয়া কিংবা ডন না। পরে যখন তার মনে পড়লো বাপ্পী তো ডন কিংবা মাফিয়া না। তাই এবার নিপুন কে আনলেন তার বোন হিসেবে। নিপুন দেখি আরেক চীজ। সবসময় এ্যাপ্রোন পরা তিন চারটা ডাক্তার আর দুইটা নার্স নিয়া ঘোরে। বুঝলাম না চামচা বা সখির বদলে সে একেবারে হাসপাতালে ডাক্তার নার্স নিয়া ঘোরে ক্যান? বাপ্পীর কথা শুনে মনে হল তাদের বাবা নিপুনের জন্য ডাক্তার রেখে দিয়েছেন। যেন ডাক্তার রা বাজারের খেলনা জিনিস তাই কিনে এনে রেখেছেন।

আমাদের নায়িকা ববি গাড়ি নিয়ে গ্রামের ভিতর ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। সেই কারনে বাপ্পী নায়িকা কে ধরে এনে বিচার ডেকেছে। বিচারে নায়িকার মা নূতন কে পরিচালক ভুল করে নায়িকার পোশাক পরিয়ে দিয়েছে সম্ভবত। দর্শক নায়িকাকে দেখে না চিল্লায়ে নায়িকার মা কে দেখে চিল্লায়। বিচার শেষে নায়িকা আর নায়িকার মা মাঠের ভিতর পানির মাঝে আছাড় খাওয়া শুরু করলো আর তখনই শুরু হল "জলের কুমীর ভাইসা গেছে পাতে"
এই ব্যাটারে পানিতে চুবাইয়া শেখানো উচিত জল আর পানি এক জিনিস। এই গানের অত্যাচার শেষ হওয়ার ২০সেকেন্ডের মাঝে শুরু হল "রুপের মাইয়া একবার চাইয়া গো ভাব লাগাইয়া পরান কাড়িলো"
কোনোমতে এই গানের অত্যাচারও সহ্য করলাম।

দ্বিতীয় গান শেষ হওয়ার পর ববিরে দেখলাম গ্রামের খোলা পুকুরে গোসল করছে (থাক ড্রেসের কথা আর কইলাম না) আর শয়ে শয়ে চেংড়া পুলাপাইন তাদের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্ট ফোন নিয়ে সেইটা ভিডিও করছে। একটা মেয়ে গ্রামের খোলা পুকুরে এই ড্রেস পরে গোসল করতে পারে তা নিশ্চিত ট্রেডমার্ক গাঁজাখোরের মাথা থেকে বেরিয়েছে। আর সেই গোসল করার দৃশ্য শয়ে শয়ে ছেলে ভিডিও করছে, নায়িকা সেদিকে তাকিয়েও দেখছে না এইটা নিশ্চিত গাঁজাখোর এলিয়েনের মাথা থেকে বেরিয়েছে। কারন মানুষের বুদ্ধির লেভেল এত নিচে নামা সম্ভব না। এতক্ষন সব ঠিকই ছিল, যেই বাপ্পী পুকুর পাড়ে এলো তখনই ববি তার ইজ্জত নিয়ে সতর্ক হলো।
শত শত পোলাপাইন ভিডিও করছে তাতে কোনো চ্যাতব্যাত নাই আর নায়কের আগমনেই ইজ্জত কা সাওয়াল। ববি বাপ্পী কে শিক্ষা দেয়ার জন্য মাজারে গেল ফকির বাবার কাছে। ফকির বাবার মাজারে আবার গান "তোমরা একতারা বাইজাইও না"। পরপর তিনটা গানে মাথা হ্যাং হইয়া গেল।
কিন্তু ববিরে দেইখা মনে হইলো মাজারে সে কামে আসেনাই, ড্যান্স দিতে আইছে। ঘুইরা ফিরা বাবার কাছে যায় আবার ড্যান্স দেয়। সে এক এপিক দৃশ্য। বাবার কাছ থেকে কি না কি ওষুধ এনে সেটা দিয়ে পায়েস বানিয়ে বাপ্পীকে খাওয়াতে গেল। উল্টা নিজেই খেয়ে কান দিয়ে ধোয়া বের করতে লাগলো। কি বিস্ফোরক পায়েস রে বাবা! এইবার শুরু হল গান। বারো মিনিটের ব্যবধানে চারটা গান। ডিরেক্টরের নিশ্চিত ডায়ারিয়ার মতো গানরিয়া হয়েছে।

একটু পর দেখা গেল নিপুন চুল আচড়াতে আচড়াতে চিরুনি তে চুল লাগিয়ে ফেলেছে আর তাই দেখে চিক্কুর দিয়ে কাঁদছে। বাপ্পী জিজ্ঞাসা করলো, "কি হয়েছে চাঁদ কি হয়েছে?" নিপুন বলল, "চুউউল" :-P
নিপুনের এই চুল পড়ার জন্য বাপ্পী সেই ব্যাটাকে ধরলো যে ব্যাটা তারে তিব্বত কদুর তেল দিয়েছিল। চামের উপ্রে ডিরেক্টর সাব তিব্বত কদূর তেল রে পঁচায়া দিলো। বাপ্পী সেই দোকানদারের মাথা ন্যাড়া করে দিল। আর তখন কই থিকা একটা লবণের বস্তা হাজির হইয়া গান গাওয়া শুরু করলো। এতটুকু দেখে নিজের চুলই সেই কদূর তেল মেখে ছিড়তে ইচ্ছা করছিল। আঠারো মিনিটের মাঝে ৫টা গান দিয়া দিছে। তাও একেকটা গান শুনলে প্রেশার বাইড়া যায়। শেষ পর্যন্ত আধাঘন্টার ভিতর ৬টা গান দেখিয়ে তার ডায়রিয়া সারলো।
এই সিনেমায় চিকন মতো একটা কমেডিয়ান রে দেখলাম। ও নায়কের লগেও থাকে নায়িকার লগেও থাকে। এই ব্যাটারে দুধভাত বানায়া থুইছে দেখি। নাহয় পরিচালক ভুলে গিয়েছিল এই চিকনা কার নায়ক না নায়িকার চামচা।
এই সিনেমায় যেসব চ্যালা প্যালা ব্যবহার করা হয়েছে সেইগুলা একেবারে ইউনিফর্ম পরা। একবার মনে হল তারা সবাই আর্মড পুলিশের ড্রেস ধার করে পরছে আরেকবার তারা RAB এর পোশাক ভাড়া করে পরছে। প্রত্যেকটা ইউনিফর্মই কোনো না কোনো বাহিনীর সাথে সাদৃশ্যপূর্ন।

এদিকে নিপুন ম্যাডামের নাম তো আসমানের চাঁদ। তিনি রাস্তা দিয়ে ডাক্তার আর নার্সের দল নিয়ে লংমার্চ করে। লংমার্চ করতে করতে ঘোড়সওয়ার ভিলেনরা চাঁদ কে আক্রমন করে আর তখনই আকাশ থেকে আকাশ নেমে চাঁদ কে রক্ষা করে। নিউটন আইনস্টাইনের তত্ত্বের চেয়েও বাংলা সিনেমার এ তত্ত্ব শক্তিশালী। নায়িকা বিপদে পড়লে নায়ক আসমান থেকে পড়বে।

এক পর্যায়ে দেখলাম পুলিশের সাথে মারামারি করছে বাপ্পী। এতে নিজেদের গুলিতেই চারটা পুলিশ মারা গেল। আর শেষে মিশা এসে বাপ্পী কে খুনি বানানোর জন্য নিজেই পুলিশ কে গুলি করে মারলো। চিরকাল সিনেমায় দেখে এলাম পিস্তলে খুনির ফিঙ্গারপ্রিন্ট থাকে আর এইখানে ফাঁসি হল বাপ্পীর। এই ফাঁসির আসামি কে আলিরাজ প্যারোলে মুক্ত করে মি. টয়োটা বানালো। এই টয়োটা ববিদের বাড়িতে ঢুকলো। কিন্তু সেখানে ঢুকে ববির সাথে রোমান্স করার চেয়ে ববির মায়ের সাথে বেশি রোমান্স করলো। পরিচালক এবারও ববির চেয়ে ছোট পোশাক পরাচ্ছেন তার মা কে। আমি এইবার একদম সিওর সব পোশাক নায়িকার জন্য বানানো হয়েছিল এবং সেটাই নায়িকার মাকে পরানো হচ্ছে।

কিছু জগাখিচুড়ি মার্কা পাগলামীর পর ববি জানতে পারলো টয়োটাই সূর্য(বাপ্পীর নাম ছিল সূর্য)। এই সিনেমায় ববির ভূমিকা কি সেইটাই বুঝলাম না। হঠাত হঠাত পর্দায় উপস্থিত হয় কিন্তু কোনো কাজ নাই। পুরাই আকাইম্মা। এতক্ষন সে টয়োটার সাথে রোমান্স করছিল, যখন জানলো সে সূর্য তখন সে সূর্যের প্রেমে পড়লো। কেন পড়লো বুঝা গেল না। ববি তার মা কে বলল টয়োটাই সূর্য। বুঝলাম না টয়োটার যদি কোনো কামই না থাকে তবে ক্যান টয়োটা চরিত্রের আগমন হলো? বাংলা সিনেমার ফর্মুলা অনুযায়ী শেষ দৃশ্যে ভিলেন বনাম নায়ক মারামারি হলো এবং ভিলেন মরে সাফ হয়ে গেল। যাক কোমোমতে একটা সিনেমার অত্যাচার হজম করলাম।

সিনেমার কালার ক্যারেকশনের ঠিক নাই। পুরা সিনেমাই অন্ধকার্। আবার একশন দৃশ্যে অদৃশ্য তার দ্বারা হাস্যকর উড়াউড়ির চেষ্টা করা হয়েছে। এই উড়াউড়ি ফিজিক্সের সব সূত্র কে হার মানিয়েছে। আবার উড়ন্ত ব্যক্তিদের শার্টের পেছনের কলার পিরামিডের মতো উচু হয়ে থাকে। এই সিনেমার পরিচালক গাঁঞ্জাখোরই নয়, অসুস্থ মস্তিষ্কের। সে ববির ছবিকে ফটোশপ করে অর্ধনগ্ন পোস্টার বানিয়েছে। এইসব পরিচালক যতদিন থাকবে ততদিন আমাদের সিনেমা মাথা তুলে দাড়াতে পারবে না।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:১৮
১৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×