দুপুরের খাবার খাচ্ছি আর ভাবতেছি,,
আহা..কাল থেকে তো আর কেউই জিজ্ঞাস করবে না, "লাঞ্চ করছি কিনা! কিংবা কেউ বলবে না, খাওয়া টেবিলের উপ্রে রাখছি খেয়ে নে! :-)
.
অথবা কোথাও গেলে ও কেউ নাস্তা দিবে না! বলবে না দুপুরের খাবার খেয়ে যাইও! :-)
.
কাল থেকে অনেক কিছুতেই পরিবর্তন আসবে...
-"যে ছেলেটা বা মেয়েটা সারাদিন খাওয়ার উপর থাকত! তারাও কাল থেকে আর খাওয়ার ঘরে যাবে নাহ। ভুল করে কিছু খেয়ে পেল্লে ও সাথে সাথেই মুখ থেকে পেলে দিবে!
,
-যে ছেলেটা সাপ্তাহে একদিন জুম্মার নামাজ ছাড়া আর মসজিদের পাশে দিয়ে ও হাটত না, কাল থেকেই তাকে দেখা যাবে মসজিদের প্রথম কাতারে!
.
-যে মেয়েটা প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই "স্টার জলসা, জি বাংলা" নিয়ে ব্যস্ত থাকত! কাল থেকেই সে ইফতার তৈরীতে ব্যস্ত থাকবে!
.
-চা-দোকানীরা, হোটেল বাবুর্চিরা ও কাল থেকে আর সকাল ৬টায় নিয়ম করে ঘুম থেকে উঠবে নাহ,
খুলবে না তাদের একমাত্র উপার্জনের দোকানটাও!
.
-মা গুলো, বউ গুলো, আর কাজের মেয়ে গুলো ও কাল থেকে আর সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার তৈরি করবে নাহ।
.
আর কাল থেকে আরো অনেক কিছুতেই পরিবর্তন আসবে! আমাদের চলাফেরায়,কথাবার্তায়, আচার-আচারনে সব দিক থেকেই....!
.
কিন্তু কেনো এই পরিবর্তন? আপনার রবের হুকুম পালন করার জন্যেই তো নাকি?
আসলে রোজা এমন একটু ইবাদত যেখানে লোকদেখানোর কিছুই নেই। কারন আপনি ইচ্ছা করলেই কোন গোপন ঘরে ডুকে কিছু খেয়ে নিতেন পারেন। কিন্তু খাচ্ছেন না কেনো?
-এর উত্তর একটাই! আপনার রব সব দেখতেছে..!
"যিনি আমাদের অন্তর অন্তস্থলের খবর জানেন। যিনি গভীর সাগরের ভিতর মণি-মুক্তোর খবর রাখেন। যিনি শস্যের ভিতর তার দানার খবর রাখেন!" তিনি ওই আল্লাহ..যার জন্যেই আমরা রোজা রাখব!! :-)
.
যাইহোক, কাল থেকে রোজা শুরু...আমাদের চলাফেরা, আচার-আচারন নিয়ন্ত্রণ করা আমাদেরই দায়িত্ব। ইনশাল্লাহ, আমরা রোজা অবস্থায় এমন কোন কাজ করব না, যাতে আমাদের রোজার কোন ক্ষতি হয়! আর একটা কথা, রোজা কিন্তু এক ফরজ! আর নামাজ দিনে ৫ ফরজ! সুতারাং আমরা রোজা রেখে নামাজ যথাযথ ভাবে আদায় করিব!!
.
আল্লাহ, আমাদের সকলকে সুস্থ এবং সুন্দরভাবে ৩০ টা রোজা শেষ করার তাওফিক দান করুক!...
-আমিন!! :-)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮