গত মার্চ মাসের মাঝামাঝিতে ঘুরে এলাম নয়নাভিরাম বৈচিত্রময় এক ফুলের রাজ্যে। যেদিকে চোখ যায় শুধু বিভিন্ন রং আর ধরনের ফুল আর ফুল। যেন রঙের মেলা। যেন আকাশ থেকে রংধনু নেমে এসেছে মাটির পৃথিবীতে। যেন হঠাৎ করে একটুকরো স্বর্গে এসে পড়েছি! একটু দেরীতে হলেও তাই চলে এলাম ব্লগার বন্ধুদের মাঝে সেই রঙ বিলিয়ে দিতে।
জেদ্দা শহর থেকে ৪শ কিলোমিটার দূরে আরব লোহিত সাগরের তীরে অবস্থিত ইয়াম্বু শহরে গত মার্চ মাসব্যাপী চলেছে ১২তম ফ্লাওয়ার অ্যান্ড গার্ডেন ফেস্টিভ্যাল ২০১৮। ১২তম হলেও এবারই আমার প্রথম যাবার সৌভাগ্য হয়। জেদ্দা থেকে সকালে রওনা দিয়ে ইয়াম্বু পৌঁছতে দুপুর হয়ে যায়। যেহেতু শহরটা সাগরের কোল ঘেঁষা আর উৎসবে ঢোকার অনুমতি মেলে সেই বিকেলে, তাই প্রথমে সাগর তীর বেড়িয়ে আসার পরিকল্পনা করি। সেখানে বসে দুপুরের খাবার সেরে বেশ কিছুক্ষন বেড়িয়ে বিকেলের দিকে রওনা হই উৎসবাভিমুখে। যাওয়ার পথে মুগ্ধ হয়ে শহরটা দেখছিলাম। খুব সুন্দর করে সাজানো গোছানো একটা শহর। যেন নতুন একটা শহর তৈরি করা হয়েছে এবং এখনো মানুষের বসবাস শুরু হয়নি! রাস্তাঘাট একদম জনমানব শূণ্য। পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন। আর মূল ফুল উৎসব এলাকা ছাড়াও পুরো শহরজুড়েই ফুলের ছড়াছড়ি। দেখলেই চোখ এবং প্রান দুটোই জুড়িয়ে যায়।
১। মূল ফটকে ঢোকার মুখে এমন লম্বা দেয়ালজুড়ে ফুলের টব বসিয়ে সাজানো।
২। ভেতরে ঢোকার পর প্রথমেই নির্দেশিকা।
৩।ফুলের পাহাড়!
৪। আায়নায় প্রতিবিম্ব।
৫। ফুল বিছানো দু'খানি পথ।
৬। এখানে গাছ সম্পর্কে নানা তথ্য সরবরাহ করা হয়।
৭। মনিটরে গাছ সম্পর্কিত ডকুমেন্টারি দেখানো হচ্ছে।
৮। বাক্সবন্দী ক্যাকটাসেরা।
৯। কয়েক রঙের ফুলের সারি।
১০। ফুল দিয়ে ঘর, পাখির খাঁচা ও এমন বিভিন্ন ধরনের আকৃতি তৈরি করা হয়েছে।
১১। পাতাকপির মত বড় বড় ফুল। এই ফুল আমি আগে কখনো দেখিনি!
১২। উৎসব মূলত ভিন্ন ভিন্ন রঙের এই ফুল দিয়ে সাজানো।
১৩। উৎসবে দেখা বেশিরভাগ ফুলই চিনিনা! এটারও নাম জানিনা।
১৪। আরেকটি ফুলের পাহাড় বা টিলা।
১৫। ফুল দিয়ে খুব সুন্দর একটা গেইটের মত বানানো।
১৬। উৎসব এলাকার চারপাশ এমন পাম গাছ দিয়ে ঘেরা।
১৭। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুলের কার্পেট হিসেবে দু'বার এ উৎসব গিনেস রেকর্ডে নাম লেখায়!
১৮। নার্সারি এরিয়া। এখান থেকে দর্শনার্থীরা চাইলে পছন্দের গাছ কিনে নিতে পারে।
১৯। ফেরার পথে নামফলকের শেষ একটা ক্লিক।
২০। ইয়াম্বু সী বীচ।
অনেক ছবি দিয়ে ফেললাম! আজকের মত এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
(সবগুলো ছবি ব্যক্তিগত মোবাইলে তোলা)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২৩