বর্তমানে দেশ যেভাবে চলছে তাতে মনে হচ্ছে, দেশে নিয়ম কানুন আইন কানুন বলতে কিছুই নেই। সরকারী দল বলছে সাহস থাকলে আমাকে নামাও। রাস্তায় নামলেই বিরোধী দলকে পিটিয়ে বিতাড়িত করা হচ্ছে। অন্যদিকে নিরুপায় বিরোধী দল বলছে অন্দোলন করেই এই সরকারকে নামানো হবে। বিরোধী দলকে সংঘাতের দিকে আহবান করছে এই সরকার। যেভাবে তারা লঘি-বৈঠা দিয়ে সংঘাত করে মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকারকে বসিয়েিেছল।্ কিন্তু এমনটা তো হবার কথা ছিল না।
এটা কিসের আলামত ? রাজনীতিবিদরা কি আমাদের পিচিয়ে আদিম যুগে নিয়ে যাচ্ছেন। যেখানে শক্তিই মূখ্য। শক্তিই যাতে মূখ্য না হয় সেই জন্যই তো এই সভ্যতার প্রয়োজনে আইন তৈরি করা হয়েছে। আইন অনুযায়ীই সব হবে। শক্তিতে নয়। একটি দেশ কিভাবে পরিচালিত হবে তার জন্য ঐ দেশের অবশ্যই নিজস্ব আইন-কানুন রয়েছে। বর্তমানে যে সরকার ক্ষমতায় রয়েছে এই সরকার মোটেও জনগনের ভোটে নির্বাচিত নয়,এই বক্তব্যের সাথে দেশের ৯৫% মানুষ একমত। কিন্তু সরকারের কিছু নেতা-মন্ত্রী লজ্জা শরম বাদ দিয়ে অনবরত বলেই যাচ্ছেন যে, এই সরকার ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। এই কারনে নাকি তারা ৫ বছর ক্ষমতায় থাকবেন। এর চেয়ে আজব কথা আর কি হতে পারে? স্বাধীনতার পর এই দেশের একটি নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে যে, এক সরকার কখনোও পর পর দুই বার ক্ষমতায় থাকতে পারে নি। সেই হিসেবে কোন সন্দেহ ছিল না যে, বিএনপি পরবর্তী সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। তার প্রমান সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন গুলোতে বিএনপি অপ্রতিরোধ্য ফলাফল করেছিল। আওয়ামী লীগ ভাল করেই বুঝেছে যে, তারা কোন মতেই নির্বাচনে জিততে পারবে না।
এই বার শুরু হল তাদের খেলা। নিয়মকানুন বাদ দিয়ে তথাকথিত নির্বাচন আয়োজন। এমন ভাবে এই আয়োজন করার কৌশল তারা করেন যে, বিরোধী দল কোনভাবেই যেন এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে না পারে। আর এই সব নাটকে কুশিলব এর ভ’মিকায় অবর্তীন হন মেরুদন্ডহীন নির্বাচন কমিশন, বিচারপতি খাইরুল। বিরোধী দলকে বলা হল, আমার অধীনে নির্বাচন করতে হবে। বিরোধী কেন শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবে ? আমরা দেশ বাসী আপনাকে জিঞাসা করি,আপনি কি বিএনপি নেত্রীর অধীনে ইলেকশনে গিয়েছিলেন ? আপনি তো নিরপক্ষে নন। সেটাতো আপনি উপজেলা ইলেকশনে গড়ায় গন্ডায় বুঝিয়ে দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ নেতা-নেত্রীরা ভ’লেই বসে আছেন ,এই দেশ লক্ষ কোটি মানুষের । এই দেশ তাদের কেনা কোন পৈত্রীক সম্পত্তি নয়। দেশের লক্ষ কোটি মানুষের মধ্যে কয় লক্ষ মানুষ সক্রিয় রাজনীতি করেন তা সকলেরই জানা। বেশির ভাগ মানুষ ভোট দেয় নীতি-নৈতিকথার উপর ভিত্তি করে। আওয়ামী লীগ একের পর এক নাটক করে বর্তমানে যেভাবে দেশ পরিচালনা করছে, তা কি এই দেশের মানুষ কিছুই খেয়াল করছে না ? দেশর মানুষ কি এতই বোকা? একের পর এক গেইম করছেন। দেশর মানুষ চোখে হাত দিয়ে বসে আছে? কোন কিছুতে ক’ল কিনারা না পেলে তখনই শুরু করেন যুদ্ধাপরাধী খেলা। ইচ্ছা হলে গনজাগড়ন (?) মঞ্চ বসান। আবার পুলিশ দিয়ে পিঠান। আবার কিছুদিন পর শুরু করেন জঙ্গিবাদ খেলা। বোমা -টোমাসহ কিছু মানুষ এরেষ্ট করেন। কিন্তু এভাবে কয়দিন?
ক্লাস ফাইভ পড়–য়া বাচ্চা ছেলেও বুঝে আপনারা বিনা ভোটে নির্বাচিত । বাংলাদেশে কোন শিক্ষিত মানুষ এই নির্বাচনকে বৈধ বলতে পারেন না। আবার কোন হিম্মতে লম্বা লম্বা কথা বলেন। ভোটে নির্বাচিত হলে কোন সরকার যা করেন না , আপনারা নির্বাচিত না হয়ে তা করছেন। আপনার বিচার বিভাগের উপর হাত দিচ্ছেন,আপনারা সংবাদ পত্রে হাত দিচ্ছেন। আপনার বিরোধী দলকে রাস্তায় নামতে দিচ্ছেন না। গুম করছেন। কে আপনাদের এই মেন্ডেট দিয়েছে। কোন সাহসে তা আপনারা করছেন?
আল্লাহর ওয়াস্তে দেশের মানুষকে বোকা ভাববেন না। আপনারা কোন মতেই ইলেকশন হলে জিততে পারবে না। তাই বলে এত অনিয়ম চলতে পারে না। এই দেশ আপনারা স্বধীন করেন নি। এই দেশ স্বাধীন করেছেন আমাদের মত সাধারন মানুষ । স্বৈরাচারীতা,পরাধীনতার শূঙ্খল থেকে মুক্তির জন্য আমরা এই দেশ স্বাধীন করেছিলাম। কিন্তু আপনারা তো সেই পাকিস্খানী স্বৈরাচারের মত আচরন করছেন। জনগনকে বাদ দিয়ে আপনারা যা ইচ্ছা তা করছেন। বিংশ শতাব্দীতে এসে আমাদের নতুন প্রজন্ম আপনাদের কাছ থেকে কি শিখছে ? শিখছে রাজনীতি হল চালাকি। রাজনীতি হল বিরোধী দলকে কৌশলে বাদ দিয়ে,জনগনকে বাদ দিয়ে ইলেকশন করা,রাজনীতি হল নিয়মনীতি বাদ দিয়ে তথাকথিত সংবিধানের দোহাই দিয়ে গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকা। রাজনীতি হল বিরোধী পক্ষকে পিটিয়ে কোনঠাসা করা। রাজনীতি হল সংগে থাকলে সংগী, আর দূরে থাকলে জঙ্গলী।
তাই অনুরোধ তথাকথিত সরকারের কুশিলবদের প্রতি অনেক হয়েছে এবার ইলেকশন দিন। নিয়ম অনুযায়ী আইন অনুযায়ী এই দেশ চলবে। গায়ের জোরে নয়। আমরা সংঘাত চাই না। আমরা জনগন আশ্ াকরি অবিলম্বে ইলেকশন দেওয়া হউক। সেই নির্বাচনে যদি আপনারাও নির্বাচিত হন তাহলে সবাই মেনে নেবে। অন্যথায় নহে।