মেয়েরা পণ্য , সুশীলরা ধন্য , বাজারে নামাও আর ব্যবসা কর !
Think differences; change the world এখনকার corporate শিক্ষিত সুশীলরা বলে! এই ধরণের কথা গুলুর সাথে আমার ঠিক যায় না। কোন দিক দিয়ে যায় না ? একটা দিক দিয়ে যায় না ! তা হল Think differences নামে মেয়েদেরকে পণ্য হিসেবে ইউজ করা আর ব্যবসা করা ।
নারীবাদীরা হাউকাউ করে নারীদের সমান অধিকার দিতে হবে সমান অধিকার চাই এবং প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সমান অংশ গ্রহন ইত্যাদি অনেক ক্যাচাল! আর তাঁদের সাথে সুর ও মিলায় কত গুলা হিজড়া, জন্মগত অক্ষম পুরুষ যারা নারীদের কে বাজারে ছেরে তাঁদের রোজগারে খেতে চায় ।
আর এই সুযোগ টাই গ্রহন করে corporate শিক্ষিত সুশীলরা ...। তারা বলে বেড়ায় মেয়েদের তো অনেক জায়গা কাজ করার !
শপিং কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে কর্পোরেট হাউস ! কোথায় নেই এরা !
মেয়েরা কাজ করবে সমস্যা নাই,তবে সমস্যা অন্য জায়গায় । শপিং কমপ্লেক্সে গেলাম সেলস ম্যান নারী , পরনে পোশাক জিন্স প্যান্ট আর টি শার্ট ওয়িদাউট উর্ণা ! রেজাল্ট ? ছেলেদের ভির লেগেই থাকে ! বেচা বিক্রিও মাসাল্লাহ !
রিসিপসনিষ্ট ! সেখানেতো সুন্দরী মেয়ে ছাড়া কোন কথাই নাই ! মিষ্টি করে কথা বলতে হবে না ? আজকাল তো ব্যাংকেও মেয়েদের কোটা বেশি । সুন্দরী মেয়ে দেখলে নাকি ক্লায়েন্ট বেশি করে আসে !
বিমা ও বিভিন্ন ধরণের এনজিও রা তো মেয়েদের কে সরাসরি পথে নামিয়েই ছাড়ছে !
বিমান বালা ! মেয়েরা শাড়ি পরে যা কিনা শাড়ির ভিতরের সব কিছুই দেখা যায় ! সেখানে যত বেশি শর্টস পোশাক পরতে পারবেন আপনার তত বেশি কদর এবং তত বেশি দিন চাকরী নিশ্চয়তার গ্যারান্টি ।
নতুন গাড়ি মার্কেটে আসবে ! গাড়ির চাইতে ফোকাস বেশি বক্ষ বের করা মডেলের দিকে! What’s the reason wants to know?
মেয়েরা কাজ করবে সমস্যা নাই ! শিক্ষকতার মত অনেক পেশা আছে যা কিনা তাঁদের আরও সম্মান বাড়ায় ! এই দিক দিয়ে সমান অধিকারীদের আরও উচ্চ কণ্ঠে আওয়াজ করা দরকার !
নারীবাদীরা নারীর স্বাধীনতা নিয়া আন্দোলন কর , নারীর অধিকার নিয়া আন্দোলন কর ,নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন কর , কিন্ত নারীর শালীনতার পক্ষে আন্দোলন কর না ক্যান ?
নারীর স্বাধীনতার কথা বলে পথে নামাইবা , টাইট – ফিট জামা পরাবা, শর্টস পরে ঘুরবা , চুল ছেরে ছেলেদের কে তার গন্ধ নিতে দিবা , নিজেদের বডির শেপ দেখাইবা আর আমরা ছেলেরা বসে বসে আঙ্গুল চুষবো ? ভাবলা ক্যামনে ? আমরা ছেলেরা জন্ম সূত্রেই সুযোগ সন্ধানি !
আর উর্ণাটা ? এটা সঙ্গে রাখা মানেইতো জঞ্জাল ! স্মার্টনেস আছেনা ! এটা স্বাধীনতার অংশ না ! উর্ণা থাকলে তো তোমার দিকে কেও তাকাবে না,তোমাকে কেও Care করবেনা ,তোমার দিকে কারো লুলুপ দৃষ্টি পরবে না ! তোমার একটা ডিমান্ড আছেনা ! উর্ণা থাকলে কি হয় !
Globalization এর যোগে সবাই স্মার্ট! এর পরোক্ষ অথবা প্রত্যক্ষ প্রভাব রয়েছে ! আর এর প্রভাবটা মেয়েদের উপর একটু বেশিই পরে ! পোশাকে ঝিলিক, সানি লিওন এর পর এবার পাখির পালা ! আর তাদের অনেকের চরিত্র ও হচ্ছে সানি লিওনির মত ! তাঁদের এতই প্রভাব যে পাখি ড্রেসের জন্য স্বামীকে তালাক দিয়েছে বাংলাদেশে !
মেয়েদের এই ধরণের অধঃপতন এর মূলে রয়েছে অনেক কারণ .........।
> অভিভাবকদের উদাসীনতা ।
> নারীবাদীদের উত্থান ।
> ধর্মীয় অনুশাসন না মানা অথবা প্রয়োগ না হওয়া ।
> খারাপ সঙ্গ ।
> ভিন্ন সংস্কৃতির প্রভাব।
> বর্তমানে Corporate সুশীলদের প্রভাব সহ ইত্যাদি অনেক কারণ !
কিন্তু উপরের কারণ গুলুর চাইতে তাদের অধঃপতনের সবচাইতে বড় কারণ হল তাদের নিজেদের অতিরিক্ত স্মার্টনেস দেখানো ! অনেক সময় অভিভাবক ও তাদের কাছে হার মানে । জলজ্যান্ত উদাহরণ হল আমাদের ভার্সিটির এক আপু যে কিনা ভার্সিটিতে আসে বোরকা পরে তারপর কমন রোমে গিয়ে বোরকা পালটিয়ে ভার্সিটিতে টি- শার্ট পরে ঘুরে বেড়ায় ! আমাদের ছেলে মহলে সে অনেক আলোচিত এবং তার অনেক সু..................নাম ! যদিও সে জানেনা !
আমাদের মেয়েদের ইজ্জতের মূল্য অনেক ! তাদের নিজেদের সচেতনতার পাশাপাশি অভিভাবকদের ও সচেতন হতে হবে । আর অবশ্যই ধর্মীয় মূল্যবোধটা মনের ভিতরে লালায়িত করতে হবে । দয়া করে তাদের কে অশালীন ভাবে মাঠে নামাবেন না ! নিজের বোন , নিজের ওয়াইফ, নিজের মেয়েকে অশ্লীল কর্পোরেট লেভেলে ঢুকাবেন না ! যেখানে দেহ দেখিয়ে ক্রেতা টানতে হবে ! যেখানে তাদের দেহের দিকে ছেলেদের লুলুপ দৃষ্টি থাকবে ! যেখানে যোগ্যতার চাইতে দেহকেই প্রাধান্য দেওয়া হয় । এতে করে আর যাই হউক সমাজ ভালো কিছু পাবেনা , শুধু মাত্র নারীর যৌন নির্যাতন ছাড়া !