somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ

১২ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটি কেস ষ্টাডি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত মাষ্টার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়েছেন - মো: মোশাররফ হোসেন, মাদ্রাসায় পড়াশুনা করা এ মেধাবী শিক্ষার্থী বর্তমানে একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বিষয়ে শিক্ষকতা করছেন। ২০০৭ সালে ওই বিভাগের মাষ্টার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়েছেন- আনওয়ারুস সালাম, যিনি বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক। আলীয়া মাদ্রাসায় পড়া-লেখার আগে প্রচন্ড এই মেধাবী শিক্ষার্থী কওমী মাদ্রাসা থেকেও সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জন করেছেন। ২০০৮ সালে একই বিভাগের মাষ্টার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়েছেন- আশরাফুল আলম, তিনিও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই বিভাগের শিক্ষক হিসেবে সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন। ঢাবির এই বিভাগটির চলতি (২০০৯) মাষ্টার্স পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছেন পাঁচজন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। যাদের মধ্যে দুজন অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছে। তাদের একজন অনার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়েছেন। একদা প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দু''জন শিক্ষকও মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেছেন।
এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অন্তত দু''জন শিক্ষক মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেছেন ।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।

১৯৮৬ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত আলিম পরীক্ষাকে উচ্চ মাধ্যমিক এর (এইচ.এস.সি) সমমান প্রদান করা হয়। ধর্মীয় বিষয় শিক্ষার প্রতি গুরুত্ত্বারোপ করে আলীয়া মাদ্রাসাগুলোর দাখিল ও আলিম শ্রেণীর সিলেবাসে বাংলা ও ইংরেজী বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই সিলেবাসে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর বাংলা ও ইংরেজী পাঠ্যসূচীর প্রায় অনুরূপ। তবে মাদ্রাসার সিলেবাসে ইংরেজী লিটারেচার ও গ্রামার এবং বাংলা সাহিত্য ও ব্যাকরণ এর দীর্ঘ সিলেবাস থাকলেও তাদেরকে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হচ্ছিল।

গত বছর মাদ্রাসায় পড়ুয়ারা আদালতের রায়ের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের বিষয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তারপরই ঢাবির সিন্ডিকেট তড়িঘড়ি করে এ বিষয়ে আইন পাশ করে। এবারও বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। দেখা যাক মহামান্য আদালত কী রায় প্রদান করেন। ...................

তবে এই অবসরে অজ্ঞজনদের মনে কিছু প্রশ্নের উদয় হয়েছে -

১. মাদ্রাসায় পড়াশুনা করা মেধাবী এই শিক্ষার্থীরা যে ঢাবির ৬টি বিভাগে ভর্তি হতে পারছেন না, তার দায়ভার কে নিবে?
২. দেশের অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কোন বিষয়ে পড়া-লেখার জন্য কোন জটিল আইন আরোপ করা না হলেও ঢাবিতে এই অদ্ভুত আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য কী। ওই ৬টি বিভাগে মেধাবী শিক্ষার্থী নিশ্চিত করা নাকি ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য রয়েছে?
৩. যদি মেধাবী শিক্ষার্থী ঢাবি কর্তৃপক্ষের টার্গেট হতো তবে, এবারে ঢাবির "খ"-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া আব্দুল আলিম কিংবা খ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজীতে সর্বোচ্চ নম্বর (২৮.৫০) পাওয়া মনির হোসেন, রোল নং- ১১৫৯৩২; কেন ইংরেজী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অথবা তার পছন্দের অন্য কোন বিষয়ে পড়তে পারবেন না?
৩. উদ্দেশ্য যদি ভিন্ন কিছু হয়, তাহলে কবি নীরব ।

ভাইজানরা/ আপুরা, এ বিষয়ে আপনাদের নিরপেক্ষ ও সুচিন্তিত মতামত আশা করছি।


জনাব মুবাশ্বির সাহেবের একটি পোষ্টই আমার এই লেখার অনুপ্রেরণা।

Click This Link

আরও উল্লেখ্য যে:
(ইংরেজী, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ এবং ভাষাতত্ত্ব- এই ছয়টি বিষয়ে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য আবারো শর্তারোপ করা হল। শর্তটি হল- উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় বাংলা ও ইংরেজীতে ২০০ নম্বরের শর্ত।)
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৬
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×