somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুপ্রিয় কবি নীলপরির "মহিয়সী" কবিতার অনুভবে

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




ভ্রমরের ডানা

আর তাকেও বলা যায় নক্ষত্র বলাকা পাখা~
হিম হিম বাতাসে যার ভালবাসা মধু মাখা..
যে ছুঁয়ে গেছে রহস্যাবৃত উষ্ণসাগর ঘেঁষে
মিহিদানা মিহিপ্রেম বালুকা বেলার দেশে...
উত্তর থেকে দক্ষিণ বক্ষোজ বলয় কোলে..
প্রকাণ্ড সুনামি বেগে ঊর্মিমালায় দুলে..

ইকারুসের মত যাকে ছুঁয়ে দিতে
প্রসন্ন মেঘের কোলে রঙ আঁকে
পাড়ার পটুয়ারা দিবারাত্রি হৃদয় আলতা দিয়ে..
রক্তিম দিগন্তরেখায় রঙিন নেশা ছুঁয়ে..

তাদের মত
আমি আটলান্টিক কিংবা প্রশান্ত নই প্রিয়তম..
আমি চির উষ্ণ প্রেমিকের বক্ষদেশ উজারিত
কোন হিমালয় কোলে গাঙ্গোত্রীর ঝর্ণাপাত..
কোন সীমান্তপ্রদেশ বাধা না মেনে
সমস্ত দুয়ারে আমার করাঘাত ....

আমি প্রেম..আমি সমুদ্র..আমি জল
আমি সরোবর উদ্ভাসিতা সরোজিনী দল..
ফুটি নয়ন মেলে নক্ষত্রপথে অধর তৃষা হয়ে.
প্রেমিক বুকে ধ্রুবতারা জ্বলে রহস্য ছোঁয়া পেয়ে..
আমি নক্ষত্রগতির নক্ষত্র নেশা, গভীর ঘন থেকে...
আমি মিনাকুমারী, অনন্ত হাসি, প্রেমিক বক্ষে জেগে....

.
...

.....

....


সুপ্রিয় কবি নীলপরি রচিত "মহিয়সী"

শীতল জ্যোৎস্নার সাগরে দাঁড়িয়ে ছিলেন আপনি! গাঢ় মধ্য নীশিথে!
এক আঁজলা রোদ নিয়ে হাতে!
ক্লিওপেট্রা নিজে কাজল এঁকেছিল আপনার চোখে! ভ্রূ -বিভঙ্গে লুকিয়ে ছিল রহস্যময়ী নেফারতিতি!
আর মুখের আদলে ভরা ছিল রাধিকার বিরহ।
আপনার চোখের জলশিল্পে যখন মুগ্ধ বাতাস বইতে ভুলে যেত ।
ঠিক তখন দ্বিধা -জর্জর আপনি একা, একা, ব্যথার অলঙ্কার গুলো খুলতেন খোলা বাতায়নের পাশে!
আর পালিয়ে যেত আপনার নার্সিসাস প্রেমিকের দল!
কিন্তু, জানেন কি হে মহীয়সী?
আপনার হাতের নিহত রোদের ভেতরেও জীবিত ছিল উষ্ণতা !
যে উষ্ণতাকে কুর্ণিশ জানায় এইসব নার্সিসাসেরা
যতটা দৃষ্টি সীমানায় আবদ্ধ হতে পারে
তার চেয়ে ঢের বেশী বিস্তৃত ছিল আপনার সাম্রাজ্য! আপনারই অগোচরে।
আপনি তো নিছক দর্শনীয়া নন! স্বপ্নহীন বিরান উপত্যকার আপনি স্বপ্নিকা!
অমাবস্যার নিগূঢ় অন্ধকার চিরে, মোহিনী আপনি, চন্দ্রকলার মতো প্রতিভাসিত হন!
আর এই স্বপ্নর জাদুকরীকে দেখে বারবার মুগ্ধ হয়েছে, হবে আপনার অদেখা পৃথিবী!
বিরহ যাপন যারা সহেনি কখনো। পায়নি প্রেমের সন্ধান!
তারাও আপনার বিরহ নদীকে স্পর্শ করে প্রেমের ছোঁয়া পেয়েছে!
আর মুগ্ধ বিস্ময়ের পুষ্পাঞ্জলিতে ভরে উঠেছে আপনার আঁচল!
আপনি হয়ত দাঁড়িয়ে ছিলেন, সবুজহীন লোহিত মরুভূমিতে !
কিন্তু হে মহীয়সী, আজ আপনার আঁচল ছাপানো ফুল পড়ে সেই -মরুভূমিই হয়েছে মরুদ্যান!





সবাইকে দীপাবলির শুভেচ্ছা রইল!!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬
২৯টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×