মিথ্যে বলোনা..
ধ্রুবতারা জানে তুমি আমার হতে চাওনি..
দিনের সকল ক্লান্তিশেষে শামখোল পাখিদের ঝাঁক
শান্ত নীড়ের পথে পাড়ি জমায় আড়িয়াল বিল..
প্রকান্ড আর্তনাদে উদাসী পবনের কানে কানে ওরা বলে যায়..
নেই নেই নেই...
করাতের মত রাতের দাঁতে আটকে থাকে
কর্কশ ঘুমহীন সেগুনের বন..
তবুও ফানুসের মত চৈতালি আকাশের বুকে অনাকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের উঁকি..
আমি তোমাতেই আছি..
অচেনা যুবকের বাহুডোরে বাধা তোমার সর্বাঙ্গ..
কখনো হরতকী চিবুক শ্যামাদের ফিন তুলে নেচে গেলে
শক্তপোক্ত পেশিবহুল বন্ধনে, উষ্ণ অধরের পেয়ালায়
খুঁজে নিও অমৃত হেমলক.. আমাকে খুঁজবে না জানি...
আমি নেই কভু কোন কামনার পরাগে...
আমি কবিতার জ্বলন্ত বুকে আছি, হতাশ কবির দীর্ঘশ্বাসে..
হরতাল অবরোধ হুলিগানের মিছিলে মিছিলে
ধুলোমাখা নিশ্চল পথের চাকায় নীরবে আমি ছেয়ে আছি....
যদি পার, আমাকে ডায়েরীর পাতায় রেখো , হৃদয়ে নয়..
কোন এক অবসরে চঞ্চল মন খুলে দুচার লাইন লেখো
এলোমেলো কালবৈশাখীর মতন..
দক্ষিনের ঘন কালো মেঘে
আমাকে চূর্ণ করার একান্ত অধিকার নিয়ে..
আবার ক্যাফেটেরিয়ায় সাঁঝবেলা প্রিয়তমের সাথে একান্ত কোন ক্ষণে..
জীবনের খেরোখাতার সমস্ত হিসেব মিলে গেলে..
যদি কখনো ভেসে উঠি ভুলে..
ডায়েরীর পাতায় আলতো করে চোখ বুলিয়ে নিও...
তারপর জ্বালিয়ে দিও...
মূলকাব্য-এখনো তোমারই আছি..
কবি- বৃতি
সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
ছবি- জেনস্টক
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪৬