আদিম যুগেও আমি বাকল পরেছিলাম...
যখন পরেছিলাম তখন আমি সভ্য হয়েছি
সভ্যতা বোনার আগে..
এরপর আমার আর পশুর মাঝে ফারাক ছিল
ওই একটাই ...
লিয়ান্ডাথিয়াল যুগে আমার পশম খুলে যায়নি,
বাকলও নয়..
এরপর আমি আগুন জ্বালিয়েছি,
সভ্যতার বীজ বুনেছি
মেসোপটেমিয়া থেকে ইনকার বুকে..
আমি বাকল খুলিনি বলে তখন মানুষ ছিলাম..
এরপর যখন মুখে বলতে শিখেছি
তখন আমি এগিয়ে গেছি
আমার কন্ঠে মায়ের বুলি এল, বর্ণমালা এলো..
আমি নতুন জীবন পেলাম...
অনুভব প্রকাশের..
আমি একসময় দেখলাম
ভাষার জন্যে রক্ত দিচ্ছে তরুণের দল..
ওদের জন্যে
রমনার বটমূলে দীপ্ত কন্ঠে উচ্চারিত হতে দেখেছি-
কাঁদতে আসিনি, ফাসির দাবী নিয়ে এসেছি..
আমি দীপ্তিময় ইতিহাসের স্বাক্ষ্য হয়েছিলাম...
এরপর কেটেছে বহুদিন...
এখন দুহাজার আঠারো
রাস্তার ধারে পিজ্জা, সেন্ডউইচ..
আমি আরো আধুনিক হলাম..
রাজপথে রাজপথে, ঘরে ঘরে
মানুষের হৃদয় হতে..
আমি শুনলাম পশুদের বুলি..
মানুষ থেকে পশুতে রুপান্তর
এবার দেখছি ঝাঁকে ঝাঁকে...
আমি জানি এরা একদিন নামবে সব বাকল খুলে ...
রাস্তায়, পার্কে, স্কুলে, শপিংমলে..
জানি না, কাল না পরশু, কবে...
সেদিনও কি আমাকে ওদের বলতে হবে....
বাহ!! দেবদূত??
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০২