সাধারনত ডমেস্টিক কন্ফারেন্সে এ্যাটেন্ড করতে হলে আমাকে অপশন দেওয়া হতো, যে প্লেনে না সিনকানসেনে (বাংলায় ''বুলেট ট্রেন'' বলে) যেতে চাই। এসব ক্ষেত্রে আমি অবধারিত ভাবে ট্রেনটাকেই বেছে নেই, আমি কিছুটা হ্যাংলা টাইপের বলে
নিজের টাকায় অবধারিত ভাবে আমি এই সব ফালতু হ্যাংলামি করবো না এটা নিঃশ্চিত।
যায়হোক রচনা শুরু করি, বহুত কেয়ারফুলি আমাকে ছবিগুলো বাছাই করা লাগছে। আমার আবার ছবি উঠানোতে বিশেষ অনিহা আছে। কোথাও বেড়াতে গেলে দেখা যায় যে আমার ক্যামেরা ব্যাগ থেকে বেরই করা হয়নি, এদিয়ে টুর শেষ করে বাসায় চলে আসছি।
ভালো কথা, একটা জিনিশ লক্ষ করেছি যখন দুইটা বুলেট ট্রেন পাশা পাশি ক্রস করে তখন আমার ট্রেনটা কিছুটা অপজিট দিকে হেলে যাচ্ছিল। আবার ক্রস করা শেষ হলে স্বাভাবিকে ফিরে আসছিল। ব্যাপারটা বেশ মজার ছিল।
প্রথমেই স্টেশন (টোকিও), স্টেশনে না গেলেতো আর ট্রেনে উঠতে পারবোনা, হা হা হা ..........................................ফালতু জোক!
কিছু স্টেশনে ঘুরাঘুরি ছবি
আমার ট্রেন..............তবে আমি মালিক না মালিক কে আমি জানি না।
ট্রেনের ভেতরে আহামরি কিছুনা
''ভেতর বলে বাহিরে তাকাও না'' টাইপ ছবি
কন্ফারেন্স স্পটে যাওয়ার জন্য কিছুটা পথ লোকাল ট্রেনে আর চামে কিছুটা লুলামি কোন জাপানিজ ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেই ''ক তে কাদের মোল্লা'' হয়ে যায়। নমুনা এখানে দেখেন
এবার কন্ফারেন্সে সামান্য কিছু ডাল ভাত। তবে পেট পুরে খেয়েছিলুম
এরা নাকি জাপানের ইয়াং বিজ্ঞানী, ঐ রং চটা জিন্স পরাটাকে দেখে টাস্কি খাইছিলাম। বেটা নাকি রিনাউন্ড প্রফেসর !!!!!!!!
এবার এক মহা মানবের বদান্যতায় জাপানের সিক্রেট ল্যাবরেটরি ভ্রমন, কিছু প্রোটোটাইপ দেখা
১০০০'' ৩ডি টিভি, যা দেখতে চশমা লাগেনা
হলোগ্রাফি ডিসপ্লে। মানে টেবিলের মধ্যে গর্ত আর গর্তে মধ্যে থ্রিডি মুভিং অবজেক্ট। ছবিতে ভালো বোঝা যায় না।
আরও অনেক ছবি ছিলো কিন্তু সে গুলো আমি তুলিনি, অন্যকেও তুলেছে আর সেই সময় আমি ক্যামেরার সামনে ছিলাম।
আমি আবার অন্যের তোলা ছবি নিয়ে মাতোব্বরী করিনা
ফেরার পথে সম্ভবত ক্যামেরা আমার ব্যাগেই ছিল, কই ফেরার ছবিতো খুঁজে পেলাম না। আজব...........।