অবৈধ পথে ফেসবুক ব্যাবহার করাতে সারা বাংলার সবাইকে একে একে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে।জেলের মধ্যে সবার যায়গা দিতে পারতাছেনাহ সরকার।এর উপর কিছু ভিআইপি জেলে গিয়েও নিজেদের ক্ষমতা কাজে লাগাইয়া জেলের এক একটা সেল একাই দখল করে শুয়ে বসে আছে।কয়েকজনরে দেখলাম এসির ব্যাপারে খোজ লাগাইতেছে।
এসব ভিআইপি দের তালিকায় প্রথমেই আছে পলক ভাই।জনগনের প্রানের নেতা।যার হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন আরো এক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে।সে নিজে ফেসবুক থেকে ধুরে থাকলে তো আর সরেজমিনে রিপোর্ট পাওয়া যাবেনাহ।আসলে পলক ভাই ফেসবুক বন্ধ কিনা বা অবৈধ ভাবে ফেসবুক ব্যাভার করা যায় কিনা সেটার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ঘেটে দেখতেই ফেসবুকে একটু উকি দিয়েছিলেন।
এরপরে নিজেদের ক্ষমতার দেখিয়ে যে কটা মানুষ খুব ভাব নিতেছে তারা ক্ষমতাশীল দলের অফিসিয়াল পেইজটা চালাইতো।এরা এদিক ওদিক পাইচারী করতাছে আর ফিস ফিস করে কার সাথে যেনো ফোনে কথা বলতাছে।ওপাশ থেকে তেমোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছেনা বলে মুখ কালো করে বিড় বিড় করে তার চৌদ্দ ঘুষ্ঠি উদ্ধার করতে করতে ফোন রেখে আবার পাইচারী শুরু করতেছে।তবে এরা পুলিশের সাথে বেশ খাতির জমিয়ে ফেলছে কেউ কেউ পুলিশ রে দেখাইতেছে কেমনে অবৈধ পথে ফেসবুক ব্যাভার করা লাগে।কৌশলে পুলিশরে হাত করার পায়তারা যাকে বলে।
এরপরে আছে সেলিব্রেটিরা।এদের দুইটা ভাগ আছে।মিডিয়া আর ফেসবুক সেলিব্রেটি।মিডিয়ার সেলিব্রেটিদের কে কাছে পেয়ে মানে একই জেলের সেলে কাছাকাছি গায়ে গা ঘেষে বসার সুযোগ পেয়ে তাদের অনেক ভক্তরা নিজেদের ট্যালেন্ট জাহির করতে বেশ ব্যাতিব্যাস্ত হয়ে পরছে। অনেকেই সেলফি তুলার ফোনটা পুলিশের বেদখলে থাকায় সেলফি তুলতে না পারার যন্ত্রনায় মন খারাপ করে বসে আছে।একজন অর্ধ বয়সী ভদ্রলোক নায়লা আফার সাথে তার দাঁত নিয়ে আলোচনা শেষে একটা সেলফি তোলার বিশাল আক্ষেপ নিয়ে মন খারাপ করে এক কোনায় বসে আছে।
সব থেকে কষ্টে আছে লেখক সমাবেশ।তাদের দিকে সবার নজর কেমন জানি ব্লগার ব্লগার।(আমাদের দেশে ব্লগার মানেই নাস্তিক।এন্টি ইসলাম।এদের জন্যই দেশে এতো খারাপ অবস্থা।) এরা মাথার মধ্যে অনেক লেখা সাজিয়ে ফেলছে যার এক একটা হতে পারে নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার মতো।যার এক কবিতা লেখা হলেই সারা বিশ্বে তোলপার হয়ে যাবে।এদের কেউ কেউ খুব চেষ্টায় আছে বাইরে থেকে কোনরকমে একটু খাতা কলম ম্যানেজ করার তবে পুলিশ সেদিকে খুব কড়া দৃষ্টি রেখেছে।কোনভাবেই সেটা সম্ভব নয়।এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করে শেষে জেলের এক কোনায় কবি সভা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সবাই।
আরিফ আর হোসাইন খুব সুবিধাবাদি লোক এই সময়কালে তিনি ফ্যামিলিকে সময় দেবার নাম করে ফেসবুকেই আসে নাই।সিডাটিপ দা কক নিয়ে ব্যাস্ত তাই এসবের ধারে কাছে নাই বেশ কিছু দিন ধরেই কদিন কদিন আগেও মাঝে মাঝে উকিঝুকি দিতেন এখন আর তার কুনো পাত্তাই নাই।মাঝদিয়ে বাজে রকম ভাবে ফাইসা গেছে ইশতিয়াক ভাই আর নোমান ভাই।ইশতিয়াক ভাই এর মাঝেও একাধিক সেলফি দিয়ে ফেলছে,নোমান ভাই লিখে ফেলেছে অনেক ইস্ট্যাটাস।
তবে সব থেকে মজায় জেলের দিন গুলো কাটিয়ে দিতেছে ফলোয়ার সম্প্রদায়।এরা অনেক কষ্ট করে খুজে পেয়েছে এই সেলিব্রেটি দের।একেবারে কাছে চাইলেই ধরে ছুয়ে দেখা যায়।এক হাত দূরে বসে আছে প্রিয় লেখক।যাদের কে মেসেজ করে দিনের পর দিন অপেক্ষার পরে একটা উত্তর পাওয়া গেছে আজ চাইলেই তাদের সাথে অনেক কথা বলা যাবে।বলা যাবে ভাই ফ্রেন্ডলিস্ট কি ভইরা গেছে।
দিন দিন অবৈধ পথে ফেসবুক ব্যাবহার বেড়ে যাচ্ছে এ নিয়ে সাংবাদিকরা ঢালাও নিউজ করাতে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা নিজে চলে আইসা জিজ্ঞেস করিয়া বসিয়াছে, ও ভাই তুরা কি হ্যাক কইরা ফেলছোস আমার ফেবুরে??
পুলিশ এর এএসপিঃ(ফোনে) স্যার আমাগোরে থানায় তো ওই জুকারে আইছে ওরেও হান্দায়া দিমু নাকি?
-কস কি ওরে একটা ভিভিআইপি সেলে আটাকা আমি আসতাছি।ওয় তো যত ঝামেলার সৃষ্টি করে দেশে দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে।আইজকা পাইছি ওরে!!
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৮