somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিয়েতে কোনটা জরুরী??

০২ রা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কনে পক্ষের চাহিদার শেষ নেই। পাত্রকে স্মার্ট-সুদর্শন হতে হবে। শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। ব্যাংক ব্যালেন্স থাকতে হবে। পারিবারিক ঐতিহ্য ও সামাজিক সম্মানজনক অবস্থান থাকতে হবে।
পাত্র পক্ষের চাহিদাও কম নয়। কনে সুন্দরী হতে হবে। সাধারণ সুন্দরী নয়, অনন্যা রূপসী। উল্লেখযোগ্য একাডেমিক ডিগ্রী থাকতে হবে। শারীরিক গঠন ও উচ্চতা হতে হবে ঈর্ষণীয়। তাছাড়া প্রয়োজনেরর সময় পাত্রকে সাপোর্ট দেয়া বা খুশি করার মতো পারিবারিক সামর্থ্য থাকতে হবে।
আমাদের দেশের শিক্ষাঙ্গন সমূহে দুর্নীতি এবং সেশনজটের যে অবস্থা, স্বাভাবিক নিয়মে পড়ালেখা শেষ করতে একজন শিক্ষার্থীর বয়স ২৪-২৭ হয়ে যায়। এরপর শুরু হয় চাকুরির পিছনে দৌড়। বর্তমান সময়ে একটি ভালো চাকুরী যেন সোনার হরিণ। মোটামুটিভাবে কিছু একটি করে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে একজন যুবক প্রায় ত্রিশের কাছাকাছি অবস্থান করে।
প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় নানা প্রথা ও আনুষ্ঠানিকতার নামে বিবাহ ব্যাপারটিকে আমরা অনেক জটিল করে ফেলেছি। এখন বিয়ে মানেই বাহারি আয়োজন। জমকালো ব্যবস্থাপনা। একগাদা টাকার রমরমা লেনদেন। বিয়েকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠিত এসব সামাজিক প্রথা অনেকের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন মেয়ের পিতার কাছে তেমনি অপ্রস্তুত পাত্রের কাছেও ভয়ের। এর কারণেও সাধারণ পাত্ররা বিয়ের দিকে ধাবিত হতে ভয় পান। প্রস্তুতির নামে ধ্বংস করেন জীবনের মূল্যবান সময়।
পড়ালেখা, ক্যারিয়ার, চাকুরী, নিজেকে প্রতিষ্ঠাসহ নানাবিধ কাজে ব্যস্ত থাকলেও, প্রশান্তি থাকে না মনে। সেই মাধ্যমিক স্তরে যে জীবনের অনুভব আসে, সেই চাওয়াগুলো ডালপালা মেলে ভেতরে ভেতরে। মানবিক গুণাবলীগুলোকে অস্বীকারের কোন সুযোগ থাকে না।
নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষাব্যবস্থা, সহশিক্ষার বিরূপ প্রভাব, আকাশ সংস্কৃতি ও প্রযুক্তি পণ্যের সহজলভ্যতায় বিস্তৃত যৌনাচার, ইসলাম বিদ্বেষী সরকারের ছত্রছায়ায় চরিত্র বিধ্বংসী নানাবিধ কর্মকাণ্ড সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে যুব সমাজকে। ফলে দিনদিন বাড়ছে অশান্তি আর অনাচার।
চাহিদামত পাত্র-পাত্রী না পাওয়া, ব্যয়বহুল বিবাহে ভীতি, বিবাহের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিসহ নানা অজুহাতে বিয়ে থেকে দূরে থাকলেও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন অনেকেই। সবার অজান্তে, আড়ালে-আবডালে পূরণ করছেন জৈবিক চাহিদা। আর এসবকে কেন্দ্র করে বাড়ছে নানা অপরাধ। নারীঘটিত সমস্যাকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত ঘটছে খুন-অপহরণ।
আর এই সকল অপরাধের মূলে হলো- কুরআন ও হাদিসের শিক্ষা থেকে দূরে অবস্থান। সামাজিক প্রথাকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়া। দ্বীনদারীর চেয়ে বৈষয়িক বিষয়কে বেশি মূল্যায়ন করা। প্রাচুর্য প্রীতি কোথায় নিয়ে যাচ্ছে আমাদের?
দিবালোকের মতো স্পষ্ট কথা- যে সমাজে বিবাহ সহজ সেখানে জিনা-ব্যভিচার কঠিন। আর যে সমাজে বিবাহ কঠিন সেখেনে বিবাহবহির্ভূত যৌনাচার সহজ।
বিয়ের ক্ষেত্রে আমরা পাত্র-পাত্রীর দৈহিক সৌন্দর্যকে যতটা গুরুত্ব দেই, তার নৈতিকতা বা দ্বীনদারীকে সে রকম কেয়ার করি না। সে জন্য আমাদের কাছে দিল্লির লাড্ডু সহজেও পৌছায় না।
ইসলাম বিবাহ সহজ করেছে। নৈতিকতার গ্যারান্টির স্বার্থে। কুরআন-হাদিসের অসংখ্য স্থানে বিবাহের যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে- তা নামেমাত্র খরচেই সম্ভব। রাসুল (সা.) বলেছেন- সেই বিয়ে সবচে বেশি বরকতময়, যেখানে খরচ কম হবে।
আমরা নিজেরাই প্রথা তৈরি করেছি। লালন করছি। সেই আগুনে পুড়ছি। জ্বলছি জ্বালাচ্ছি। পুরো সমাজটাকে হাকিয়ে নিয়ে যাচ্ছি ধ্বংসের শেষ দিকে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×