somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বৃষ্টিতে ভিজলে শরীরের ময়লা যাবে, কিন্তুু লজ্জা যাবে না

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বৃষ্টিতে ভিজছেন জাফর স্যার, পাশে একটা ছাতা বন্ধ করে রাখা, কয়েকজন মানুষ তাকে দেখছে। স্যার অনেক বড় বিজ্ঞানী। অনেক ভক্ত আছে। তাকে দাড়িয়ে দেখাটা স্বাভাবিক। আর এমন পরিস্তিতিতে সবাই ছবি তুলবেই। তবে ঐ সময়টা আশ্চর্যের ছিল। কারণ এর কিছুক্ষণ আগেই তিনি জগৎ বিখ্যাত একটি কমেন্ট করে বসলেন। তাও কমেন্ট করলেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হতে ধবল ধোলাইয়ের পর। ছাত্রলীগের ভবিষ্যত কি সেটা আমি জানিনা বা বলতেও চাইনা। তবে জাফর স্যারের বিখ্যাত উক্তি ১০ বছর বা ২০ বছর পরে উদাহরণ দিতে পারবে 'এরকম ছাত্র বানিয়েছেন দেখে উনার নাকি গলায় দড়ি দিতে ইচ্ছে করছে'

ঐ সময় তিনি এক প্রকার আজব বস্তুুতে পরিণত হয়েছিলেন। হয়েছিলেনই! ফেসবুকে ছবি আপলোড করে একটা মজার ক্যাপশন দেওয়া হয়েছিল 'বৃষ্টিতে ভিজলে শরীরের ময়লা যাবে, কিন্তুু লজ্জা যাবে না'। আসলেই বৃষ্টির পানিতে ভিজলে শরীরই পরিষ্কার হয়। লজ্জা পরিষ্কার হবার কথা না। এতো কি লজ্জা জাফর ইকবাল স্যারের? যা কখনই যাবে না।

মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বাহক জাফর স্যার ও ছাত্রলীগ দুই পক্ষই। যেখানে ছাত্রলীগের সাথে স্যারের দহরম মহরম সম্পর্ক থাকার কথা সেখানে ছাত্রলীগ তার শত্রু। ছাত্রলীগের ছেলেরা শুধু মাত্র একটা সংগঠনের কর্মী না জাফর স্যারের ছাত্রও। ছাত্র কখন তার শিক্ষকের সাথে বেয়াদবী করে? একজন শিক্ষক হিসেবে জাফর স্যার নিশ্চই জানেন। তাকে তো আর বিশ্লেষন করে বুঝানোর কিছু নাই।

তোমরা যারা শিবির করো এমন শিরোনামের একটি কলাম পড়েছিলাম। স্যারের লেখাটা অনেক ভাল লেগেছিল। তবে ছাত্রলীগের কর্মকান্ডে তিনি আদৌ কেন নিশ্চুপ। গণতান্ত্র প্রতিষ্টায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা ছিল জাফর স্যারের। আর মানুষ গড়ায় তো তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। যার দ্বারা অন্যায় কোন কাজের সমর্থনই আসেনি তিনি ছাত্রলীগের প্রতি এতো মতত্ববোধ দেখাচ্ছেন কেন? আত্মহত্যার হুমকি ছাড়া তো আর কিছুই দেখলাম না।

জাফর স্যারের সাথে অদ্ভুদ কমেন্ট সহ ছবি ফেসবুকে দেখলাম। ছবিটা দেখে খুব একটা খারাপ লাগেনি আবার মর্মাহতও হইনি।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৩
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×