somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঝকমারী গোয়েন্দা গল্পঃ বান্টি খুনের কেস

১৩ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১০:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
(বিটলা পোলাপানের কাছে ১৮+ মনে হতে পারে। বাচ্চারা অন্যরুমে যাও। তবে, সেই রুমে ঢোকার আগে নক করে নিও।)



মন্টি আর বান্টি ছিল দুই ভাই। মন্টি ছিল সাধক (মানে গাঞ্জা খায়া সারাদিন চ্যাগায়া শুয়া থাকত সারাদিন) আর বান্টি ছিল গায়ক (মানে মেয়েদের কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে চটুল হিন্দী গান গাইত)। ত, যেমনটা হয় আর কী, বান্টি খুন হল। ওদের বাপ মা সারাদিন কান্নাকাটি করল। প্রতিবেশীরাও একদুইজন কাঁনল। ত পুলিশের মাথা খারাপ হয়ে গেল, তাদের ঘুষ না দিয়ে কোন শ্লার পুত্র এই খুনটা করল !! মোটামুটি তারা হন্যে হয়ে গেল তাদের খুঁজে বের করতে।

যেমনটা হয় আর কী, গোয়েন্দা বাড়িজ আর তার বন্ধু ডাঃ ঝাটশনের কাছ থেকে ঝিগাতলা মডেল ইয়ার্ডের তরফ থেকে বিশাল একটা এসএমএস এ সবকিছুর বিবরণসহ কেস সলভের অনুরোধ গেল। পরের সপ্তাহে গোয়েন্দা বাড়িজ তাদের একটা রিপ্লাই এসএমএস পাঠালো, “প্লিজ লাগে ডুড, সময় থাকতেই ক্যাচ শামছের মোল্লা। সে রিয়েল নাটের গুরু।”

-------------------------

ইদানীং শহরে এত জ্যাম বাড়ছে, চলাফেরা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে খুব। ভাবছি হাসপাতালে না যেয়ে এখন থেকে এলাকার ফার্মাসীতে ভেজাল অষুধের ব্যবসায় নামব। অন্তত যানজটের হাত থেকে মুক্তি, কাজ ত একই।। তার উপরে আবার প্রতি বৃহস্পতিবার বোকার স্ট্রীট ২১০ নাম্বারে আসতে হয়। তাও মেইন স্ট্রীটের কাছাকাছি হওয়াতে রক্ষা।

দরজা নক করলাম। প্রিয় বন্ধু গোয়েন্দা বাড়িজের নতুন মিস্ট্রেস জোশিলা বেগম গেট খুলে দিল। মহিলার তিনটা জিনিস আমার খুব ভাল লাগে। এরমধ্যে একটা হল, সবকিছুতে মহিলার নিষ্পৃহতা। উনার এই গুণের কারণেই উনার অন্য যে দুটো জিনিস আমার ভাল লাগে, তা উনি আমাকে আবছা ভাবে দেখতে দেন। যাই হোক, দোতলায় উঠে দেখলাম বাড়িজ জোশিলা বেগমের জামা কাপড় সেলাই করে দিচ্ছে। আমি কিছু বললাম না, সেলাই ত করে দিতেই পারে। ও আমার দিকে মুখ তুলে তাকালো, “ডুড, চরমজ একটা কাহিনীতে কট খাইচ্ছি। পুলিশের থেকে ম্যাসেজ পাইছি। বান্টি খুন রহস্য সমাধান করার জন্য বলছে।” আমি নাক মুখ কুচকে ফেললাম, “তাহলে এই অজুহাতে এই শুক্রবারেও আমার গার্লফ্রেন্ডের সাথে তুই দেখা করবি না? আমার সব দোস্ত দেখছে, শুধু তুই দেখা বাকি। ও প্রতি শুক্রবার কোচিং থেকে ফেরত যাওয়ার সময় মেহেদী, হলুদ, উপটান কেনে। পুরা পাঁচটা মিনিট দোকানদারের সাথে দরদাম করে, তাও তোরে দেখাতে পারি না। তুই দেখে জোস বললেই আমি ওরে নাম জিগামু, আমার নামটাও কমু। আমারে আর কয়দিন ঝুলাবি?”

বাড়িজ অনুতপ্ত দৃষ্টিতে তাকালো, “স্যরি ডুড, বুঝছই ত। পুলিশের কাম সবার আগে। বান্টি নামের এক ছেলে খুন হইছে। কিন্তু ব্যাপার হল, তার নামে কোন সম্পত্তি ছিল না। তার এলাকায় খুব একটা শত্রুও ছিল না, অন্তত খুন করার মত না। তাকে কিডন্যাপ করা হয় নি। গুলিও করা হয় নি। তাকে রাস্তায় পাওয়া গেছে মৃত। গলায় হাতের ছাপ পাওয়া গেছে। পকেটে মানিব্যাগে টাকাও ছিল, চুরি হয় নি। এই রহস্যের সমাধান জরুরি।” আমি রাগে আর কথা বলতে পারলাম না। মনে মনে গালি দিয়ে রাগ করে চলে আসলাম।
--------------------
পরের বৃহস্পতিবার।
অনেকক্ষণ ধরে দরজা নক করে অবশেষে ভেতর থেকে খুটখাট আওয়াজে সাড়া পেলাম। জোশিলা বেগম গেট খুলল। বিরক্ত চোখে তাকালাম। কিছুক্ষণ দেখলাম। পরে উপরে উনার ফর্সা মুখের দিকে তাকালাম। বেচারী ঘামিয়ে গেছে। নিশ্চয়ই কষ্ট করে আসছে। আহারে! আমি বললাম, “রান্না করছিলেন বুঝি?” উনি নিষ্পৃহতা বজায় রাখলেন। উত্তর দিলেন না।
দোতলায় উঠতেই দেখলাম বাড়িজ টেবিলের গায়ে হেলান দিয়ে গভীর মনযোগে সেলফোনের দিকে তাকিয়ে আছে। বই খাতা এলোমেলো নিচে পড়ে আছে।আমি বললাম, “কী রে? এত মনযোগ দিয়ে কী দেখিস? রহস্যের সমাধান হল?” বাড়িজ গোমড়া মুখে উত্তর দিল, “আর বলিস না। আজকে ধরে তিনদিন ধরে ভাবছি শামসের মোল্লা এর ইংরেজি কী হবে? কত ডিকশেনারী দেখলাম।” পরে থাকা বই খাতা দেখালো। বুঝলাম, একারণেই বই খাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ও বলল, “কোথাও শামসের মোল্লার ইংলিশ মিনিং পাইলাম না। তিনদিন আগে বুঝতে পারলাম, শামসের মোল্লাকে ধরলেই রহস্যের সমাধান। কিন্তু তখন থেকে পুলিশের ম্যাসেজের রিপ্লাই দেয়ার জন্য ওর নামের ইংলিশ খুঁজতেছি। বাংলাতে ত আর ওর নাম লিখে পাঠানো যায় না, আমার একটা মান ইজ্জত আছে না?” আমিও চিন্তায় পড়ে গেলাম। আসলেই ত। পরে বললাম, “থাক দোস্ত, তুই কষ্ট করে ইংরেজী বের করবি, পরে আবার ওরা এর অর্থ বের করতে পারবে না। শামসের মোল্লাকে ধরতেই পারবে না।তুই বরং বাংলাতেই পাঠিয়ে দে।”

বাড়িজ সম্মতির সুরে মাথা নাড়ল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “তুই শুধু ম্যাসেজ দেখে শামসের মোল্লার কথা বের করলি কী করে?” বাড়িজ রহস্যের সুরে হাসল, “আগে ম্যাসেজের রিপ্লাই টা পাঠিয়ে নেই। তুই বরং চা খা।” বাড়িজ জোশিলা বেগমকে জোর গলায় ডেকে চা দিতে বলল। ম্যাসেজ পাঠানো শেষ হতেই আয়েশ করে ইজি চেয়ারে পিঠ সোজা করল ও। এতক্ষনে জোশিলা বেগম চা নিয়ে এসে পড়েছে। বাড়িজ হাসি দিয়ে বলল, “কীভাবে সমাধান করলাম, তা বলার আগে একটু আউটসাইড কথা বলি। তুই কী বল দুটা খেয়াল করেছিস?” আমি জোশিলা বেগমের হাত থেকে চায়ের কাপ নিতে নিতে বললাম, “হ্যা, কেন করব না? ভালই ত চোখে পড়ে।” বাড়িজ বলল, “এগুলো আমাকে তিব্বতের এক বন্ধু পাঠিয়েছে। এই বল দুটো দিয়ে তিব্বতের সাধুরা ভলিবল খেলত আগে। বরফের মাঝে ধবধবে সাদা বল। রাবারের মতন আর কী, বাদামি মত একটা বিন্দু থাকে, ওখানে ফুঁ দিয়ে ফুলিয়ে নিতে হয়। একেক টিমে চারজন করে থাকে। মোট খেলে আট জন।” আমি অবাক হয়ে বল থেকে চোখ সরিয়ে বাড়িজের দিকে তাকালাম। মনে মনে মানুষের শক্তির কথা ভেবে অবাক হলাম। ও বলল, “সোকেসে দারুণ মানিয়েছে, তাই না?” আমারও মনে হল, আসলেই ঘরের কোণায় রাখা সোকেসে সাদা বল দুটোকে দারুণ মানিয়েছে। এর পাশে একটা সবুজ ফুলদানী আছে। ওটাও সুন্দর।

এরপর আমি বললাম, “এবার বল দোস্ত। শামসের মোল্লার ঘটনা বের করলি ক্যামনে? ‘বান্টি খুনের কেস’ এর সাথে সে কীভাবে জড়িত? পুলিশের এসএমএস এ আসলে কী ক্লু ছিল?” ও অবাক হয়ে বলল, “আরে ঞ্জ্যাকসন, শামসু মোল্লা ‘বান্টি খুনের কেস’ না, তার আগের ‘শর্মিলী হত্যা কেস’ এর সাথে জড়িত। ওই ব্যাটা ঐ কেসে কলকাঠি নাড়ছে।”
“ও” আমি বললাম, “এটা কীভাবে বের করলি?” বাড়িজ নিজের কথা বলা শুরু করল, “আমি কেসটা নিয়ে অনেক চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম রে। শর্মিলী মেয়েটার এই অদ্ভূত খুন নিয়ে সবাই চিন্তায় ছিল। মেয়েটাবিষ খাইয়ে মারা হয়েছিল। ডাক্তার যখন আমাকে ওর কপড় সরিয়ে দেখালো, দৃশ্যটা আমাকে নাড়া দিয়েছিল। এই সাবকন্টিনেন্টে এসব কী হচ্ছে ! এই মেয়েটা সাউথএশিয়ার প্রধিনিধিত্ব করে। ধবধবে ফর্সা শরীর। যেন কাশ্মীরের বরফ। আধখোলা ঠোঁট। গলা আর ঘাড়টা এত মসৃণ। পাঞ্জাবের মরু। গলার নিচে দিয়ে যে রূপ তার সাথে শুভ্র হিমালয় চূড়ার পবিত্র সৌন্দর্যেরই শুধু তুলনা চলে। এরও নিচে দিয়ে পটলচেরা নাভি। নেপালের বৈকাল লেক। তারও নিচে দিয়ে প্রকৃতির মভই সৌন্দর্য। সুন্দরবনের ঘন অরণ্যে আমি শুধু এমন রূপ দেখেছি। এই শর্মিলীর মৃত্যু নিয়ে আমি অনেক ভেবেছি এটা নিয়ে। প্রায় তিনদিন ঘর থেকে বের হই নি। শুধু ইয়াবার উপর ছিলাম। এটা জাগিয়ে রাখে, অনেক চিন্তার সুযোগ পাওয়া যায়। ধোঁয়ার কারণে জোশিলার কষ্ট হয়েছে খুব। অনেক ঝামেলা করে রুম পরিষ্কার করেছে।”
আমি চোখ সরু করে তাকালাম। বাড়িজ বলতে থাকল, “যাই হোক, বেলায়েত হোসেনের সাথে শর্মিলীর একটা বাজে সম্পর্ক ছিল। মানে, ওদের অনেকদিনের প্রেম ছিল, কিন্তু শর্মিলী কখনও ওকে কিছু করতে দেয় নি। প্রতিবেশীর মুখ থেকে শুনেই একটা ব্যাপার আমি ধরে ফেলি।” আমি বললাম,”কী ব্যাপার?” বাড়িজ এক টিপ কোকেন নিয়ে বলতে লাগল, “তখনই মনে হল, শর্মিলী বেলায়েত হোসেনকে কী করতে দিল না দিল, সেটা ঐ প্রতিবেশী কী করে জানল? নিশ্চয়ই সে শর্মিলীর দিকে সবসময় নজর রাখে। তখন আমি ঐ ব্যাটার উপর নজর রাখার জন্য পাড়ার এক ফকিরকে দায়িত্ব দিলাম। প্রতিবেশীর নাম ছিল মেসবা। শর্মিলী যেহেতু এখন মৃত, ওই ব্যাটা ঘরে ত আর কাজ পাবে না, নিশ্চয়ই বাইরে যাবে। আর কাদের সাথে চলে সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। তাই না? এভাবেই আমি জানলাম, ও চলে মোসাদ্দেক, কিসলু, জিসান, নূর, শামসের মোল্লা এসব দাগী অপরাধীদের সাথে।
এর কয়েকদিন পরে ওই এলাকায় আরও একটা মেয়ে খুন হয়। শামীমা খাতুন। এই মেয়েটার অবস্থা দেখে এত মায়া লাগল। আহারে। মেয়েটাকে দেখে মনে হয় সহজ সোজা। তবে ওর বাঁকগুলাও নিঁখুত। মেয়েটাকে মনে হচ্ছিল স্পষ্টভাষী। শরীরের প্রতিটা কার্ভ একদম স্পষ্ট, বিন্দু মাত্র মেদ নেই। মেয়েটা উপুড় হয়েছিল। গলায় হাতের ছাপ পাওয়া যায়। নাইটি আর জুতা পরা ছিল।ওর রুমে অনেক ক্লু খুঁজলাম। মেয়েটার ভাল চয়েস ছিল। ওর ছিল নাইটির দারুণ কালেকশান। এর মধ্যে একটা জোশিলারও আছে, যদিও আমার এসব না পড়ে আসে।যাই হোক, শামীমার পাশের বাড়িতে একটা মেসে থাকত কিসলু। তখনই বুঝলাম, এটা একটা গ্যাং। এদের কোন মোটিভ আছে। এর উপর নজর রাখার জন্য আরও একটা ফকির লাগিয়ে দেই।

সেদিন রাতে আমি ফকিরদের উঠিয়ে দিয়ে নিজেই ফকির সেজে মেসবার উপর নজর রাখা শুরু করি। পরের দিন সকালে আমার সাথে মেসবার সামনা সামনি আমার দেখা হয়। তুই ত জানিসই আমার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা। আমি দেখলাম, মেসবা ক্যাপ পড়ে আছে। ক্যাপটা একটু ব্যাকা হয়ে আছে। মানে, ও আসলে কমান্ডো। ক্যাপ ব্যাকা করে পড়ে অভ্যাস। আমাদের দেশের কমান্ডোরা যেহেতু সবসময় জাতিসংঘের মিশনে থাকে, তাই এখানে যদি কমান্ডো ট্রেনিং প্রাপ্ত কাউকে পাওয়া যায়, সে অবশ্যই বাইরের দেশের চর। নিশ্চয়ই বাইরের দেশের হাত আছে। এরপরে দেখলাম ওর বেল্টের বকলেসে একটা কংকাল, সেটা লাল নীল রঙ করা। বুঝলাম ও তাহলে মধ্যপ্রাচ্যের কোথাও থেকে ট্রেনিং করা। ওখান থেকে টাকা আর রসদ সাপ্লাই পায়। ওদের ছাড়া এই জঘন্য কালারের চয়েস আর কারও হবে না। এরপরে দেখি ওর জুতার পেছন দিকে সাদা কী যেন।
ও বাইরে গেলে আমি ওর ফ্ল্যাটের সামনে আসলাম। দেখি অনেক ধূলা, সেখানেও সাদা সাদা কী যেন গূড়া মতন। মানে, রাতে অনেকে আসছিল। গোপন প্ল্যান করছিল। সাদ পাউডারের স্যাম্পল নিয়ে আমি তাড়াতাড়ি ঘরে ফেরত আসলাম। আমাকে এখন ওদের মোটিভ নিয়ে চিন্তা করতে হবে।
আমি বাসায় এসে ভাবতে বসলাম। তিনদিন ভেবে বের করলাম, পুলিশকে বলব শামসের মোল্লাকে ধরতে।”

আমার কাছে কাহিনী তখনও পরিষ্কার হল না। আমি বললাম, “এখানে শামসের মোল্লা আসল কী করে?” বাড়িজ বিরক্ত হয়ে বলল, “এটা আসলে খুব সহজ মোটিভ ছিল। এত সিম্পল ব্যাপারটা ধরতে না পারলে আমি বার বার ব্যাখ্যা করতে পারব না। সবই ত বললাম, এখন একটু নিজে মাথা খাটাও। শামসের মোল্লা ‘শ’ অদ্যাক্ষরের মেয়েদের প্রতি খুব এট্রাক্টেড ছিল। তাদের সবার সাথে টাংকি মারতে চেষ্টা করত। কিন্তু পরে ব্যর্থ হয়ে ফেরত আসত। শামসের মোল্লা্র নির্দেশে বাকিরা খুন করত।”
আমি বললাম, “বস তুমি ত চরম। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য, সাদা পাউডার, হস্তক্ষেপ, ফলোইং এসব থেকে তুমি এই লজিক বের করলা কীভাবে?” বাড়িজ আরেক টিপ নাকে টেনে বলল, “আরে, এসবই লজিক। খাপে খাপে সবগুলো জিনিসই মিলে যায়। তাছাড়া আমি শর্মিলীদের বাসার পাশের চায়ের দোকানদারের সাথে কথা বলেছি। সেও আমাকে একই কথা বলেছে। সে নাকি ওদের আলাপ করতে শুনেছিল। অবশ্য ওই চায়ের দোকানকার বলার আগেই আমি লজিক মিলিয়ে ব্যাপারটা বের করে ফেলেছিলাম।”

আমি সিরিয়াসলি মুগ্ধ হলাম। বাড়িজ আসলেই চরম গোয়েন্দা। ও নিজে নিজে কীভাবে যেন লজিক মিলিয়ে ফেলল, আর আমি এখনও ব্যাপারটা ধরতেই পারলাম না। জোশিলা বেগম আবার আসল। আমি চেয়ারে বসে আছি, উনি কাছে এসে চায়ের কাপ নিলেন। আমি দেখলাম। তারপর উপরে উনার মুখের দিকে তাকালাম। পুরো কাহিনী নিশ্চয়ই উনিও নিচে থেকে শুনেছেন। নিশ্চয়ই উনিও বাড়িজের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পেয়ে অবাক হয়েছেন! কিন্তু, না, উনাকে আগের মতই নিষ্পৃহ দেখাল। আমি উঠলাম। বললাম, “অনেক কিছু জানলাম। যাই রে। কালকে দশটার সময় আসিস কিন্তু। কোচিং গেটে। ওকে দেখতে হবে তোর। যাই গা।”
আমার কেন যেন মনে হল, আমার যাওয়ার কথা শুনে জোশিলা বেগম বাড়িজের দিকে তাকিয়ে হালকা একটু হাসল। তবে, বাড়িজ সোকেসে রাখা সাদার উপর বাদামী বিন্দুওয়ালা বলগুলোর দিকে তাকিয়ে ছিল।

© আকাশ_পাগলা
৩৪টি মন্তব্য ৩৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×