গুম, খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, হরতাল আর ভাঙ্গচুর দিয়ে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এই নিয়ে সরকারের মোটেও ভ্রুক্ষেপ নাই। প্রধানমন্ত্রী নিজেও দারুন বিপাকে আছে, বামদের অভয়ারণ্যে নিজেকে বাঁচাতেই হিমশিম খেতে হয় যাকে, তার পক্ষে দেশ রক্ষা অসম্ভব বৈকি! দেশ যাচ্ছে রসাতলে, ধুঁকে ধুঁকে মরছে সাধারন মানুষ।
এই দেশে সাধারন মানুষের অধিকার কিংবা মতামত কোনকিছুরই মুল্য নেই। তাই সংসদে বসে নেতারা যা বলেন তাই আমরা হজম করি। আজ সকালে পত্রিকায় দেখলাম, সংসদে দেওয়া খুন গুমের তথ্য প্রত্যাহার চেয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! খেয়াল খুশি মত যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছেন, আর তার মাশুল গুনছি আমরা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
সাম্প্রতিক সময়ে তত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে যে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ে খুব শঙ্কায় আছি। বিরোধী দল উঠে পড়ে লেগেছেন তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে। অপরদিকে সরকার তার সিদ্ধান্তে অটল রাখতে অটল!
চলছে যার যার মত কাঁদা ছোড়াছুড়ি, হামলা পালটা হামলা, জ্বালাও পোড়াও আর ভাঙ্গচুরের রাজনীতি; সাধারণ মানুষের অভিমত কিছুনা। সংসদে সরকারী দলের সংখ্যাগরিষ্ট এমপি পরিষদ যে দিকে রায় দিবে তাই আমাদের ভাগ্য, আমাদের নির্মম নিয়তি।
আমার মতে এ মুহুর্তে গণভোট নেওয়া উচিত সরকারের। হ্যাঁ/না ভোটের প্রচলন এই দেশে আছে। এতো লাথালাথি না করে একবার আপামর জনতার রায় দেখুন, জনতা কি চায় সেটা তো একবার যাচাই করা উচিত মাননীয় সরকার মহাদয়! দয়া করে এই গ্লানিময় অস্থিরতা থেকে খেটে খাওয়া ক্লান্ত মানুষগুলোকে মুক্তি দিন। দয়া করুন আমাদের উপর। ভুলে যাবেন না জনতার রায়েই আজকে আপনি/আপনারা এই মসনদে বসেছেন। বঙ্গালির বাঁধ ভেঙ্গে গেলে পরিনতি কিন্তু খুব নির্মম আর ভয়াবহ হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩