somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তান্ত্রীকতার ছাপে যান্ত্রীক সমস্যায় আছি

২২ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিসমিললাহির রাহমানির রাহিম
কিছু দিন আগে আমার এক বন্দু আমাকে একটা গল্প বললেন
ঢাকার কনো এক যায়গায় একটা মহিলা মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে পথে মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার সময় রাস্তায় একটা ছেলে উত্তক্ত করত । তো সে ছাত্রী মাদ্রাসায় এসে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক কে উক্ত ঘটনা জানালে শিক্ষক সাহেব ঐ ছেলেটাকে ভালো করে সাশালেন । পরিনামে ঐছেলেটা মাদ্রাসার এরিয়ায় একটা পিস্তল রেখে পুলিশে খবর দেয় পুলিশ এসে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক কে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে হাজত তক পাঠীয়ে দেন । এটা হলো মোটামুটি ঘটনার সারাংস

এবার আমার ঐ বন্দুর গবষনা :
আমরা বারবার বলছি বরতমান সময়ে মেয়েদেরকে লিখা পড়া করানো বড় দায় তাই বলছি মেয়েদের কে টুকি টাকি লিখা পড়া করিয়ে আর স্কুল মাদ্রাসায় পাঠানোর দরকার নেই । কারন বড় হলে স্কুল মাদ্রাসায় পাঠানো হলে পথে ঘাটে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে । কারন আজকে যদি ঐ মেয়েটা ঘর থেকে বাহির না হতো তা হলে এই ইভটিজং হতোনা এবং শেষ পয্যন্ত ঐ ওস্তাদকে থানায় ও যেতে হতোনা । কিন্তু কে শুনে কার কথা?

তখন আমি অমার ঐ বন্দুকে বললাম

ঘটনাটা একটু উল্টা করে ভাবতো । মানে আজকে আমাদের সমাজে পুরুষরা ওপেন চলা ফেরা করার সুযোগ আছে অরথাত পুরুষ শাসীত সমাজ তাই পুরুশ রা মেয়েদের কে উত্তক্ত করে বা করার সুযোগ পায় ।
কিন্তু যদি আমাদের সমাজটা মেয়ে শাসীত হত
মানে মেয়েরা অবাধে চলা ফেরা করতো হাটে বাজারে তাদের দৌড়া দৌড়ি থাকতো বাস ট্রাক তারাই চালাতো জায়গা যমি চাষাবাশ তারাই করতো কোথাও মারা মারি লাগলে তারাই মারামারি করতো। আর আমরা পুরুষরা ঘরথেকে বলতাম আললা আমার বৌকে সহি সালামতে আমার কাছে পিরিয়ে আনিও তার কিছু হয়ে গেলে আমি এই এতীম বাচছা গুলা নিয়ে কি করবো আমার জীবন কি ভাবে চলবে । ড্রাইভিং করতে গিয়ে বাচছা প্রসবের বেদনা শুরু হলো যত্রী ভাই গন আপনারা যে যার মত পারেন বাড়ী যান আমি বাড়ী যাচছি বাচছা প্রসব করতে হবে । ইত্যাদি ইত্যাদি অরথাত পুরুষরা ঘরে মেয়েরা বাহীরে ।
তখন আমরা ভাবতাম ছেলেদেরকে পড়া লিখা শিখিয়ে কি লাভ ? কয়েক দিন পর তারা ঘরে ঢুকে যাচছে । সুতরাং ছেলেদেরকে আর লিখা পরা করানোর দরকার নাই । তখন যদি কোন ওতি উৎসাহি মা বাবা তাদের এই হতবাগা ছেলেটার উন্নতির দিকে খেয়াল করে তাকে মাদ্রাসায় বা স্কুলে পাঠায় আর রাস্তায় মেয়েরা তাকে ষিশ মারে বিনিময়ে উস্তাদের শাষানি ফলাফল ঐ শিক্ষক কে ষড়যন্ত্র করে জেলে পাঠানো হয়
তখন কি আপনি বলবেন যে
আমরা বারবার বলছি বরতমান সময়ে ছেলেদেরকে লিখা পড়া করানো বড় দায় তাই বলছি ছেলেদের কে টুকি টাকি লিখা পড়া করিয়ে আর স্কুল মাদ্রাসায় পাঠানোর দরকার নেই । কারন বড় হলে স্কুল মাদ্রাসায় পাঠানো হলে পথে ঘাটে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে । কারন আজকে যদি ঐ ছেলেটা ঘর থেকে বাহির না হতো তা হলে এই ইভটিজং হতোনা এবং শেষ পয্যন্ত ঐ ওস্তাদকে থানায় ও যেতে হতোনা। কিন্তু শুনে কে কার কথা।

বন্দু আমার লা জওয়াব ??????????

ইদানিং আমাদের সমাজে কিছু তথা কথিত সুসীল ব্যক্তীর ম্যা ম্যা আওয়াজ পুরুষ শাসীত'''''' পুরুষ শাসীত''''' পুরুষ শাসীত''''
পুরুষ শাসীত
সমাজ থেকে আমাদের মেয়েদেরকে বাহীর করতে না পারলে মেয়েদের উননয়ন সম্ভব নয়।
এরাই আবার কিচু দিন পর চিৎকার শুরু করবে মেয়ে শাসীত''''' মেয়ে শাসীত''''' মেয়ে শাসীত''''' মেয়ে শাসীত''''' সমাজ থেকে আমাদের ছেলেদেরকে বাহীর করতে না পারলে ছেলেদের উননয়ন সম্ভব নয়।

তাহলে করবো টা কি??

আর বাকি আছে ২ টা তরিকা
প্রথমত এই ম্যা ম্যা দের হাতে সমাজে পরিচালনার ভার দেয়া তার মানে এই ম্যা ম্যা গুলাই আমাদের দৈনন্দিন কাজ গুলা সমাধা করবে
আর আমরা আপামর নারী পুরুষ সবাই ঘরে বসে থালা বাসন পরিস্কার করবো । জনবল সংকটে ম্যা ম্যা ইন্ড্রাষ্ট্রি তৈরি করা হবে ।

দ্বিতীয়ত : নারী পুরুষ উভয়ের সম্মিলিত শাসন ।
তবে যাকে যেখানে মানায়
বন্যরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃ ক্রোড়ে
পুরুষেরা মাঠে ঘাটে নারীরা আপন ঘরে
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×