প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়। তাতে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যুক্ত হন। এর মধ্য দিয়ে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে সব দল অংশ গ্রহণ করে। তাতে বিএনপি ক্ষমতা গ্রহণ করে।
এই বক্তব্য থেকে প্রমাণিত হয় যে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি শেখ মুজিবর রহমান যে বাকশাল কায়েম করেছিলো সেটি গণতন্ত্র হত্যা ছাড়া আর কিছুই নয় । প্রধান নির্বাচন কমিশন যদি আন্তরিক ভাবে যদি কথাটি বলে থাকেন তাহলে বাকশালের বিপক্ষে পরোক্ষ ভাবে বলেছেন। শেখ মুজিবের শাসন যে এক নায়ক শাসন ছিলো সেটাও বলেছেন ।
তিনি আরো বলেছেন , ‘প্রেসিডেন্ট ও দলনেতা হিসেবে জিয়াউর রহমান ছয় বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়ার মৃত্যুর পর বিএনপি প্রায় নয় বছর আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়েছে। পরে ১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে ২১০ আসনে জয়ী হয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে।’
বর্তমান সরকার সেই বাকশালের বর্ধিত সংস্কার ছাড়া আর কিছুই নয় । প্রধান নির্বাচন কমিশন খুব ভালো বার্তা দিয়েছেন সকল ভোটারের কাছে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২৯