somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পুন:পাঠ

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পাকিস্তানের সংস্কৃতি আমাদের এই উপমহাদেশে অন্যতম সমৃদ্ধ সংস্কৃতি। পাকিস্তানের বেলুচ , সিন্ধী, পশতু কিংবা পাঠানদের সাথে যারা মিশেছেন তাঁরা বলতে পারবেন এরা কতটাই সাধাসিধে। মহেঞ্জোদারো বা হরপ্পা সভ্যতা এই অঞ্চলের সবচেয়ে পুরাতন সভ্যতা । পাকিস্তান কোন একক জাতি নিয়ে তৈরি হওয়া ড্যাশ নয়। এখানে পাঞ্জাবী, বেলুচ , আফগান , বাঙ্গালী, কাশ্মীরী, লাহোরী, পাঠান , পশতুয়ান সহ নানা জাতির সম্মিলন দেখতে পাওয়া যায়। পাকিস্তান রাষ্ট্র যখন তৈরি হয় সে ১৯৪৭ সালে এদেশের বাঙ্গালী মুসলমানরা যার পর নাই খুশি হয়েছিলো। পাকিস্তানের নিজস্ব অভ্যন্তরীন নীতি তখন তৈরি হয় নাই। আন্তর্জাতিক নীতিমালাও অপরিপক্ক ভারতের তুলনায়। ১৯৪৭ সালে লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তনা বলে শেখ মুজিব সহ অনেকেই পাকিস্তনের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন । শেখ মুজিব সেই সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা কিন্তু চান নি, এটা একটু স্মরণে রাখবেন পাঠক। পাকিস্তানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলো মাওলানা ভাসানী । তিনি আসাম , সিলেট , করিমগঞ্জ , পশ্চিম বাংলা নিয়ে চেয়েছিলেন একট বঙ্গভূমি গড়ে উঠুক। কিন্তু নেহেরু , প্যাটেলের ষড়যন্ত্র ছিলো আগে পাকিস্তানের গড়ে তুলি এর পর এর বিভাজনের মাধ্যমে ভবিষত ফায়দা লোটা । মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পূর্ব পাকিস্তানের এই অংশের বিষয়ে প্রাথমিক দাবী তোলেন নি। তাঁকে যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে দিলো না নেহেরু, গান্ধী আর প্যাটেল , তখন দ্বিজাতি তত্বের ধারনা উপস্থাপন করে জিন্নাহ । আর এই তত্ত্ব দিতে বাধ্য করে নেহেরু। জিন্নাহ বলেছিলো যদি মুসলমান্দের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠন হয় তাহলে মুসলমানদের জনসংখ্যার ভিত্তিতে ভূমি প্রদান করতে হবে । কিন্তু তখন ইলেকশন দেওয়া হয় হিন্দু - মুসলমান এর বিভাজন প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেওয়ার জন্য। সে নির্বাচনই ছিলো বিশ্ব ইতিহাসে সাম্প্রদায়িকতাকে স্বীকৃতি প্রদানের অন্যতম উদাহরন । ভারত কখনই একক রাষ্ট্র ছিলো না । ব্রিটিশ ভারতও একতা বদ্ধ ড্যাশ ছিলো না । যেহেতু ভারত একক ছিলো না কোন কালে সেহেতু এটা বিভাজনের কোন প্রশ্ন নেই । অনেকেই ভারত বিভাজন বা ড্যাশ বিভাজনের কথা বলেন । যা কোন ভাবেই সঠিক নয়। ভারত বিভাজিত করা হয় নাই বরং ১৯৪৭ সালে বিভাজিত নানা জাতি দেশকে ভারতের চেহারা দেওয়া হয়েছে । পাকিস্তানের বাঙ্গালীদের উপর নির্যাতন , অত্যাচার, বৈশম্য ছিলো পাকিস্তানী সরকারের অপরিপক্কতা । আর এই সুযোগ ভারত খুব ভালোভাবে গ্রহন করে। পাকিস্তনাএর সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হলেও একেবারে আনকোরা দেশ হিসাবে কোন রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ছিলো না । আর মুসলমানদের মাথায় বুদ্ধি থাকে কম , সেটা তো আছেই। পাকিস্তান নামক দেশকে বাঙ্গালিরা মন্দের ভালো হিসাবে গ্রহণ করেছিলো। আর পশ্চিম পাকিস্তানের বেলাতেও তাই। কিন্তু ১৯৪৭ সালের দেশ বন্টন প্রক্রিয়াতে বিভিন্ন জাতি তাদের ন্যায্য অধিকার হারায় তাঁর মধ্যে রয়েছে বাঙ্গালী, বেলুচ, কাশ্মীরী, মনিপুরি , তামিল , পাঞ্জাবী, নাগা প্রভৃতি জাতি। একটি জাতি যেমন জনসংখ্যা দিয়ে পরিগণিত হয় তেমনি দখল কৃত ভূমির রাজনৈতিক স্বত্ত্ব রয়েছে । ১৯৪৭ সালে দেশ বন্টনের সময় এই সমস্ত জাতি ড্যাশ পায় নি। ভূমি অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে । তাই শুধু পাকিস্তান , ১৯৭১ সালের যুদ্ধ কিংবা ১৯৪৭ সালের ড্যাশ বন্টন নয় আমাদের দেখতে হবে পাক -ভারত দুই দেশ তৈরি করতে বড় বড় জাতি স্বত্তাকে বিমুখ করা হয়েছে । আমি পাকিস্তানের সংস্কৃতি সম্পর্কে বলেছি আর এর কারনোতা হলো পাকিস্তানের সংস্কৃতির সাথে রাজনৈতিক নীতির কোন মিল খুজে পাওয়া যায় না। মনে হয় পাকিস্থান ভুল করছে পদে পদে যেন ভারত তাদেরকে ভুল করার পরিকল্পনা গুলো বলে দিচ্ছে ।

সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০০
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×