somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যমুনা ফিউচার পার্ক, এই টাকা দিয়ে কি একটা সার কারখানা বা অন্য কোন ইন্ডাস্ট্রি করা যেতোনা????

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঢাকার প্রাণ কেন্দ্র গুলশান, বারিধারার কাছেই হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ১৫০০০০বর্গমিটার এলাকার উপর গড়ে উঠেছে যমুনা ফিউচার পার্ক।ঢাকার বর্তমান যে অবস্থা তাতে করে এই বিশাল শপিং মলের আদৌ কি কোন দরকার ছিল? এমনিতেই ঢাকার আনাচে কানাচে এখন শপিং সেন্টার আর মার্কেট, ঈদের সময় ব্যতীত অন্য সময়ে দোকানদারদের মাছি মারা ছাড়া আর কোন কাজ থাকেনা।তার মধ্যে এই বিশাল শপিং সেন্টার জনগণের কোন উপকার করবে নাকি তাদের জন্য নতুন বিড়ম্বনা ডেকে আনবে এটাই এখন চিন্তার বিষয়। এই পার্কের লোকেশনটা দেখনু,

প্রগতি সরণী আর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ঠিক পাশেই গড়ে উঠেছে এই পার্ক। প্রগতি সরণীতে এমনিতেই সারাদিন জ্যাম থাকে ,অফিস টাইমে সেটা আরো অসহনীয় হয়ে উঠে। এর মধ্যে এই পার্ক আর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে আম জনতার কি অবস্থা হবে সেটা চিন্তার বাইরে।যমুনা গ্রুপ এটাকে তুলনা করছে করছে বিশ্বের বড় বড় স্থাপনার সাথে , আমার কাছে এটাকে সম্পূর্ণ অনুৎপাদনশীল, ধনী গরীবের বৈষম্য তুলে ধরা আর বড়লোকদের ভোগবাদী মানসিকতার পরিচয় ছাড়া আর কিছুই মনে হচ্ছেনা।
এবার আসুন দেখি এই বিপুল পরিমাণ টাকা ভালো কি কাজে ব্যয় করা যেত...।
আমার কাছে মনে হয় এই টাকায় একটা সার কারখানা গড়ে তোলাটাই সবচেয়ে ভালো কাজ হতো। যে যাই বলুক কৃষিই এখনও পর্যন্ত আমাদের সিংহ ভাগ মানুষের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। বাংলার কৃষকেরা ন্যায্য মূল্যে সার পায়না , বাইরে থেকে অনেক দাম দিয়ে সার আমদানি করতে হয়। এখনো আমরা সার উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারিনি। দেখুন একটা তুলনামুলক চিত্র।

source
এখান থেকে দেখা যাচ্ছে প্রায় সবধরনের সারই আমাদের বাইরে থেকে বিপুল পরিমাণে আমদানি করতে হয়। তাই বেশীরভাগ সময় এই সারের দাম থাকে সাধারণ কৃষকের হাতের নাগালের বাইরে। তাই অহেতুক এইসব হাবিজাবি শপিং সেন্টার না বানিয়ে একটা সার কারখানা বা অন্য যে কোন ইন্ডাস্ট্রি বানালে দেশের মানুষের যেমন উপকার হতো আখেরে তারাও অনেক লাভবান হতে পারতেন, আর সাথে বোনাস হিসেবে অনেক লোকের কর্ম সংস্থানও হয়ে যেতো।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৪৭
৫৯টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

আমরা সবাই জানি, ইরানের সাথে ইজরায়েলের সম্পর্ক সাপে নেউলে বললেও কম বলা হবে। ইরান ইজরায়েলকে দুচোখে দেখতে পারেনা, এবং ওর ক্ষমতা থাকলে সে আজই এর অস্তিত্ব বিলীন করে দেয়।
ইজরায়েল ভাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

নগ্ন রাজা কর্তৃক LGBTQ নামক লজ্জা নিবারনকারী গাছের পাতা আবিষ্কার

লিখেছেন মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪০

LGBTQ কমিউনিটি নিয়ে বা এর নরমালাইজেশনের বিরুদ্ধে শোরগোল যারা তুলছেন, তারা যে হিপোক্রেট নন, তার কি নিশ্চয়তা? কয়েক দশক ধরে গোটা সমাজটাই তো অধঃপতনে। পরিস্থিতি এখন এরকম যে "সর্বাঙ্গে ব্যথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×