somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাউয়ার কাছ থেকে কোকিলের ডাক প্রত্যাশা করা ঠিক না

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বসন্ত এসে গেছে -তাই বলে কাউয়ার কাছ থেকে কোকিলের ডাক প্রত্যাশা করা যায় না।
জীবনের অপ্রতাশিত অনেক কিছুই ঘটে যায় ।যার জন্য আমরা কখনোই প্রস্তুত থাকি না। তাই আমার জীবন নিয়ে আক্ষেপ করে বলি -
গুরু সবাইরে দিলা ঘুঘু-আমারে দিলা শালিক ।
মাফ করবেন ।আসলে কাওয়া,ঘুঘু শালিক নিয়ে বলতে আসিনি ।
ভালবাসা দিবস নিয়ে অনেকের মত আমারো কোন আগ্রহ কাজ করে না।তবে ফেব্রুয়ারি ১৪ তারিখ টিভিতে ভালবাসা দিবসের বিশেষ নাটক দেখার জন্য টিভি সেটের সামনে বসে থাকি ।
ভালবাসা দিবসের নাটকের ভক্ত সম্ভবত ২০১০ থেকে ।তখন অফ বিট নামে একটা নাটক দেখছিলাম ।সেই থেকে নাটক দেখার ধারাবাহিকতা চলছে।
বিয়ের আগে প্রেমের গল্প গুলো শুনতে সবার ভাল লাগে।বিয়ের পরের গল্প নাকি শুধুই তিক্ততা। ভালবাসার নামে তিক্ত গল্প ম্যাঙ্গো পিপল খায় না।তাই
বিয়ের পরের গল্প বেড রুমের চিপায় পড়ে থাকে।
অনেক দিন থেকেই টিভিতে এড দিচ্ছে "ক্লোজ আপ-কাছে আসার গল্প"।সেই এড দেখেই ইচ্ছে ছিল একটা ছোট গল্প লিখব।গল্পের নাম হব।
"কাছে এসে ধরা খাওয়ার গল্প " মানে প্রেম করে বিয়ে অতঃপর ধরা ।
সামুর নোট প্যাডে যখনি লিখতে বসি-ভাব আসে কিন্তু ছন্দ আছে না।আবার অলসতায় পেয়ে বসে।
একদা
কবিগুরুর নাতবউ কমলা নাকি গল্প লিখতে বসেছেন। কবির সে কী উৎসাহ! কমলাকে তিনি বলছিলেন, ‘কেমন গল্প? গল্পের মধ্যে কটা বিয়ে আছে? নেই? বিয়ে ভাঙাও নেই? ধুর ছাই, তুমি কোনো কর্মের না। একটা বিয়ে দিতে পারলে না?’


কমলার মত আমিও গল্প লিখতে পারি না।ভাঙ্গাগড়া অনেক দূর।
যে গল্প লিখতে এসেছিলাম সংক্ষেপে মূল কাহিনী লিক করে দেই-
"কাছে এসে ধরা খাওয়ার গল্প "
বন্ধু ফেসবুক পরিচয়ে এক মেয়েকে বিয়ে করেছেন। তাদের মধ্যে ভার্চুয়াল প্রেম থাকলেও পরে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় ।ছেলে কুমিল্লার-মেয়ে বগুড়ার।
তাদের বিয়ের ছয় মাসের মাথায় ছেলে একদিন তার বউয়ের কম্পিউটারে বসে আবিষ্কার করে তার স্ত্রী পূর্বে আরেকটা বিয়ে হয়েছিল।
বিজ্ঞাপন বিরতি !
ফ্লাশব্যাকে গিয়ে দেখি- মেয়ে অনার্স পড়াকালীন সময়ে তার এক সহপাঠির সাথে সম্পর্ক ছিল ।একদিন মেয়ের চাকরি হয় ।সে অন্য একটি শহরে থাকতে শুরু করে।ছেলেও মাঝে মাঝে তার বাসায় আসা-যাওয়া করতে থাকে।কমিন্টমেন্ট ছিল ছেলের চাকরি হলেই বিয়ে করবে।
এক বছর এক সাথে থাকার পর ছেলের প্রাইভেট ব্যাংকে চাকরি হয় ।তারপর মেয়ে বিয়ের জন্য ছেলেকে চাপ দিতে থাকে তখনি ছেলে পল্টি মারে ।বিয়ে করতে অস্বীকার করে এবং মেয়ের সাথে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
অতঃপর পদ্মায় অনেক জল গড়িয়ে যায় ।

সমাপ্ত

পদ্মার জল যেখানেই গড়িয়ে পড়ুক - ভালবাসার দিবসের টিভি নাটক নিয়ে বলছিলাম ।
গত ২ বছর ধরে ভালবাসা দিবসের বিশেষ নাটকের নামে পরিচিত হয়েছি " ফাস্ট ডেট "লিটনের ফ্লাট নামক কিছু বস্থাপচা কাহিনী্র সাথে ।আদৌ এগুলাকে কাছে আসার গল্প বলা যায় কিনা যথেষ্ট আপত্তি আছে।বিশেষ দিনের নাটক মানেই এখন ভার্চুয়াল যৌন সুড়সুড়ি ।ভার্চুয়াল প্রেম-ভালবাসার কাহিনী গুলাই টিভিতে বার বার ফিরে আসছে।যা বিরক্তিকর।নাটক দেখা বাদ দিয়া দিছি
বিশেষ দিনে আমি এখন টিভি দেখি না ফেসবুক দেখি।
আজ ছিল বসন্ত ।কেন ফেসবুকে সারাদিন পড়েছিলাম ।প্রিয় ব্লগার হাসান মাহবুব ভাই আমার মনের কথাটি বলে দিয়েছেন-

বাঙালি মেয়েরা দুই জায়গায় খুব সুন্দর। ফেসবুকে, এবং বাসন্তী উৎসবে। তবে ফেসবুকের সৌন্দর্য অনেকাংশেই কৃত্রিম। ডিএসএলআর, ফটোশপ, আর নানারকম ক্যামেরা এ্যাঙ্গেলের সমন্বয়ে গঠিত। কিন্তু বাসন্তী উৎসবে, প্রকৃতির উজার করে দেয়া ভালবাসা আর মানবীয় স্বতস্ফূর্ত উৎসবে, ফুলের মুকুট আর হলদে শাড়ীতে সবাইকেই অপ্সরার মত লাগে। প্রকৃতি আর নারীর এই মেলবন্ধন ভালো লাগার অনুভূতি জন্ম দেয়, আর কাঁধের কাছে একটি অদৃশ্য হাত সাহস যোগায়, "কেউ পারবে না এই সবুজ ভূখন্ডকে পাথুরে গুহায় নেকাববন্দি করে রাখতে"।
শুভ বসন্ত।

সারাদিন ফেসবুকে পড়ে থাকার পর মনে হ্ল-ভাগ্যিস ছোটবেলায় সুখি আপা ভিটামিন এ ক্যাপস্যুল খাওয়াইছিল !! তা না হলে কি যে হত ।
সারাদিন ফেসবুকে থেকে আপচুচ বেশ কাজ করেছে- বসন্ত /ভালবাসা দিবস টিবস আমার জন্য বিশেষ কিছু নিয়ে আসে না
তবে ফেবুতে যখন কোন কাপল দেখি।আমার ইচ্ছা হয় কারো হাত ধরে হাটতে ।
আজ একটা কবিতাও লিখলাম ।

অসুখের নাম তুমিহীনতা
অসুখ আমার তুমিহীনতা সব সময় আসে না ।
সিরিয়াস অসুখ সবসময় ঠিক সারে না।
ফেবুতে স্ট্যাটাস দেই ,ব্লগে লেখি ।
আমার অসুখ খুব পজেটিভ ক্লান্ত শরীর তোমায় নিয়ে ভাবে না।

আমার অসুখ তুমিহীনতা সবসময় আসে না।
মেয়ে পটানো আমার হয় না, দেখতে আমি ভাল না।
কি লাভ বলুন সিংগল থেকে?
প্রেম না করে একা থেকে ?
অসুখের নাম তুমিহীনতা, সব সময় আসে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৬
৩৫টি মন্তব্য ৩৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×