প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদ্রাসা ছাত্রদের বহুলাংশে ভর্তি হচ্ছেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফলভাবে টিকে এরকম একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদ্রাসা হতে আগত ছাত্ররা কিভাবে চান্স পাচ্ছে, তা বিরাট উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। শুধু তাই নয়, মসজিদের গন্ডি পেরিয়ে শিক্ষা, সাংবাদিকতা, বক্তৃতা, লেখালেখি ইত্যাদি ঘরানাসহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের সরব পদচারনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যাতে আমাদের মত সুশীল সমাজের কপালে চিন্তার রেখার জন্ম দিয়েছে। কেননা, মাদ্রাসাগুলি যে জঙ্গিদের আস্তানা!
মাদ্রাসা ও জঙ্গিবাদঃ
মাদ্রাসাগুলি নিয়ে জঙ্গিবাদের খিস্তি-খেউর করার পরে দেখা গেল, জঙ্গী তৈরি হচ্ছে অতি আধুনিক ভাব-ধারার প্রাইভেট ভার্সিটীতে। অপ-রাজনীতি, অপ-সংস্কৃতি, চাদাবাজি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গোলাগুলি, নারী-নির্যাতন, ইভ-টিজিং, সন্ত্রাসবাদ এসব কিছুই দেখা যায় আধুনিক চিন্তার মানসখেত্র প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে।
উদবেগের বিষয় হোল, মাদ্রাসাগুলিতে উক্ত গুনাবলী এখোনো মেলা ভার। এত চিল্লা-চিল্লিতেও মাদ্রাসাগুলি উক্ত গুনাবলীতে (অপ-সংস্কৃতি, চাদাবাজি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গোলাগুলি, নারী-নির্যাতন, ইভ-টিজিং, সন্ত্রাসবাদ) ভার্সিটির সমমানের হচ্ছে না।
হ্যা, এখন মাদ্রাসা ছাত্রদের আগমনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যদি একটু শান্তির আবাস হতে পারে, এটাই উদবেগের কারন, নাকি।
মাদ্রাসা ছাত্রদের উত্থান কেন?
আমরা এত ইংলিশ মিডিয়াম-অমুক-তমুক মিডিয়াম, ডজন ডজন হোম-টিউটর দিয়েও আমাদের পোলারা চান্স পায় না, ওরা পায় কেন?
মাদ্রাসায় কারা পরে? যারাই পড়ুক, ওরা ফার্মের মুরগী না। ওরা পরিশ্রমী, বাস্তববাদী, উন্নত চরিত্রের অধিকারী। ওরা কার্টূন আর মুভি দেখে চোখ আর মেধা নষ্ট করে নি। ওদের চরিত্রে ইভ-টিজিং নেই। ওরা ফাস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দেয় না।
স্কুল-কলেজগুলি যখন প্রশ্ন ফাসের মহড়া দেখছে, তখন মাদ্রাসার ছাত্ররা মেধা শানিয়ে নিচ্ছে। আজ পর্যন্ত কোন মাদ্রাসায় (বিশেষ করে ক্বওমী মাদ্রাসায়) প্রশ্ন ফাসের মহড়া দেখা যায় নি।
তাই, এইসব মাদ্রাসা দেশের সু-নাগরিক তৈরি করছে, এইসব উন্নত চরিত্রের, সমাজমুখী, বাস্তব্বাদী, মেধাবী ও পরিশ্রমী মাদ্রাসা ছাত্রদের আজ জাতির খুবই প্রয়োজন। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত শিক্ষা-নিকেতনে আসতে পারছে, এটা খুশির খবর। আজ মাদ্রাসার সংখ্যা ও অনেকে বাড়ছে। অনেক সচেতন পরিবার মাদ্রাসাশিক্ষা বেছে নিচ্ছে। তারা জাতির সর্বখেত্রে এগিয়ে আসুক, এটাই কামনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৭