কুকুর-বিড়াল হলেও কথা ছিল। কুকুর-বিড়াল-কে আমরা খাওয়াই, যত্ন করি। কিন্তু ওরা তো তা-ও না। ওরা তো রোহিঙ্গা।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার হঠাৎ করে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়ে শূন্যরেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সরে যেতে হুমকি-ধমকির পর ফাঁকা গুলিবর্ষণে ওই এলাকায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের এই তৎপরতাকে শূন্যরেখায় ক্যাম্প করে থাকা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা হিসেবে দেখছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। আতঙ্কিত ওই রোহিঙ্গারা বলছেন, তারা এখনও মিয়ানমারেও ফিরতে পারছেন না, আবার পারছে না বাংলাদেশেও ঢুকতে।
রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে আসা অন্তত ১৭ হাজার রোহিঙ্গা বান্দরবান সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে আশ্রয় নিয়ে আছে। তাদের মধ্যে প্রায় সাত হাজার রোহিঙ্গা রয়েছে তুমব্রু সীমান্তের শূন্য রেখায়। তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় মিয়ানমার আশ্বস্তও করেছিল।
বান্দরবানের স্থানীয় প্রশাসন ও বিজিবি কর্মকর্তারা জানান, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই শূন্যরেখায় অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গাদের সরে যেতে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছিল।
ওই ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে মিয়ানমারের পুলিশ আর সেনাবাহিনী রাতের বেলায় ক্যাম্পের ঝুপড়ি ঘরে খালি মদের বোতল আর ঢিল ছুড়ে মারছে। আজ সকালে তারা গাড়ি করে অনেক লোক এনেছে। আমরা বাঁচতে চাই, মিয়ানমারে ফিরে গেলে আমাদের হত্যা করা হবে।”
শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রতিনিধি মোহাম্মদ আরিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকালে বিজিপির সৈন্যরা কাঁটাতারের বেড়ার কাছে এসে অস্ত্র তাক করে রোহিঙ্গাদের সরে যেতে হুমকি দেয়।তারা কাঁটাতারের উপর মই দিয়ে ক্যাম্পে প্রবেশ করে হামলারও চেষ্টা চালায়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৩৭