মানবতা সংরক্ষিত শুধু কিছু মানুষের জন্যে। যাদের সাথে সম্প্রদায়গত মিল, চেতনার মিল তাদের জন্যই মানবতার হাহাকার ওঠে। আর, যারা চেতনায় সাড়া দেয় না, ওদের জন্য মানবতাও হাহাকার করে না। এই সংরক্ষিত মানবতাকে বলা যায়? সাম্প্রদায়িকতা ও ইজমের মানবতা?
উন্নত দেশে (অবশ্যই অমুসলিম দেশে) কিছু মানুষ মারা গেলে যেভাবে মানবতার কান্না ওঠে, মানবতা সন্ত্রাসী খুজতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে; একই অবস্থা কি হয় সিরিয়া, ইরাক বা আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে? সবাই না বলে মানুষ। মানবতাই নাকি ধর্ম?
কী অপরাধ ছিল আফগানের হাফেজদের, শিশুদের, যারা মাদ্রাসার সনদ (সার্টিফিকেট) ও পাগরী নেবার জন্য একত্রিত হয়েছিল মাদ্রাসায়?
আফগানিস্তানের কুন্দুস প্রদেশের দাশ্তেআর্চি জেলার পাঠান বাজার এলাকায় মাদরাসায়ে উমরিয়্যাহ এর হাফেজ ছাত্রদের সনদ প্রদান ও দস্তারবন্ধী অনুষ্ঠান চলাকালে আমেরিকার সন্ত্রাসী বিমান হামলায় শতাধিক আফগান নিরীহ শিশু-কিশোর হাফেজে কুরআন শাহাদাত বরণ করেছেন।
পাকিস্তানে এক মালালা আহত হওয়ায় সারা বিশ্বের মানবতার ধ্বজাধারীরা চেচিয়ে ওঠেছিল। ফ্রান্সের একটি নাইট ক্লাবে বোমা হামলা হলে তখন বিশ্ব মিড়িয়া তাদের ঘুম হারাম করে ফেলেছিল। অথচ সেই মানবতা যে আজ চুপ?
কারন, মালালা তাদের। আর হাফেয শিশুরা তাদের নয়। আরো স্পষ্ট করে বললে, এই শিশুরা মুসলমান হাফেয, আর মুসলমান তো মানুষ নয়।
এটা প্রাকশ্য ধোকাবাজি। মানবাধিকারের বুলি আওড়িয়ে মুসলমানদের রক্ত নিয়ে এরা হোলি খেলায় মেতে উঠেছে। এরা মানবতার ধোঁকাবাজ প্রবক্তা।
যে মানবতা সংরক্ষিত, তা অবশ্যই কলুষিত।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১২