আরব লীগের সম্মেলনে নিজের ভবিষ্যতই যে বলে ফেললেন। ওদিকে হাসোজ্জল দেখাচ্ছিল সিরিয়ার বাশার-আল আসাদকে।
গাদ্দাফী বললেন,
“ইরাকের কোন গন-বিধ্বংসী অস্ত্র (WMD) ছিলা না, আর যদি কিছু থেকেও থাকে; তাইলে ঐরকম অস্ত্র তো পাকিস্তানের আছে, ভারত, চীন, রাশিয়া, ইউকে, ফ্রান্স আমেরিকা এদেরো আছে। তাদের সবারই পারমানবিক বোমা আছে। ভাল কথা, তাইলে তাদের সকল দেশেও বোম্বিং কর যাদের গন-বিধ্বংসী অস্ত্র আছে।
একটা বিদেশী শক্তি একটা আরব দেশ-কে দখল করল আর এদেশের নেতাকে ফাসি দিল, আর তখন আমরা তাকিয়ে দেখছি আর হাসছি। আবু-আম্মার কয়েকবছর ধরে জেলে ছিল, আর তখন সেটা আমরা দেখছি আর তাকে ছাড়াই সামিট আয়োজন করছি। কেন আমরা বলতে পারছি না, তাকে মুক্ত না করা পর্যন্ত আমরা সামিট আয়োজন করব না। পরে তাকে বিষ-প্রয়োগে হত্যা করা হল। কেন নিরাপত্তা পরিষদ এই হত্যাকেন্ডের তদন্ত করল না? কেন নিরাপত্তা পরিষদ সদ্দাম হোসেনের ফাসির তদন্ত করল না? কিভাবে একজন শাসন-কর্তা এবং আরব-লীগের সদস্য রাষ্ট্রের প্রধান-কে ফাসি দেওয়া হয়? আমি সাদ্দাম হোসেনের নীতি অথবা তার সঙ্গে আমাদের মত-পার্থক্যের কথা বলছি না। তার সাথে আমাদের সকলের মত-পার্থক্য আছে, আমরা সবাই একে অপরের সাথে মতানৈক্য করি। একমাত্র এই কনফারেন্স হল ছাড়া আর কোথাও আমরা একত্রিত হতে্ পারি না। কেন সাদ্দাম হোসেনের হত্যাকান্ড নিয়ে তদন্ত হচ্ছে না? একটা পুরো আরব নেতৃত্ত্বকে হত্যা করা হল ও ফাসি দেওয়া হল – কেন? ভবিষ্যতে তোমার পালা-ও আসছে! আসলেই!
ইরানের খোমেনির বিরুদ্ধে আমেরিকা সাদ্দাম হোসেনের পক্ষে লড়েছিল, আমেরিকা তখন সাদ্দাম হোসেনের বন্ধু ছিল , ডিক চেনি সাদ্দাম হোসেনের বন্ধু ছিল। রামস্ফেল্ড, ডিফেন্স সেক্রেটারি ছিল ইরাকে বোম্বিং করার সময়- সে-ও সাদ্দাম হোসেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। কিন্তু, পরিশেষে তারা সাদ্দাম-কে বিক্রী করে দিলে আর হত্যা করল।
যদিও তুমি আমেরিকার বন্ধু, না, আমি বলব, আমরা আমেরিকার বন্ধু ; কিন্তু আমেরিকাই একদিন আমাদের ফাসির অনুমোদন দেবে”।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩২