somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে? কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লাইসেন্স নেই, পুলিশের গাড়িও আটকে দিল ছাত্ররা!

গত চার দিন ধরে রাজধানীর রাজপথে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে থাকা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা নেমেছে পুলিশের ভূমিকায়, লাইসেন্স না থাকায় তাদের হাতে পুলিশের গাড়িও আটকে গেছে।
জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় গত রোববার শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর থেকে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ প্রতিদিনই বিস্তৃতি পাচ্ছে।

তাদের বিক্ষোভ, মিছিল আর অবরোধের কারণে বুধবার সকাল থেকে রাজধানী কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।

আমাদের প্রতিবেদকরা জানান, ফার্মগেইট, শাহবাগ ও সায়েন্স ল্যাবরেটরিসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা পুলিশের সামনেই যানবাহন থামিয়ে চালকদের কাছে লাইসেন্স দেখতে চাইছে। লাইসেন্স দেখাতে না পারলে চালকদের কাছ থেকে চাবি রেখে দেওয়া হচ্ছে। ফলে গাড়ি পড়ে থাকছে রাস্তায়।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ধানমণ্ডিতে হারুণ আই হসপিটালের সামনে পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের একটি গাড়িও শিক্ষার্থীদের লাইসেন্স পরীক্ষায় আটকে যায়।

পিঠে স্কুলব্যাগ নিয়ে পুলিশের ওই পিকআপের পথ আগলে থাকা ইউনিফর্ম পরিহিত এক শিক্ষার্থী জানায়, তারা লাইসেন্স দেখতে চেয়েছিল, কিন্তু পুলিশের গাড়ির চালক তা দেখাতে পারেনি। এ গাড়ি তারা যেতে দেবে না।

ওই গাড়ির চালকের আসনে থাকা পুলিশ কনস্টেবল অরবিন্দ সমাদ্দার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “আমরা সরকারি চাকরি করি। লাইসেন্স না দেখে তো আর চাকরি দেয়নি।”

তাহলে লাইসেন্স দেখাতে পারেননি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সরকারি গাড়ি, আমাদের গাড়িতে করে খাবার নেওয়া হয়। কাজের সময় আমরা লাইসেন্স নিয়ে বের হই না। কাগজ অফিসে থাকে।”
প্রায় আধা ঘণ্টা ওই জায়গায় আটকে থাকার পর বাড়তি পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে ওই পিকআপটি ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। তবে সব লাইসেন্সবিহীন চালকের ভাগ্য এতটা ভালো ছিল না। অনেককেই গাড়ির চাবি ফেরত পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে কাকুতি মিনতি করতে দেখা যায়।

আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলে, “ লাইসেন্স না থাকার পরও এরা গাড়ি চালায়। এদের কারণে আমাদের ভাইয়েরা রাস্তায় মারা যাচ্ছে। লাইসেন্স ছাড়া কোনো গাড়ি রাস্তায় চলবে না।"

বিস্তারিত

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×