somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শাহ আবদুল করিম : বাউল নন­ কিংবদন্তি লোকসঙ্গীত স্রষ্টা --

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চলে গেলেন শাহ আবদুল করিম। তিনি ছিলেন বর্তমান সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লোককবি এবং লোকসঙ্গীত স্রষ্টা। তবে কোনো বিচারেই তিনি বাউল নন। একটি অতি নির্বোধ ধারণা থেকে তাকে বাউল-বাউলসম্রাট ইত্যাদি অভিধায় অভিহিত করা হয়েছে। এতে কোনো মতেই তাকে সম্মানিত করা হয়নি। বাউলগান-বাউল সাধনার বিভিন্ন পর্যায়ের উপলব্ধি থেকে উচ্চারিত গান। বাউলগানের বিষয় সর্বত্রই তার সাধন পদ্ধতি, সাধনকর্মের গূঢ় রহস্য, সাধন সঙ্গিনীর ভূমিকা, সৃষ্টি-স্রষ্টা সম্পর্ক, পুনরাগমন রহিত প্রক্রিয়া, স্রষ্টাতে বিলীন হওয়ার তত্ত্ব, নারী-পুরুষ হিসেবে খণ্ডিত সত্তা এবং উভয়ের মিলনে পূর্ণ সত্তা, শুক্র-বীর্য শাসন এবং পতন রোধ, ‘ঊর্ধ্বরেতা’ হয়ে ‘বস্তু ধারণ’, আত্মা-পরমাত্মা তত্ত্ব ইত্যাদি সম্পর্কে তাদের স্খিরমূল বিশ্বাস থেকে গৃহীত। ‘বাউল’ একটি উপধর্মবিশ্বাস, একটি জীবনব্যবস্খা। গুরু বা মুরশিদের কাছে দীক্ষা নিয়ে সাধন শুরু করে স্তরের পর স্তর পার হয়ে আত্মতত্ত্ব উদ্ঘাটন শেষে আত্মাকে পরমাত্মায় ফানা করে দেয়া এবং সেখানে স্খিত হওয়াই হচ্ছে বাউলজীবনের পূর্ণতা। এই কর্মের সাথে লোককবি আবদুল করিমের কোনো সংযোগ ছিল না। তার রচিত একটি গানেও এসবের কোনো প্রতিফলন নেই। বাউল-ফকির সম্রাট হিসেবে যে লালন সাঁইজীকে আমরা জানি তিনিসহ পাগলা কানাই, দুদ্ধশাহ, পাঞ্জুশাহ, কুবির গোঁসাই, জালালুদ্দিন, দীন শরৎ, ফিকির চাঁদ, যাদু বিন্দু গোঁসাই, সনাতন দাস, অনন্ত দাস প্রমুখ সাধকদের অনেকের সাধন জীবন সম্পর্কে আমরা জেনেছি। অনেকের গানের ভেতরে পেয়েছি সাধন তত্ত্বের পরিচয়। অনন্ত দাসের একটি গানের অংশ উদ্ধৃত করছি­
‘বাবার দেহ বাবার মায়­ বাবার দোহাই দিয়ে বেড়াই
পিতা পুত্রে আলাপ নাই যে ভাল
ইতিপূর্বে মাতৃগর্ভে দেখা হয়েছিল।’
এই গানে ‘পিতা’কে, ‘পুত্র’কে মাতৃগর্ভে পিতা-পুত্রে কিভাবে দেখা হয়েছিল তার ব্যাখ্যা নেই। কিন্তু বাউল তত্ত্বের আত্মা-পরমাত্মা সম্পর্কের বিষয়ে যারা জানেন তারা পিতা-পুত্র অর্থাৎ স্রষ্টা-সৃষ্টির দেখা হওয়ার বিষয়টি, মাতৃগর্ভে পরমাত্মার অংশ হিসেবে আত্মার আগমন ইত্যাদির বাউল ব্যাখ্যাও পেয়ে যান। শাহ আবদুল করিমের কোনো গানে এমন তাত্ত্বিক রহস্যের দর্শন মেলে না। বাউলসাধক ছাড়াও অনেক লোককবি দেহতত্ত্বের গান লিখেছেন। তেমন একটা অতি জনপ্রিয় গান ‘মন আমার-দেহ ঘড়ি-সìধান করি-কোন মিস্তরী বানাইয়াছে
একখান-চাবি মাইরা দিছে ছাইড়া জনম ভইরা ঘুরতে আছে।’
এই গানের যে নির্মাণশৈলী, দেহঘড়ি-সìধান করি-কোন মিস্তরী, কিংবা চাবি মাইরা-দিছে ছাইড়া-জনম ভইরা ইত্যাদি মধ্যমিল বা অনুপ্রাসের ব্যবহার এবং ছন্দের যে নির্ভুল ঝঙ্কারের শক্তিমত্তা দেখতে পাই­ তা-ও শাহ আবদুল করিমের গানে অনুপস্খিত। এমনকি এই গানে দেহতত্ত্বের খুঁটিনাটি বিষয় বাউল দৃষ্টিভঙ্গিতে তুলে ধরা হয়েছে­ শাহ আবদুল করিমের কোনো গানে তেমনটি দেখা যায় না। এই গানের রচয়িতা দারোগ আলী বয়াতিও বাউল নন, বয়াতি। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক অজ্ঞতার কারণে কিছু শিল্পী এবং কিছু প্রচার ও প্রকাশমাধ্যম বয়াতির গান, বিচ্ছেদি, ধামাইল, ভাবগান, এমনকি জারিগানকেও বাউলগান হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছে। শিল্পীরা ব্যক্তি, কিন্তু মাধ্যমগুলো তো এক-একটি প্রতিষ্ঠান! শিল্পীদের কাছ থেকেও আমরা সচেতনতা আশা করি, তবে প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব আরো বড়। ভুল তথ্য দেয়ার বা ভুল শেখানোর অধিকার তো কারো নেই। এমন কথা ভাবাও ঠিক নয় যে, এসব ভুল বুঝতে পারার মতো মানুষ এ দেশে নেই। যারা বোঝেন না তারা বিভ্রান্ত হন এবং যারা বোঝেন তারা এই অজ্ঞতার সাড়ম্বর প্রচার দেখে হাসেন। কোনটি বাউলগান এবং কোনটি বাউলগান নয়­ তা বলে দেয়ার মতো বিজ্ঞজন এ দেশে অনেকেই আছেন। তার মধ্যে আবুল আহসান চৌধুরী, খোন্দকার রিয়াজুল হক, অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম, ড. লুৎফর রহমান, খোন্দকার রফিউদ্দিন, মোহাম্মদ এন্তাজ উদ্দিন প্রমুখ গবেষক ও পণ্ডিত জন অতি বিশিষ্ট। মাধ্যমগুলো এই সব বিজ্ঞজনের পরামর্শ নিলেই তো বিভ্রান্তি ছড়ানোর ভ্রান্তি থেকে মুক্ত হতে পারেন।
লোককবি শাহ আবদুল করিমের যে বিশালতা আছে­ সে দিকে চোখ না দিলে তার প্রতি একেবারেই সুবিচার করা হয় না। তার সমগ্র জীবনাচরণ এবং তার রচনাগুলো পর্যালোচনা করলে প্রথমেই যে বিশালতা চোখে পড়ে তা হলো তিনি অসাম্প্রদায়িক। কমরেড বরুণ রায়ের সংস্পর্শে এসে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সাম্যবাদী। সাধক কমরউদ্দিন, রশিদ উদ্দিন প্রমুখের প্রেরণায় তিনি মরমি গান রচনা করেছেন অনেক। এক কথায় তাকে অসাম্প্রদায়িক-সাম্যবাদী মরমি লোককবি বলা যায়। জীবনে প্রচুর গণসঙ্গীত রচনা করেছেন তিনি। ড. মৃদুল কান্তি চক্রবর্তী তাকে প্রতিবাদী গণসঙ্গীতশিল্পী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তার বাল্যকালের অবস্খা, বাউল মতে দীক্ষিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট অনুকূল ছিল। কিন্তু তিনি সে পথে পা বাড়াননি। আত্মনিমগ্ন সাধক হওয়ার চেয়ে দু:খ-কষ্ট দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার পথকেই তিনি বেছে নিয়েছিলেন। তবে এসব ক্ষেত্রে তার হাতিয়ার ছিল তার গান। অবশ্য বাল্যকালে যে গানের প্রতি তিনি আকৃষ্ট হয়েছিলেন তা ছিল ভাবের গান, মরমি গান। তার সেই মরমলোক ও বাস্তবের রূঢ়তার যে সঙ্ঘাত, তার কবি ও শিল্পী-মানস গঠনে সে দোটানার প্রভাবও দেখা যায়। তার রচনাকর্ম সম্পর্কে সবচেয়ে নির্দ্বিধায় যে কথাটি বলা যায় তা হলো স্বত:স্ফূর্ততা, সততস্ফূর্ততা ও শত স্ফূর্ততা। যখন যে বিষয়ে তিনি লিখেছেন­ অকৃত্রিমভাবে লিখেছেন। কাব্যের দাবি পূরণ করল কি না, শৈলীতে নিখুঁত হলো কি না অথবা ছন্দ-মিল ঠিক হলো কি না, সর্বোপরি প্রকরণগত শুদ্ধতা থাকল কি না, তারও পরোয়া তিনি করেননি। যা বলার তা সুরের মধ্যে পড়লেই হলো, তিনি লিখে ফেলেছেন; যদিও বাংলা লোকসঙ্গীত শাহ আবদুল করিমের জন্মের বহু আগে থেকেই কাব্যকলায় পারঙ্গম হয়ে উঠেছে এবং ভাবসম্পদ কাব্যের দ্যুতিতে উজ্জ্বল হয়ে সাধুজন থেকে সুধীজন সবাইকে আকৃষ্ট করেছে। শাহ আবদুল করিম, তার ভাবসম্পদকে মোটামুটি সুরারোপ যোগ্যতায় কিংবা সুরনির্ভরতায় প্রায় সরাসরি প্রকাশ করেছেন। তার ভাষা প্রায় সম্পূর্ণভাবেই আঞ্চলিক, আর এই কারণে সুনামগঞ্জ অঞ্চলে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়। বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের অন্যত্র, এমনকি সিলেট বেতারেও তার গানের প্রচলন বা জনপ্রিয়তা তেমন ছিল না সত্তর দশক পর্যন্ত। তবে তার বিচিত্র জীবন সম্পর্কে ক্রমে ক্রমে একটি আলোচনা আশির দশকের শেষ দিক থেকে বেশ পল্লবিত হতে থাকে। এই আলোচনা এবং কৌতূহল দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে সিলেট অঞ্চলের মানুষ অধ্যুষিত লন্ডনের বাঙালি সমাজেও ছড়িয়ে পড়ে। ২০০০ সাল-পরবর্তী সময়ে সুনামগঞ্জ এবং মৌলভীবাজারের লোকসঙ্গীতশিল্পীদের কণ্ঠে তার ভাবের গানগুলোর ব্যাপক বিস্তৃতি শুরু হয়। বিলাতে গমনাগমনের ব্যাপকতায় কণ্ঠে কণ্ঠে তার গানও লন্ডনসহ বিলাতের বাঙালি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোয় ছড়িয়ে পড়ে। এখানে প্রতিষ্ঠিত টিভি কেন্দ্র চ্যানেল এস, তার মৌলভীবাজারের স্টুডিওতে আঞ্চলিক লোকসঙ্গীতশিল্পীদের কণ্ঠে নানা ধরনের লোকসঙ্গীত ধারণ করে লন্ডন থেকে প্রচারের ব্যবস্খা করে। এই সব লোকসঙ্গীতের মধ্যে শাহ আবদুল করিমের বেশ কিছু গান লন্ডনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সেসব গানের মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য­ ‘কোন মিস্তিরি নাও বানাইলো কেমন দেখা যায়/ ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খী নাও’­, ‘বসন্ত বাতাসে/বìধুর বাড়ীর ফুলের গìধ আমার বাড়ী আসে’­, সখী কুঞ্জ সাজাওগো/ আজ মম প্রাণনাথ আসিবে’­, ‘আসি বলে গেলো বìধু আইলো না’ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। একই সময়ে লন্ডনে পাশ্চাত্য যন্ত্রসঙ্গীত ব্যান্ড-বাদ্য লাগিয়ে, কম্পিউটরের নানা অপকসরত সংযোজন করে ভোকউর জাতীয় বিকৃতি সহযোগে তার কিছু গান অ্যালবাম হিসেবে প্রকাশ হয়। মরমি গানের ভাব বোধহীন এক শ্রেণীর তরুণের কাছে সেগুলো খুবই জনপ্রিয় হয়। শাহ আবদুল করিমের ভাবের গান পরিণত হয় মাদকসেবী তারুণ্যের উত্তাল নৃত্যের গানে। শাহ আবদুল করিমের মূল সুর থেকে এসব গানের সুরও অনেক বিকৃত। তার পরও কোন কৌশলে জানি না এই অপকীর্তির কৃতবিদ্যাধররা শাহ আবদুল করিমের অনুমোদন লাভ করে। কোনো সম্ভাবনাকে শুভশক্তি ব্যবহার না করলে তা অপশক্তির খপ্পরে পড়াই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রেও সম্ভবত তা-ই ঘটেছে। শাহ আবদুল করিম সম্পর্কে শুভ শক্তির টনক নড়েছে অনেক পরে। ২০০১ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। এর সামান্য আগে-পরেই তিনি স্খানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সম্মাননা লাভ করেন।
শাহ আবদুল করিমের ভাবের গান জাতীয়ভাবে পরিচিত হয়েছে অনেক পরে। কিন্তু তার অসাম্প্রদায়িক চেতনার গান এবং গণসঙ্গীত আনেক আগে থেকেই স্বীকৃত। ১৯৫০-এর দশক থেকেই তিনি জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের জনসভায় গণসঙ্গীত পরিবেশন করতেন। সেই সব রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে মজলুম জননেতা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রমুখ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। সেই সব জনসভায় তিনি গাইতেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার এবং শোষণ-বঞ্চনার প্রতিবাদে উচ্চকিত গান। ১৯৫০-’৬০এর দশকেই জাতীয় নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে যে স্বীকৃতি তিনি লাভ করেছেন, তাকে ‘বাউল’ বলে উল্লেখ করলে তা অস্বীকার করা হয়। কারণ বাউলের সাধনার গানের সাথে প্রতিবাদী গণসঙ্গীতের কোনো সম্পর্কই নেই।
পরিশেষে বলতে চাই, বিচিত্র ধরনের লোকসঙ্গীত স্রষ্টা শাহ আবদুল করিম ছিলেন এক জীবন্ত কিংবদন্তি। তার বৈচিত্র্যই তার বৈশিষ্ট্য। সেই বৈশিষ্ট্য ধরেই তার কীর্তি প্রজন্ম-প্রজন্মান্তরে প্রবাহিত হোক। আর যেন আমরা কোনো ভুল বিশেষণে তাকে বিশেষিত না করি। তার আত্মার অবমাননার দায় কাঁধে না নিই। আরো বড় কথা­ তার সব ধরনের গানেরই যেন চর্চা হয় এবং তার ভাবের গানের কথা ও সুর বিকৃত করে তা যেন বাজারে দাঁড় না করায় কেউ তাকে ভাঙিয়ে ব্যবসা করার নিকৃষ্ট লোভে। তার দেহসত্তার মৃত্যু হয়েছে, তার আত্মসত্তা অমর হোক।

লেখক -- মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×